পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙালি-পেট্ৰিীয়টিজম 8 OA BBB uDD BD DDuuBu DBDDS BDDDB BDBLBD DDDSDDDBDBBB পক্ষেও নয়। সতরাং পলিটিক্সের প্রথম কতব্য হচ্ছে জাতীয় অন্ন সমস্যার সমাধান করা। আর, বলা বাহাল্য, এ সমস্যার মীমাংসা জাতীয় অবস্থার জ্ঞান সাপেক্ষ। কথার রাজ্য থেকে কাজের রাজ্যে নেমে এলেই আমাদের বস্তুজগতের সংকীর্ণ গন্ডির মধ্যে অনেকটা আবদ্ধ হয়ে পড়তে হয়। দেশ-শাসনের ভার যখন আমাদের হাতে আসবে তখনই দেখা যাবে যে, প্রতি প্রদেশ তার নিজের সামাজিক ঘরকন্না নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তখন যা আমাদের বিশেষ কাজে লাগবে সে হচ্ছে প্রাদেশিকপেট্রিয়টিজম। যে রসোর পলিটিকাল মতামতের ঘষা-পয়সা নিয়ে আমাদের পেট্রিয়টিজমের আগাগোড়া কারবার তিনিই বলে গেছেন যে, কমক্ষেত্রে পেট্ৰিয়টিজমকে অনেকটা সংকুচিত করে আনতে হয়। সে যাই হোক, আমার বাঙালি-ন্যাশনালিজম ম্যাখ্যাত মানসিক এবং গৌণত রাজনৈতিক। আমাদের মনের সবরাজ্য লাভ করা ও রক্ষা করা এবং তার ঐশবয বদ্ধি করাই হচ্ছে আমার প্রধান ভাবনা। রাজনৈতিক স্বরাজ্য মনে সাবরাট হবার একটি উপায় মাত্র, তা ছাড়া আর কিছই নয়। V এখন বাঙালির মনের বিশেষত্ব যে কোথায় তার কিঞ্চিৎ পরিচয় দেওয়া যাক। এ পরিচয় দেওয়াটা একেবারে অসম্পভব নয়, কেননা বাঙালির ন্যাশনাল সেলফকন শাসনেস কতকটা প্ৰবন্ধ হয়েছে। এই ন্যাশনাল সেলফ-কনশাসনেস কথাটা আমাদের সবদেশী-যাগে মাখে মাখে প্রচলিত ছিল। সেকালে অবশ্য দেশের লোক এ কথাটা তার পলিটিকাল অর্থেই বৰ্ব্বত। তখন আত্মজ্ঞান অর্থে আমরা বঝতুম আমাদের পরাধীনতা সম্পবন্ধে জাতীয় চৈতন্য ও বেদনা। বলা বাহাল্য, এই সংকীর্ণ অর্থে সমগ্ৰ ভারতবর্ষের আত্মজ্ঞান ও বাংলার আত্মজ্ঞান একই বস্তু। কিন্তু এ বোঝাটা ভুল বোঝা। কেননা, তা হলে স্বাধীন জাতের পক্ষে জাতীয় আত্মজ্ঞান বলে কোনো জিনিসই নেই। কিন্তু তা যে আছে তার প্রকৃষ্ণটি প্রমাণ এই যে, ঐ সমস্ত পদটি ইউরোপ থেকে এ দেশে আমদানি করা হয়েছে, ও-পদের বিলেতে জন্ম। কথাটা এতই বিলেত যে, আমাদের কোনো ভাষায় ওটির সঠিক তরজমা করা 50 का । মানষি মাত্রেই মােখ্যত এক হলেও সকলের শরীরের চেহারাও যেমন এক নয়, সকলের মনের চেহারাও এক নয়। ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির যেমন প্রকৃতির ও শান্তির প্ৰভেদ আছে, জাতির সঙ্গে জাতিরও তেমনি প্রকৃতির ও শক্তির প্রভেদ আছে। আর, ব্যক্তিই বল আর জাতিই বল, উভয়েরই উন্নয়তির মানে হচ্ছে এই সবাতন্ত্র্যাকে বিকশিত করে তোলা, কেননা সেই চেস্টাতেই তার সখি, সেই চেন্টাতেই তার মন্তি। যাতে করে এই স্বাতন্ত্র্য চেপে দেয়। তাই হচ্ছে বন্ধন। জীবনের বন্ধনের চাইতে মনের বন্ধন কম মারাত্মক নয়। আর আমাদের মনের যে একটা বিশেষ ধাত আছে সে কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। একটা জানা দাম্পটন্ত নেওয়া যাক। জাতীয় মনের আসল প্রকাশ সাহিত্যে। বতমান ভারতবর্ষে বাংলা সাহিত্যের