পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নািতন ও পরাতন OCG কিংবা স্থিতি ও গতির মধ্যে দন্তীগিরি করে তাদের মিলন ঘটানো নিজেদের কতব্য বলে মনে করেন নি। মানষের মনকে যদি গেরোবাজের মতো আকাশে ডিগবাজি খেতে খেতে উঠতে হত, এবং মানবসমাজকে যদি লোটনের মতো মাটিতে লািটতে লািটতে এগোতে হত, তা হলে এ দায়ের বেশিক্ষণ সে কাজ করতে হত না, দ, দন্ডেই তাদের ঘাড় লটকে পড়ত। সতরাং কি মন কি সমাজ, কোনোটিকেই পাকচক্রের ভিতর ফেলবার আবশ্যকতা নেই। বিপিনবাবরে বক্তব্য যদি এই হয় যে, পথিবীতে অবাধগতি বলে কোনো জিনিস নেই, তা হলে আমরা বলি-এ সত্য শিশতেও জানে যে পদে পদে বাধা অতিক্রম করেই অগ্রসর হতে হয় তাই বলে স্থিতি-গতির সমন্বয় করে চলার অর্থ যে শােধ। হামাগাড়ি দেওয়া, এ কথা শিশতেও মানে না। অধোগতি অপেক্ষা উন্নতির পথে যে অধিকতর বাধা অতিক্রম করতে হয়, এ তো সব লোকবিদিত। কিন্তু এর থেকে এ প্রমাণ হয় না যে, স্থিতির বিরদ্ধে গতি নামক বিরোধটি জাগিয়ে রাখা মাখতা এবং সেটিকে ঘািম পাড়িয়ে দেওয়াটাই জ্ঞানীর কতব্য। জড়ের সঙ্গে যোঝাযঝি করেই জীবন স্ফতি লাভ করে। সতরাং পরাতন যেপরিমাণে জড়, সেই পরিমাণে নবজীবনকে তার সঙ্গে লড়তে হবে। যে সমাজের যত অধিক জীবনীশক্তি আছে, সে সমাজে স্থিতিতে ও গতিতে জড়ে ও জীবে তত বেশি। বিরোধের পরিচয় পাওয়া যাবে। নতন-পরিাতনের এই বিরোধের ফলে যা ভেঙে পড়ে তার চাইতে যা গড়ে ওঠে, সমাজের পক্ষে তার মাল্য ঢের বেশি। কোনো নতনের বরের ঘরের পিসি ও পর্যাতনের কনের ঘরের মাসির মধ্যস্থতায় এ দই পক্ষের ভিতর যে চিরশান্তি সন্থাপিত হবে, এ আশা দরাশা মাত্র। আমি পাবে বলেছি যে, নন্তন-পর্যাতনে যদি কোথায়ও বিবাদ থাকে তো সে সাহিত্যে, সমাজে নয়। আমার বিশ্ববাস যদি অন্যরাপ হত, তা হলে আমি বিপিনবাবর কথার প্রতিবাদ করতুম না। তার কারণ, প্রথমত আমি সমাজসংস্কারব্যাপারে অব্যবসায়ী। অতএব এ ব্যাপারে কোন ক্ষেত্রে আক্ৰমণ করতে হয় এবং কোন ক্ষেত্রে পীঠভঙ্গ দিতে হয় এবং কোনটি বিগ্রহের এবং কোনটি সন্ধির যােগ তা আমার জানা নেই। দ্বিতীয়ত, বিপিনবাবরে উদভাবিত পদ্ধতি অনসারে নতন-পরিাতনের জমাখরচ করলে সামাজিক হিসাবে পাওয়া যায় শােধ শান্য। সতরাং কি নািতন, কি পরাতন, কোনো পক্ষই ও-উপায়ে কোনো সামাজিক সমস্যার মীমাংসা করবার চেন্টামাত্রও করবেন না। তৃতীয়ত, ডাক্তার শীলের মতে সহস্ৰ বৎসরাবধি এই দেশ ঠিক সেই জায়গায়ই বসিয়া আছে; তার আর কোনও বিকাশ श्श नाच्ने । যে সমাজ হাজার বৎসর এক সন্থানে এক ভাবে বসে আছে তার আসন টলাবার শক্তি আমাদের মতো সাহিত্যিকের শরীরে নেই। বিপিনবাবর মতামত কমাকাডের নয়, জ্ঞানকান্ডের বস্তু বলেই এ বিচারে প্রবত্ত হয়েছি। তাঁর বাণিত সমন্বয়ের কোনো সার্থকতা সমাজে থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু সাহিত্যে নেই। সামাজিক ক্রিয়াকমে দধের সঙ্গে জলের সমন্বয়-প্রচলন দেখা যায়। কিন্তু তাই বলে সাহিতে্যু জলোেদধের আমদানি আমরা বিনা। আপত্তিতে গ্রাহ্য করতে পারি নে। কারণ ও