পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষার দিন 8SN ব্যক্তি নিগণ; আর সেই জাতিই অতিক্ৰমানষের জাত যে জাত অর্ধেক পথিবীর भाद्ध भावाक। এ দাশনিক মতের প্রতিবাদ করবার আমার সাহসও নেই ইচ্ছেও নেই। কেননা দেখতে পাই এ দেশেও বেশির ভাগ লোক হেগেল না পড়েও হেগেলের মতাবলম্বী হয়েছেন। ভিড়ে মিশে যাওয়ার নামই যে পরম পরিষার্থ, এ জ্ঞান এখন সবসাধারণ হয়েছে। গোলে হাঁরবোল দেওয়াই যে দেশ-উদ্ধারের একমাত্র উপায়, এই হচেছ বতমান হট্টমত। এ জমান-মত সম্পবন্ধে যাঁর মনে দিবধা আছে তাঁকে আগে একটি মহাসমস্যার মীমাংসা করে পরে মােখ। খলিতে হবে। সে সমস্যা এই : কোয়ানটিটি কোয়ালিটির অবনতি, না, কোয়ালিটি কোয়ানটিটির পরিণতি ? এ বিচারের উপযন্ত সময় হচ্ছে নিদাঘ, বর্ষা নয়। কারণ উক্ত সমস্যার মীমাংসার জন্য তার উপর প্রচন্ড আলো ফেলতে হবে, যে আলো এই মেঘলা দিনে আকাশেও নেই, মনেও নেই। আজকের দিনে এই গা-ঢাকা আলোর ভিতর বাজে কথা বলাই মানষের পক্ষে সবাভাবিক। কালিদাস বলেছেন মেঘালোকে ভবতি সখিনোেহপ্যনাথাবত্তি চে৩ঃ সতরাং আমার মনও যে অন্যথাবিত্তি অর্থাৎ আদার্শনিক হয়ে পড়েছে, সে কথা दळाशे बाशाळा । bታ এখন পরনো কথায় ফিরে যাওয়া যাক। ‘আষাঢ়ে গলপ” কথাটার সন্টি হল কি সত্রে তারই এখন অনসন্ধান করা যাক, কিন্তু সে সত্ৰ খাজতে হলে আমাকে আরএক শাস্ত্রের দাবারস্থ হতে হবে- যে শাস্ত্রের ভিতর প্রবেশ করবার অধিকার আমার নেই, সে শাস্ত্রের নাম শব্দতত্ত্ব। অপর পক্ষে, এই বর্ষার দিনে সর্বাধিকারপ্ৰমত্ত হবার অধিকার সকলেরই আছে, এই বিশবাসের বলেই আমি অনধিকারচর্চা कद्वाgऊ द्वाउनै शीघ्छ । আমি পাবে বলেছি যে, নিরক্তকারদের মতে যে কথার মানে আমরা জানি নে অথচ বলি, সেই কথা থেকেই কিংবদন্তী জন্মলাভ করে। আমার বিশ্ববাস আষাঢ়ে গলপ”-রাপ কিংবদন্তীর জন্মকথাও তাই। আমাদের বাঙালি দেশে লোকে ‘আষাঢ়ে গলপ” বলে না, বলে “আজাড়ে গলপ”। এখন এই ‘আজাড়ে’ শব্দটি কি “আষাঢ়ের অপভ্রংশ ? “আজাড়া’ শব্দের সাক্ষাৎ সংস্কৃতকোষের ভিতর পাওয়া যায় না। এর থেকে অনামান করছি যে এটি হয় ফারসি নয়। আরবি শব্দ। আর ও-কথার মানে আমরা সবাই জানি, অন্য সত্রে। আমরা যখন বলি ‘মাঠ উজাড়' করে দিলে তখন আমরা বঝি যে উজাড় মানে নিমাল। কারণ "জড়’ মানে যে মল তা বাংলার চাষীরাও জানে। সতরাং ‘আজাড়ে গলেপ’র অর্থ যে অমলেক গলপ এরপ অনমান করা অসংগত নয়। এই ‘আজাড়' কথাটার শদ্ধি করে নিয়ে আমরা তাকে ‘আষাঢ়’ বানিয়েছি। এ কারণ আরব্য-উপন্যাসের সব গলপাই আজাড়ে গলপ, হিন্দ জবানে আষাঢ়ে গলপ”; যদিও আরবদেশে আষাঢ়ও নেই, শ্রাবণও নেই।