পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V5弧百可T 960 প্রাণশক্তির বলেই বীজ ক্রমে বক্ষ-রূপ ধারণ করে। সতরাং আমরা যদি ইউরোপীয় সভ্যতার প্রাণে প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে পারি, তা হলেই আমাদের সমাজ নবকলেবর ধারণ করবে। এই নবসভ্যতাকে মনে সম্পণেরপ পরিপাক করতে পারলেই আমাদের কান্তি পণ্ট হবে। কিন্তু যতদিন সে সভ্যতা আমাদের মখস্থ থাকবে কিন্তু উদরপথ হবে না, ততদিন তার কোনো অংশই আমরা জীৰ্ণ করতে পারব না। আমরা যে, ইউরোপীয় সভ্যতা কথাতেও তরজমা করতে পারি নি, তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ এই যে, আমাদের নাতন শিক্ষালব্ধ মনোভাবসকল শিক্ষিত লোকদেরই রসনা আশ্রয় করে রয়েছে, সমগ্র জাতির মনে স্থান পায় নি। আমরা ইংরেজি ভাব ভাষায় তরজমা করতে পারি। নে বলেই আমাদের কথা দেশের লোকে বোঝে না, বোঝে শািন্ধ ইংরেজি-শিক্ষিত লোকে। এ দেশের জনসাধারণের নেবার ক্ষমতা কিছ কম নয় কিন্তু আমাদের কাছ থেকে তারা যে কিছু পায় না, তার একমাত্র কারণ আমাদের অন্যকে দেবার মতো কিছ নেই; আমাদের নিজস্ব বলে কোনো পদার্থ নেই, আমরা পরের সোনা কানে দিয়ে অহংকারে মাটিতে পা দিই নে। অপর পক্ষে আমাদের পবর্ণপরিষদের দেবার মতো ধন ছিল, তাই তাঁদের মনোভাব নিয়ে আজও সমগ্র জাতি ধনী হয়ে আছে। ঋষিবাক্যসকল লোকমখে এমনি সন্দর ভাবে তরজমা হয়ে গেছে যে, তা আর তরজমা বলে কেউ বঝতে পারেন না। এ দেশের অশিক্ষিত লোকের রচিত বাউলের গান কাউকে আর উপনিষদের ভাষায় অনাবাদ করে বোঝাতে হয় না, অথচ একই মনোভাব ভাষান্তরে বাউলের গানে এবং উপনিষদে দেখা দেয়। আত্মা যেমন এক দেহ ত্যাগ করে অপর দেহ গ্ৰহণ করলে পবদেহের সমিতিমাত্রও রক্ষা করে না, মনোভাবও যদি তেমনি এক ভাষার দেহ ত্যাগ করে অপর-একটি ভাষার দেহ অবলম্বন করে, তা হলেই সেটি যথাৰ্থ অনদিত হয়। উপযন্ত তরজমার গণেই বৈদান্তিক মনোভাবসকল হিন্দসন্তানমাত্রেরই মনে অল্পবিস্তর জড়িয়ে আছে। এ দেশে এমন লোক বোধ হয় নেই, যার মনটিকে নিংড়ে নিলে অন্তত এক ফোঁটাও গৈরিক রঙ না পাওয়া যায়। আৰ্যসভ্যতার প্ৰেতাত্মা উদ্ধার করবার চেস্টাটা একেবারেই অনর্থক, কারণ তার আত্মাটি আমাদের দেহাভ্যন্তরে সােষশত অবস্থায় রয়েছে, যদি আবশ্যক হয় তো সেটিকে সহজেই জাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। ঠিক কথাটি বলতে পারলে অপরের মনের দাবার আরব্য-উপন্যাসের দস্যদের ধনভান্ডারের স্বারের মতো। আপনি খালে যায়। আমরা, ইংরেজি-শিক্ষিত লোকেরা, জনসাধারণের মনের আবার খোলবার সংকেত জানি নে, কারণ আমরা তা জানিবার চেস্টাও করি নে। যে-সকল কথা আমাদের মাখের উপর আলগা হয়ে রয়েছে কিন্তু মনে প্রবেশ করে নি, সেগলি আমাদের মাখ থেকে খসে পড়লেই যে অপরের অন্তরে প্রবেশ লাভ করবে, এ আশা বস্থা। আমরা যে আমাদের শিক্ষালব্ধ ভাবগলি তরজমা করতে অকৃতকায হয়েছি, তার প্রমাণ তো সাহিত্যে এবং রাজনীতিতে দ্য বেলাই পাওয়া যায়। যেমন সংস্কৃত নাটকের প্রাকৃত সংস্কৃত ছায়া’র সাহায্য ব্যতীত বৰ্ব্বতে পারা যায় না, তেমনি আমাদের নবসাহিত্যের কৃত্রিম প্রাকৃত ইংরেজি-ছায়ার সাহায্য ব্যতীত বোঝা যায় না। সমাজে না হোক, সাহিত্যে চরি বিদ্যে বড়ো বিদ্যে যদি না পড়ে ধরা’; কিন্তু আমাদের নব RVY)