পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইউরোপীয় সভ্যতা বস্তু কি 8&a G ইউরোপীয় সভ্যতার মল যদি ইউরোপ নামক দেশের অন্তরেও না পাওয়া যায়, ইউরোপীয় মানবের দেহের অন্তরেও না পাওয়া যায়, তা হলে সে মািল কোথায় নিহিত ? অধ্যাপকমহাশয় বলেন যে, এ সভ্যতা ইউরোপীয় spirit থেকে উদভূত হয়েছে। ইংরেজি ভাষায় যাকে স্পিরিট বলে, তার বাংলা কি সংস্কৃত প্রতিবাক্য আমি জানি নে। । কারণ, আত্মা ও স্পিরিট পৰ্যায়শব্দ নয়। স্পিরিটকে আত্মা বলা বোধ হয় ঠিক নয়, অহং বলাই উচিত। কারণ, অহং জিনিসটে ভেদবদ্ধির উপরেই প্রতিষ্ঠিত। সতরাং এ প্রবন্ধে আমি ইউরোপীয়ান সিপােরটকে ইউরোপীয় আত্মা বলব; কিন্তু সে আত্মাকে অহং অর্থেই বকরতে হবে। ইউরোপীয় আত্মার বিশিষ্পটতা যে কি, তার পরিচয় নিতে হবে উক্ত আত্মার আত্মপ্রকাশ থেকে। এখন এ সত্যটি যেমন প্রত্যক্ষ তেমনি সািপম্পট যে, বিতর্তমান ইউরোপীয় সভ্যতা হচ্ছে টেকনিকাল সিভিলাইজেশন অর্থাৎ টেকনিকাল সায়েন্স-এর উপর প্রতিষ্ঠিত। এ হচ্ছে আসলে ব্যাবহারিক সভ্যতা। প্রকৃতির যে মতিগতি সায়েন্স আবিস্কার করেছে, সেই মতিগতিকে মানষের ঘরকন্নার কাজে নিয়োগ করা, এক কথায় প্রকৃতিকে মানষের সেবাদাসীতে পরিণত করাই ইউরোপীয়দের চরম কৃতিত্ব। কিন্তু কোনো নায়িকাকে বশ করা যে কেবল মাত্রা কামনাসাপেক্ষ নয়, এ কথা সেকেলে তান্ত্রিকরাও জানতেন। বশীকরণের পিছনে মন্ত্র থাকা চাই। প্রকৃতির বশীকরণের মন্ত্রের সাক্ষাৎ পেয়েছেন ইউরোপের বৈজ্ঞানিকরা। কিন্তু এ মন্ত্র লাভ করা সাধনাসাপেক্ষ । ইউরোপীয় আত্মা এই সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেছে। বিজ্ঞানের কঠোর সাধনার ফলে ইউরোপীয়রা সমগ্র অনাত্ম জগতের উপর প্রভুত্ব লাভ করেছে। কিন্তু ইউরোপীয়রা প্রকৃতিকে দাসীগিরি করাবার জন্য বিজ্ঞানেব সাধনা করে নি, করেছিল শােধ তাকে প্রকৃস্টরপে জানিবার জন্য। এ শাস্ত্রের প্রথম সত্ৰ হচ্ছে- অৰ্থাতো প্রকৃতি জিজ্ঞাসা। জ্ঞানই তাদের মােখ্য বস্তু ছিল, কম তার ফল মাত্র। বিজ্ঞানের আচায্যেরা কম সম্পবন্ধে সম্পণে উদাসীন ছিলেন, এবং তা ছিলেন বলেই এ বিদ্যা তাঁরা আয়ত্ত করতে পেরেছেন। কথা সত্য এবং আমার বিশ্ববাস, অধ্যাপকমহাশয় যদি ফলনিরপেক্ষ হয়ে ইউরোপ-সভ্যতা বস্তু কি জিজ্ঞাসা করতেন, তা হলে তিনিও তার সন্ধান পেতেন। bታ তিনি বলেন যে, এই সত্রেই আমরা ইউরোপীয় আত্মার বিশেষত্বের সন্ধান পাই। &5GTPs, WNITs ari qì (r-to organize everything with which it has to deal, to mould everything whether it be material or spiritual, in such a way that it constitutes a unity in multiplicity. অর্থাৎ বাহকে এক ক’রে দেখবার এবং বহরকে এক সত্ৰে গাঁথবার শক্তি। এক কথায়, ভৌতিক ও আধ্যাত্মিক জগৎকে organize করবার প্রবত্তি ও শক্তিই হচ্ছে ইউরোপীয় আত্মার বিশেষত্ব। কেপলার Keplcr আবিস্কার করেছিলেন যে