পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৫০ প্রবন্ধসংগ্রহ

করতে পারে না। আজকালকার বাংলা বুঝতে অমরের সাহায্য আবশ্যক, তার পর যাঁদ আবার যাস্ক চর্চা করতে হয় তা হলে বাংলা সাহত্য পড়বার অবসর আমরা কখন পাবঃ যাস্কের সাহায্যও যাঁদ তার অর্থবোধ না হয় তা হলে বাংলা সাহত্যের চর্চা যে আমরা ত্যাগ করব, তাতে আর সন্দেহ কি অর্থবোধ হয় না বলে যখন আমরা আমাদের পরকালের সদৃগাঁতির একমাব্র সহায় যে সন্ধ্যা তারই পাঠ বন্ধ করোছ, তখন ইহকালের ক্ষণক সুখের লোভে যে আমরা গাথার শব্দে রাঁচত বাংলা সাহিত্য পড়ব, এ আশা করা যেতে পারে না। তা ছাড়া বৌঁদক এবং আঁতিবৌদক ভাষা থেকে যাঁদ আমরা বাকাসংগ্রহ করতে আরম্ভ কার তা হলে তান্লিক ভাষাকেই বা ছাড়ব কেনঃ আমার লাখত নতুন বইখানির নাম যাঁদ আম 'ফেংকারণ* 'ডামর' িংবা 'উজ্ভীশ" দিই তা হলে কি পাঠকসম্প্রদায় খুব খ্দাশ হবেন 2

শ্রীধ্যস্ত সুধীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর পুস্তিকাগুলির নামকরণ-বিষয়ে ষে অপূর্বতা দেখিয়ে থাকেন তা আমাকে ভীত না করুক, 'বাস্মত করে। আঁম সাহত্যের বাজারে মাল যাচাই করবার জন্য কাণ্টপাথর হাতে নিয়ে ব্যাবসা খুলে বাঁস নি। সৃতরাং সুধীন্দ্রবাবুর রচনার দোষগুণ দেখানো আমার কর্তব্যের মধ্যে নয়। একমার মলাটে তাঁর লেখা যেটুকু আত্মপাঁরচয় দেয়, সেইটুকু আমার বিচারাধীন। 'মঞ্ষা” “করঞ্ক' প্রভৃতি শব্দের সঙ্গে যে আমাদের একেবারে মুখ-দেখাদোখ নেই, এ কথা বলতে পাঁর নে। তা হলেও স্বীকার করতে হবে যে, অন্তত পাঠকাদের নিকট ও-পদার্থগঁলি যত সুপারাচিত, ও-নামগাল তাদ্‌শ নয়। তা ছাড়া এরূপ নামের যে বিশেষ-কোনো সার্থকতা আছে, তাও আমার মনে হয় না। আমাদের কম্পনাজাত বস্তু আমরা প্যাটরায় পুরে সাধারণের কাছে দিই নে, বরং সত্য কথা বলতে গেলে মনের প্যাটরা থেকে সেগুলি বার করে জনসাধারণের চোখের সমৃখে সাজয়ে রাখি! করঞ্কের কথা শদূনলেই তাম্বুলের কথা মনে হয়। পানের খাঁলর সঙ্গে সুধান্দ্র- বাবুর ছোটোগজ্পগৃলির [ক সাদৃশ্য আছে, জান নে। করুণরস এবং পানের রস এক জিনিস নয়। আর-একাট কথা। তাম্বূলের সঙ্গে সঙ্গে চার্বতচর্বণের ভাবটা মানুষের মনে সহজেই আসে।- সে যাই হোক, আমি লজ্জার সঙ্গে স্বীকার করাছ যে, সুধীন্দ্রবাবূর আবিত্কৃত 'বৈতানিক' শব্দ আম বৈতালিক শব্দের ছাপান্তর সনে করোছলুম। হাজারে নশো িরানব্বই জন বাঙালি পাঠক যে ও-শব্দের অর্থ জানেন না এ কথা বোধ হয় সুধশন্দ্রবাবু অস্বীকার করবেন না। আমার যতদূর মনে পড়ে তাতে কেবলমাত্র ভ্‌গযপ্রোন্ত মানবধর্মশাস্তে এক স্থলে এ শব্দাটর ব্যবহার দেখোছ। িল্তু তার অর্থ জানা আবশ্যক মনে কার নি। এইরূপ নামে বইয়ের পাঁরচয় দেওয়া হয় না, বরং তার পাঁরচয় গোপন করাই হয়। বাংলা- সরস্বতীকে ছদ্মবেশ না পরালে যে তাঁকে সমাজে বার করা চলে না, এ কথা আম মান নে।

এই নামের উদাহরণ-কণট টেনে আনবার উদ্দেশ্য আমার সেই প্রথম কথার প্রমাণ দেওয়া। সে কথা এই যে, বঙ্গ সাহত্যের ভিতর সমালোচনার মতো নামকরণেও শবজপনের ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। বিজ্ঞাপনের আর-পাঁচটা দোষের ভিতর �