পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

GigOO প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ সতরাং এ কিংবদন্তাঁর অলীকতা ধরতে পারলেই আমরা বঝেতে পারব যে, বন্টির জল পেয়ে গল্প গজায় না, জন্মায় শােধ, কবিতা। বর্ষাকাল কবির সবদেশ, ঔপন্যাসিকের বিদেশ। ܠܬ বর্ষা যে গলে পর ঋতু নয়। গানের ঋতু-তার প্রমাণ বাংলা সাহিত্যে আষাঢ়ে গলপ নেই, কিন্তু মেঘরাগের অগণ্য গান আছে। বাংলার আদিকবি জয়দেবের আদিশোলাক কার মনে নেই ? সকলেরই মনে আছে এই কারণ যে— মেঘৈমেদ রমবরং বনভুবশ্যামাসাতমালদমৈঃ এ পদ যার একবার কর্ণগোচর হয়েছে তাঁর কানে তা চিরদিন লেগে থাকবার কথা। fosfits G G(s. QTG v513 336 A thing of beauty is a joy for ever এর সৌন্দয কোথায় ? এ প্রশেনর কোনো সম্পন্ট জবাব দেবার জো নেই। পোয়েট্রি অথবা বিউটি যে-ভাষায় আমাদের কাছে আত্মপ্রকাশ করে, তা অপর কোনো ভাষায় অন্যবাদ করা অসম্পভব। আর আমরা যাকে ভাষা বলি, সে তো হয় কমের, নয় জ্ঞানের ভাষা। তবে ঐ কাটি কথায় জয়দেব আমাদের চোখের সমাখে৷ যে-রােপ ধরে দিয়েছেন তা একটি নিরীক্ষণ করে দেখা যাক। কবিতা মাত্রেরই ভিতর ছবি থাকে; অতএব দেখা যাক কবি এ সম্প্ৰথলে কি ছবি একেছেন। বর্ষার যে ছবি কালিদাস একেছেন এ সে-ছবি নয়। এর ভিতর বীজ নেই বিদ্যুৎ নেই বলিট নেইঅর্থাৎ যে-সব জিনিস মানষের ইন্দ্ৰিয়ের উপর হঠাৎ চড়াও হয় এবং মানষের মনকে চমকিত করে সে-সব জিনিসের বিন্দবিসগাঁও উক্ত পদে নেই। কবি শােধ দটি কথা বলেছেন, আকাশ মেঘে কোমল ও বনতমালে শ্যাম; তিনি তুলির দটি টানে একসঙ্গে আকাশের ও পথিবীর চেহারা একেছেন। এ চিত্রের ভিতরে কোনো রেখা নেই, আছে শািন্ধ, রঙ; আর সে রঙ নানাজাতীয় নয়; একই রঙ-শ্যাম, উপরে একটা ফিকে নীচে একটি গাঢ়। এ বণনা হচ্ছে- চিত্রকররা যাকে বলে-ল্যান্ডস্কেপ পেণ্টিং। তুলির দ্য টানে জয়দেব বর্ষার নিজানতার, নীরবতার, তার নিবিড় শ্যামশ্ৰীীর কি সমগ্র কি সন্দির ছবি একেছেন। এ ছবি যার চোখে একবার পড়েছে তার মনে এ ছবির দাগ চিরদিনের মতো থেকে যায়। বাইরে যা ক্ষণিকের, মনে তা চিরস্থায়ী হয়। যা অনিত্য তাকে নিত্য করাই তো কবির ধম। SO এর থেকে মনে পড়ে গেল যে, কবিতা বস্তু কি ? এ প্রশন মানষে আবহমানকাল জিজ্ঞাসা ক'রে এসেছে, আর যথাশক্তি তার উত্তর দিতে চেন্টা করেছে। এ সমস্যার মীমাংসায় ইউরোপীয় সাহিত্য ভরপাির। আরিস্টটলের যােগ থেকে এ আলোচনা ধ্রুর হয়েছে আর অজিও থামে নি, বরং সটান চলছে। এর চড়ান্ত মীমাংসা যে