পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88ᏓᎴ প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ অনেক উপকার আছে। আমি জানি যে, সাহিত্যে কিংবা ধমে একটা নািতন পথ আবিস্কার করবার ক্ষমতা কেবলমাত্র দ-চার-জন মহাজনেরই থাকে, বাদ-বাকি আমরা পাঁচজনে সেই মহাজন-প্ৰদশিত পন্থা অনসরণ করে চলতে পারলেই আমাদের জীবন সাৰ্থক হয়। গভলিকাপ্রবাহ ন্যায়ের অবলম্পবন করা জনসাধারণের পক্ষে স্বাভাবিকও বটে, কতব্যও বটে; কেননা, পথিবীর সকল ভেড়াই যদি মেড়া হয়ে ওঠে তো ঢ-মারামারি করেই মেষবংশ নিবংশ হবে। উক্ত কারণেই আমি লেখবার BBD sDD BBDBB DDBDD DBBDB sDDB DD DBBBBOO DBD DDDS আমরা কেউ ভাষা জিনিসটে তৈরি করি নে, সকলেই তৈরি ভাষা ব্যবহার করি। ভাষা জিনিসটে কোনো-একটি বিশেষ ব্যক্তির মনগড়া নয়, যােগােযােগান্তর ধরে একটি জাতির হাতে-গড়া। কেবলমাত্ৰ মনোমত কথা বেছে নেবার, এবং ব্যাকরণের নিয়ম স্বাধীনতাই আমাদের আছে। আমাদের মধ্যে যাঁরা জহরী তাঁরা এই চলতি কথার মধ্যেই রত্ন আবিহুকার করেন, এবং শিল্পগণে গ্রথিত করে দিব্য হার রচনা করেন। নিজের রচনাশক্তির দারিদ্র্যের চেহারাই আমরা মাতৃভাষার মাখে দেখতে পাই, এবং রাগ করে সেই আয়নাখানিকে নস্ট করতে উদ্যত হই ও পােব পরিষদের সংস্কৃত দপণের সাহায্যে মােখরক্ষা করবার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠি। একরকম কাঁচ আছে যাতে মািখ মন্সত দেখায়, কিন্তু সেইসঙ্গে চেহারা অপরিচিত বিকটাকার ধারণ করে। আমাদের নিজেকে বড়ো দেখাতে গিয়ে যে আমরা কিম্পভূতকিমাকার রূপ ধারণ করি, তাতে আমাদের কোনো লজাবোধ হয় না। এখানে কেউ প্রশন করতে পারেন যে, প্রচলিত ভাষা কাকে বলে। তার উত্তরে আমি বলি, যে ভাষা আমাদের সপরিচিত, সম্পণে আয়ত্ত, এবং যা আমরা নিত্য ব্যবহার করে থাকি। তা খাঁটি বাংলাও নয়, খটি সংস্কৃতও নয়, কিংবা উভয়ে মিলিত কোনোরাপ খিচুড়িও নয়। যে সংস্কৃত শব্দ প্রকৃত কিংবা বিকৃত রূপে বাংলা কথার সঙ্গে মিলেমিশে রয়েছে, সে শব্দকে আমি বাংলা বলেই জানি এবং মানি। কিন্তু কেবলমাত্র নন্তনত্বের লোভে নতুন করে যে-সকল সংস্কৃত শব্দকে কোনো লেখক জোর করে বাংলা ভাষার ভিতর প্রবেশ করিয়েছেন। অথচ খাপ খাওয়াতে পারেন নি, সেই-সকল শব্দকে ছাতে আমি ভয় পাই। এবং যে-সকল সংস্কৃত শব্দ স্পষ্টত ভুল অৰ্থে ব্যবহৃত হচ্ছে সেই-সকল শব্দ যাতে ঠিক অর্থে ব্যবহৃত হয়, সে বিষয়ে আমি লেখকদের সতক হতে বলি। নইলে বঙ্গ ভাষার বনলতা যে সংস্কৃত ভাষার উদ্যােনলতাকে তিরস্কৃত করবে, এমন দরাশা আমার মনে পথান পায় না। শব্দকল্পদ্রমে থেকে আপনা হতে খসে যা আমাদের কোলে এসে পড়েছে তা মাথে তুলে নেবার পক্ষে আমার কোনো আপত্তি নেই। তলার কুড়োও, কিন্তু সেইসঙ্গে গাছেরও পেড়ো না। তাতে যে পরিমাণ পরিশ্রম হবে, তার অনােরপ ফললাভ হবে। শােধ গাছ থেকে পাড়া নয়, একেবারে তার আগন্ডাল থেকে পাড়া গাটিকতক শব্দের পরিচয় আমি সম্পপ্রতি বইয়ের মলাটে পেয়েছি। এবং সে সম্পবন্ধে আমার দ-একটি কথা বক্তব্য আছে। যাঁরা ‘শব্দাধিক্যাৎ অর্থাধিক্যং’ মীমাংসার এই নিয়ম মানেন না, বরং তার পরিবতে সংস্কৃত শব্দ সম্পবন্ধে ‘অধিকন্তু ন দোষায়'-এই