পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫১

সবজি পত্রের মািখপত্র 'é आध्ाझ श्वाश স্বগীয় দ্বিজেন্দ্রলাল রায় বাঙালি জাতিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ‘একটা নতুন কিছ করো।” সেই পরামর্শ অনসারেই যে আমরা একখানি নতুন মাসিক পত্র প্রকাশ করতে উদ্যত হয়েছি, এ কথা বললে সম্পণে সীতা কথা বলা হবে না। এ পথিবীটি যথেষ্ট পরোনো, সতরাং তাকে নিয়ে নতুন কিছদ করা বড়োই কঠিন, বিশেষত এ দেশে। যদি বহ, চেন্টায় নতুন কিছ করে তোলা যায়, তা হয় জলবায়র গণে দদিনেই পরোনো হয়ে যায়, নয় তো পরাতন এসে তাকে গ্রাস করে ফেলে। এই-সব দেখেশানে এ দেশে কথায় কিংবা কাজে নতুন কিছ করবার জন্য যে পরিমাণ ভরসা ও সাহস চাই তা যে আমাদের আছে তা বলতে পারি নে। যদি কেউ জিজ্ঞাসা করেন যে, তবে কি উদ্দেশ্য সাধন করবার জন্য, কি অভাব পরিণ করবার জন্য, এত কাগজ থাকতে আবার একটি নতুন কাগজ বার করছি।-- তা হলেও আমাদের নিরািত্তর থাকতে হবে ; কেননা কথা দিয়ে কথা না রাখতে পারাটা সাহিত্যসমাজেও ভদ্রতার পরিচায়ক নয়। নিজেকে প্রকাশ করবার পর্বে নিজের পরিচয় দেওয়াটা- শােধ পরিচয় দেওয়া নয়, নিজের গণগ্রাম বৰ্ণনা করাটা- যদিও মাসিক পত্রের পক্ষে একটা সব লোকমান্য ‘‘সাহিত্যিক’ নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে, তবও সে নিয়ম ভঙ্গ করতে আমরা বাধ্য। যে কথা বারো মাসে বারো কিস্তিতে রাখতে হবে, তার যে মাঝে মাঝে খেলাপ হবার সম্পভাবনা নেই- এ জাঁক করবার মতো দঃসাহস আমাদের নেই। তা ছাড়া সম্ববদেশের কিংবা সািবজাতির কোনো-একটি অভাব পারণ করা, কোনো-একটি বিশেষ উদ্দেশ্য সাধন করা সাহিত্যের কাজও নয়। ধমও নয় ; সে হচ্ছে কার্যক্ষেত্রের কথা। কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যকে অবলম্বন করাতে মনের ভিতর যে সংকীর্ণতা এসে পড়ে, সাহিত্যের সাফাতির পক্ষে তা অনাকাল নয়। কাজ হচ্ছে দশে মিলে করবার জিনিস। দলবদ্ধ হয়ে আমরা সাহিত্য গড়তে পারি নে, গড়তে পারি শােধ সাহিত্যািসন্মিলন। কারণ দশের সাহায্যে ও সাহচযে কোনো কাজ উদ্ধার করতে হলো নিজের সর্বাতন্ত্র্যটি অনেকটা চেপে দিতে হয়। যদি আমাদের দশজনের মধ্যে মনের চৌম্পদ-আনা মিল থাকে, তা হলে প্রতিজনে বাকি দা-আনা বাদ দিয়ে, একত্র হয়ে সকলের পক্ষে সমান বাঞ্ছিত কোনো ফললাভের জন্য চেন্টা করতে পারি। এক দেশের এক যাগের এক সমাজের বহ লোকের ভিতর মনের এই চৌদ-আনা মিল থাকলেই সামাজিক কায সসম্পন্ন করা সম্পভব হয়, নচেৎ নয়। কিন্তু সাহিত্য হচ্ছে ব্যক্তিত্বের বিকাশ। সতরাং সাহিত্যের পক্ষে মনের ঐ পড়ে-পাওয়া-চৌম্পদ-আনার চাইতে ব্যক্তিবিশেষের নিজস্ব দা-আনার মাল্য