পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Cላ ህዖ প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ আছে। রবীন্দ্রনাথের অন্তরে ইথার আছে, তাই সে মনের ভিতর দিয়ে যে ভাবের আলো রিফ্ল্যাকটেড হয়ে আসে তা ইন্দ্ৰধনীর বর্ণে রঞ্জিত ও ছন্দে মতে হয়ে আসতে বাধ্য। স্থলদশীর স্থলদান্টিতে তা হয় অসত্য নয় অশিব বলে ঠেকা কিছ আশ্চৰ্য নয়। মানষে তিনটি কথাকে বড়ো বলে স্বীকার করে, তার অর্থ তারা পরো বঝােক আর না-বাঝােক। সে তিনটি হচ্ছে সত্য শিব আর সন্দর। যার রাপের প্রতি বিদ্বেষ আছে সে সন্দেরকে তাড়না করতে হলে হয়। সত্যের নয় শিবের দোহাই দেয়; যদিচ সম্পভবত সে ব্যক্তি সত্য কিংবা শিবের কখনো একমনে সেবা করে নি। যদি কেউ বলেন যে, সন্দরের সাধনা কর-অমনি দশজনে বলে ওঠেন, কি দনীতির কথা! বিষয়বদ্ধির মতে সৌন্দযাপ্রিয়তা বিলাসিতা এবং রাপের চৰ্চা চরিত্রহীনতার পরিচয় দেয়। সন্দরের উপর এ দেশে সত্যের অত্যাচার কম, কেননা এ দেশে সত্যের আরাধনা করবার লোকও কম। শিবই হচেছ এখন আমাদের একমাত্র, কেননা অমনি-পাওয়া, ধন। - এ তিনটির প্রতিটি যে প্ৰতি-অপরটির শত্র তার কোনো প্রমাণ নেই। সতরাং এদের একের প্রতি অভিত্তি অপরের প্রতি ভক্তির পরিচায়ক নয়। সে যাই হোক, শিবের দোহাই দিয়ে কেউ কখনো সত্যকে চেপে রাখতে পারে নি, আমার বিশ্ববাস সন্দরকেও পারবে না। যে জানে পথিবী সায্যের চারি দিকে ঘরছে, সে সে-সত্য স্বীকার করতে বাধ্য, এবং সামাজিক জীবনের উপর তার কি ফলাফল হবে সে কথা উপেক্ষা ক’রে সে-সত্য প্রচার করতেও বাধ্য। কেননা, সত্যসেবকদের একটা বিশবাস আছে যে, সত্যজ্ঞানের শেষফল ভালো বৈ মন্দ নয়। তেমনি যার রপজ্ঞান আছে, সে সৌন্দয্যের চর্চা এবং সন্দর বস্তুর সন্টি করতে বাধ্য- তার আশ সামাজিক ফলাফল উপেক্ষা করে, কেননা রাপের পাজারীদেরও বিশ্ববাস যে, রপজ্ঞানের শেষফল ভালো বৈ মন্দ নয়। তবে মানষের এ জ্ঞানলাভ করতে দেরি লাগে। শিবজ্ঞান আসে সবচাইতে আগে। কেননা, মোটামটি ও-জ্ঞান না থাকলে সমাজের সন্টিই হয় না, রক্ষা হওয়া তো দরের কথা। ও-জ্ঞান বিষয়বদ্ধির উত্তমাণ্ডগ হলেও একটা অঙ্গমাত্র। তার পর আসে। সত্যের জ্ঞান। এ জ্ঞান শিবজ্ঞানের চাইতে ঢের সক্ষমজ্ঞান এবং এ জ্ঞান আংশিক ভাবে বৈষয়িক, অতএব জীবনের সহায়; এবং আংশিক ভাবে তার বাঁহভূত, অতএব মনের সম্পদ। সবশেষে আসে রােপজজ্ঞান। কেননা, এ জ্ঞান অতিসক্ষম এবং সাংসারিক হিসেবে অকেজো। রােপজজ্ঞানের প্রসাদে মানষের মনের পরমায় বেড়ে যায়, দেহের নয়। সনেীতি সভ্যসমাজের গোড়ার কথা হলেও সরাচি তার শেষকথা। শিব সমাজের ভিত্তি, আর সন্দর তার অভ্ৰভেদী চড়া। অবশ্য হাবাৰ্ট স্পেনসার বলেছেন যে, মানষের র্যাপজ্ঞান আসে আগে এবং সত্যজ্ঞান তার পরে। তার কারণ, যে জ্ঞান তাঁর জন্মায় নি, তিনি মনে করতেন সে জ্ঞান বাতিল হয়ে গিয়েছে। সত্যকথা এই যে, মানবসমাজের পক্ষে রপজ্ঞান লাঢ় করাই সাধনাসাপেক্ষ-খোয়ানো সহজ। আমাদের পবর্ণপরিষদের সাধনার