পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নতন ও পরাতন আমাদের সমাজে নন্তন-পর্যাতনের বিরোধটা সম্প্রতি যে বিশেষ টনটনে হয়ে উঠেছে, এরপ ধারণা আমার নয়। আমার বিশ্ববাস, জীবনে আমরা সকলেই একপথের পথিক, এবং সে পথ হচ্ছে নতুন পথ। আমাদের পরস্পরের মধ্যে প্রভেদ এই যে, কেউ-বা পর্যাতনের কাছ থেকে বেশি সরে এসেছি, কেউ-বা কম। আমাদের মধ্যে আসল বিরোধ হচ্ছে মত নিয়ে। মনোজগতে আমরা নানা পন্থী। আমাদের মখের কথায় ও কাজে যে সব সময়ে মিল থাকে, তাও নয়। এমন-কি, অনেক সময়ে দেখা যায় যে যাদের সামাজিক ব্যবহারে সম্পপণ্য ঐক্য আছে, তাদের মধ্যেও সামাজিক মতামতে সক্ষপণ অনৈক্য থাকে, অন্তত মাখে। সতরাং নাতন-পরিাতনে যদি কোথায়ও বিবাদ থাকে তো সে সাহিত্যে, সমাজে নয়। এ বাদানবোদ ক্ৰমে বেড়ে যাচ্ছে, তাই শ্ৰীযন্ত বিপিনচন্দ্র পাল এই পরস্পরবিরোধী মতদ্বয়ের সামঞ্জস্য করে দিতে উদ্যত হয়েছেন।* তিনি নতেন ও পর্যাতনের মধ্যে একটি মধ্যপথ আবিস্কার করেছেন, যেটি অবলম্বন করলে নতন ও পরাতন হাত-ধরাধরি করে উন্নতির দিকে অগ্রসর হতে পারবে- যে পথে দাঁড়ালে নািতন ও পরাতন পরস্পরের পাণিগ্রহণ করতে বাধ্য হবে এবং উভয়ে মনের মিলে সখে থাকবে; সে পথের পরিচয় নেওয়াটা অবশ্য নিতান্ত আবশ্যক। যারা এ পথও জানে, ও পথও জানে কিন্তু দঃখের বিষয় মরে আছে, তারা হয়তো একটা নিম্ভকৰ্ণাটক মধ্যপথ পেলে বেচে উঠবে। R ঘটকালি করতে হলে ইনিয়ে-বিনিয়ে-বানিয়ে নানা কথা বলাই হচ্ছে মামলি দস্তুর। সতরাং নতনের সঙ্গে পর্যাতনের সম্প্ৰবন্ধ করতে গিয়ে বিপিনবাবও নানা কথার অবতারণা করতে বাধ্য হয়েছেন। তার অনেক ছোটােখাটাে কথা সত্য, আর কতক বড়ো বড়ো কথা নতুন। তবে তাঁর কথার ভিতর যা সত্য তা নতুন নয়, আর যা নতুন তা সত্য কি না তা পরীক্ষা করে দেখা আবশ্যক। বিপিনবাব প্রথমে আমাদের সমাজে নািতন ও পর্যাতনের বিরোধের কারণ নির্ণয় করে পরে তার সমন্বয়ের উপায়-নির্দেশ করেছেন। তাঁর মতে আমরা BDDBD DBDBDS DBBB DBDBD D uBDBB DDBDBDB BBDBSDD DDDB DDBY দিকে ছটিয়াছিলাম। এই ছোেটাটাই হচ্ছে নাতন এবং পর্যাতনের সঙ্গে বিচ্ছেদের এইখানেই সত্ৰ পাত। আবার আমরা ঘরে ফিরে এসেছি। অতএব এখন মিলনের কাল উপস্থিত হয়েছে। গত-শতাব্দীতে দেশসদ্ধ লোকের মন যে এক-লফে সমদ্র লঙ্ঘন করে

  • “নতনে পােবাতনে”, “নারায়ণ’, অগ্রহায়ণ ১৩২১।