পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাব ও পশ্চিম জ্ঞান হয়ে অবধি পাব ও পশ্চিমের মধ্যে যে মস্ত একটা প্ৰভেদ আছে, এইরকম একটা কথা শনে আসছি। কিন্তু সে প্রভেদটা যে কি ও কোথায়, তা এতদ্দেশীয় কোনো বক্তা কি লেখক আমাদের পন্ট করে বঝিয়ে দেন নি। অন্তত আমার মন যে-সকল কথায় সম্পণে সায় দিতে পারে, এমন কথা আমি তো অদ্যাবধি কোনো স্বদেশী বক্তা কিংবা লেখকের মাখে শনি নি। পব-পশ্চিমের কথা উঠলেই সায্যের উদয়-অস্তের কথাই প্রথমে মনে পড়ে। আর তার পিঠা-পিঠ নানারকম উপমা এসে আমাদের নয়ন-মন অধিকার করে বসে। যথা, সভ্যতার উদয় পড়বে, অস্ত পশ্চিমে। আলো আগে পাবে ওঠে, তার পর পড়ে পশ্চিমে, ইত্যাদি ইত্যাদি। ফলে, জিয়োগ্রাফির পােব অলক্ষিতে আমাদের মনে হিস্টরির পদবী হয়ে ওঠে, আর তখন আমরা দেশের ধম কালের উপর আরোপ করি, আর কালের ধম দেশের উপর। আর এর ধাম ওর ঘাড়ে চাপাবার ফলে আমাদের भन्म क्रिन्ठान्नाCछा लिgeाशद्भा छgप्त यान्न । সত্য কথা এই যে, যখন আমরা পর্ব-পশ্চিমের কথা বলি তখন আমরা ইউরোপ ও এশিয়ারই ভেদাভেদের কথা ভাবি। বতমান ইউরোপের সঙ্গে বর্তমান এশিয়ার অবশ্য কতকগলো স্পষ্ট প্রভেদ আছে। সাংসারিক হিসেবে ইউরোপ সমন্ধ, এশিয়া দরিদ্র। দেহে-মনে যে-সকল গণের সদভাবে মানষের পলিটিকাল ও ইকনমিক ঐশ্ববিদ্য লাভ হয়, সে-সকল গণ্য ইউরোপীয়দের দেহ-মনে যো-পরিমাণে আছে আমাদের দেহ-মনে সে পরিমাণে নেই; এটি তো প্রত্যক্ষ সত্য। এই মোটা সত্য থেকে একটি মোটা তথ্য জন্মলাভ করেছে। সে তথ্য এই যে, পাব হচ্ছে স্পিরিচয়াল এবং পশ্চিম फ्रेंद्रशाळश्नछेद । R সিপরিচয়ালিটি এবং মেটিরিয়ালিজম, দটাে কথাই আমরা বিলেত থেকে আমদানি করেছি। প্রমাণ, এ দটি শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ নেই। সিপরিচুয়ালিটির তরজমা আমরা সংস্কৃতের সাহায্যে কোনোরকমে করতে পারি, কিন্তু তাও ভুল অন্যবাদ হবে। সংস্কৃত আধ্যাত্মিক শব্দ ইংরেজি পিপরিচয়ালিটির প্রতিশব্দ নয়। কিন্তু মেটিরিয়ালিজমের তরজমা করতে মোটেই পারি নে। সাংসারিক অভু্যুদয় সাধনের প্রবত্তি মানষমাত্রেরই অন্তরে আছে; সতরাং সে প্রবত্তি চরিতাৰ্থ করবার অক্ষমতার নাম পিপরিচুয়ালিটি নয়, আর ক্ষমতার নাম মেটিরিয়ালিজম নয়। কারণ মেটিরিয়ালিজম নামক দার্শনিক মতবাদের সঙ্গে কম কুশলতার কোনো যোগাযোগ নেই; এবং স্পিরিাচায়ালিটি নামক দার্শনিক মতবাদের সঙ্গে অকমণ্যতারও কোনো যোগাযোগ নেই। বড়ো বড়ো কথাগালোর অর্থ প্রায়ই অস্পষ্ট হয়ে থাকে। কারণ সে-সব কথা