পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাব ও পশ্চিম 8S (t পব-পশ্চিমের ভেদাভেদ নিয়ে মাথা বকান, পশ্চিমের লোকেরা সে বিষয়ে কি ভাবছে उा छानबाब स्ना उभाशा दर्शद्ध ऊाँcनद्ध कौऊश्व्न जाएछ। মাসি Massis বতমান ফ্রান্সের জনৈক ধন্যধর লেখক। তিনি প্রথমে ছিলেন রেন ও আনাতোেল ফ্রাঁসএর মন্ত্ৰশিষ্য। পরে তিনি আরিস্টটল ও যিশখস্টের হস্তে আত্মসমপণ করেছেন। তাই তিনি এখন তাঁর পােব শিক্ষাগর ও সতীর্থদের উপর নিমমভাবে সমালোচনার বাণ নিক্ষেপ করছেন। তাঁর সমালোচনার বাণ উত্ত সাহিত্যিকদের বধ না করতে পারক, কিছকিঞ্চিৎ জখম যে করেছে, সে বিষয়ে ফ্রান্সের সাহিত্যসমাজে। দ্বিমত নেই। মাসি প্রথমত অতি চটকদার লেখক, দ্বিতীয়ত অতি শক্তিমান লেখক; উপরন্তু খসেন্টান ধ্যম ও খসেন্টান দর্শনে তাঁর বিশ্ববাস অটল। এই বিশবাসের বলেই তিনি সম্পপণ্য নিভীক এবং মারাত্মক লেখক হয়ে উঠেছেন। তাই যাঁরা তাঁর মতাবলম্বী নন তাঁরাও স্বীকার করছেন যে, তাঁর মতামতের ভিতর অনেক নিগঢ়ি সত্য আছে। তবে সকলেই বলেন তাঁর দোষ এই যে, অবিশ্ববাসী সাহিত্যিকদের প্রতি তাঁর কোনোরাপ মায়ামমতা নেই। দ্বিতীয় কুমারিল ভট্টের মতো তিনিও ফরাসি সাহিত্যরাজ্যে নাস্তিকানিগ্ৰহ করতে বদ্ধপরিকর হয়েছেন। ইনি সম্প্রতি ইউরোপের আত্মরক্ষা” নামক একখানা বই লিখেছেন। উত্ত গ্রন্থের সমালোচনা করেছেন এদম ঝাল, Edmond Jaloux নামক জনৈক খ্যাতনামা সাহিত্যিক। সাহিত্যসমালোচনা যে কাকে বলে, ঝালর সমালোচনাকে তার আদশ বলা যায়। উদার চরিতানাং তু বসধৈব কুটম্বকম- এ কথা যে সাহিত্যরাজ্যেও খাটে, তার জীবন্ত প্রমাণ হচ্ছেন। উক্ত সমালোচক। G মাসি মহোদয়ের দািঢ় বিশ্ববাস যে, ইউরোপ ধবংসপথের যাত্রী হয়েছে। তাই তিনি ইউরোপকে আত্মরক্ষার জন্য সতর্ক হতে পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে আত্মরক্ষার অর্থ-আত্মার রক্ষা। তাঁর বিশবাস, পথিবীর প্রতি জাতেরই একটি বিশেষ নিজস্ব আত্মা আছে, আর সবকীয় আত্মার সেই বিশিষ্টতা রক্ষা করারই নাম আত্মরক্ষা। কারণ কোনো জাতি যদি তার আত্মাকে সজীব ও সস্থা রাখতে পারে তা হলে সে জাত জীবনেও সস্থ ও সফল হতে বাধ্য। তাঁর মতে ইউরোপীয় মন যগষগ ধরে গ্ৰীকসাহিত্য ও খািস্টধমের প্রভাবে গড়ে উঠেছে। ইউরোপীয় মনের যা-কিছ শক্তি, যা-নিছ সৌন্দষ, যা-কিছ মহত্ত্ব আছে, সে সবই ঐ দই প্রভাবের ফল। ইউরোপের লোক প্রায় দ্য হাজার বৎসর ধরে এই শিক্ষা লাভ করেছে যে, এ বিশোবরী মলে আছেন। ভগবান, এবং তিনি হচ্ছেন মঙ্গলময় পরিষ, ভাষান্তরে সগণ ঈশবর। ইউরোপের লোক যে কম জগতে এত ঐশবষ লাভ করেছে, তার কারণ সকল কম ভগবানে সমাপণ করাই ইউরোপের যথাৰ্থ আদশ। এর অর্থ অবশ্য এ নয় যে, যগষগ ধরে ইউরোপের লোক শােধ ধমভাবে প্রণোদিত হয়ে জীবনযাত্রা নিবাহ করেছে। অধিকাংশ মানষি শােধ, নৈসগিক