পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইউরোপীয় সভ্যতা বস্তু কি 80S জাতিতে জাতিতে যে মনের ও চরিত্রের প্রভেদ আছে সে কথা ফরাসি লেখকও মানেন, এবং স্বধৰ্মপালন করেই জাতি যে সভ্য হয়ে উঠতে পারে, এই তাঁর দািঢ় ধারণা; সতরাং তিনিও ন্যাশনালিজমের মহাভন্ত। কিন্তু যে ন্যাশনালিজম অপর ন্যাশনালিজমের হস্তারক সে ন্যাশনালিজমকে তিনি পলিটিকাল ন্যাশনালিজম বলেন। কারণ, এ ন্যাশনালিজম intellect ও moralsএর ধার ধারে না; অতএব হিংস্র হতে বাধ্য। এখন ইউরোপীয় সভ্যতা কি করে এই বিপদ থেকে উদ্ধার পাবে? ফরাসি লেখক বলেন যে, ইউরোপের মনে আবার কেউ যদি ধৰ্মজ্ঞান উদবিদ্ধ করতে পারে তা হলেই ইউরোপীয় সভ্যতা রক্ষা পায়। কিন্তু তা করবে। কে ? জমান পন্ডিতের মতে যদিও ইউরোপীয় সভ্যতা তার চরমপদ লাভ করেছে তবও তার আরো উন্নতির অবসর আছে। এ বিষয়ে তাঁর শেষ কথা কাটি উদধত ক’রে দিচিছ If it is true that it has passed through all spheres of being and accomplished all tasks, it will begin the cycle a second time, and enriched by the experience and success of the first cycle, will be able to attain new heights. Perhaps the time is not far of when, following the example of the Greeks, it will once more find its chief aim in the shaping of man. Let us hope so. For it has become very necessary. আমি জিজ্ঞাসা করি, মানষ তৈরি করা কি সভ্যতার শেষ কথা না প্রথম কথা ? আগে মানবসভ্যতা গড়ে তার পর মানষে গড়া, গাড়ির লেজে ঘোড়া জোতার মতো বৈজ্ঞানিক ব্যাপার নয় কি ? NS KO ইউরোপীয় সভ্যতা-যে কালে ভেঙে পড়বে এ ভয় আমরা পাই নে। কারণ, যে গণে ইউরোপ সভ্য সে গণের ধবংস নেই। জমান অধ্যাপক ও ফরাসি সাহিত্যিক উভয়ের মতেই পরাকালের গ্রীক দশন ও বিজ্ঞান, রোমের কলিপিত ধৰ্মশাস্ত্র ও মধ্যযাগের ধামমনোভাবই ইউরোপীয় সভ্যতার মালমসলা। এক কথায়, ইউরোপীয়দের মনই তাদের সভ্যতা গড়েছে। গ্ৰীক সভ্যতা অনেক কাল হল ভেঙেচুরে গিয়েছে, কিন্তু গ্ৰীক দৰ্শন ও গ্রীক সাহিত্য আজও মানষেকে সভ্য করছে। রোমের সামাজ্য সেকালে ইউরোপের অসভ্য জাতিদের এক ধাক্কায় সমলে বিনন্ট হয়েছিল; কিন্তু আজও সমগ্র সভ্যজগৎ রোমের বিধিনিষেধ শাস্ত্র মেনেই জীবনযাত্রা নিবাহ করছে। মধ্যযাগের ধর্মপ্রাণ সভ্যতার বিষয় আমরা বেশি কিছ জানি নে, সতরাং জমান ও ফরাসি দার্শনিক ও সাহিত্যিকদের কথা মেনে নিতে আমার কোনো আপত্তি