পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবজি পত্রের মািখপত্র SO জন্য। আত্মপ্রবণগুনার মতো আত্মঘাতী জিনিস আর নেই। সাহিত্য জাতির খোরপোশের ব্যবস্থা করে দিতে পারে না, কিন্তু তাকে আত্মহত্যা থেকে রক্ষা করতে পারে। আমরা যে দেশের মনকে ঈষৎ জাগিয়ে তুলতে পারব, এত বড়ো সািপধার কথা আমি বলতে পারি নে, কেননা যে সাহিত্যের দ্বারা ভা। সিদ্ধ হয়, সে সাহিত্য গড়বার জন্য নিজের সদিচ্ছাই যথেস্ট নয়- তার মলে ভগবানের ইচছা থাকা চাই অৰ্থাৎ নৈসগিকী প্রতিভা থকা চাই। অথচ ও-ঐশবয ভিক্ষা করে পাবার জিনিস নয়। তবে বাংলার মন যাতে আর বেশি ঘামিয়ে না পড়ে, তার চেষটা আমাদের আয়ত্তাধীন। মানষেকে ঝাঁকিয়ে দেবার ক্ষমতা অল্পবিস্তর সকলের হাতেই আছে, সে ক্ষমতার প্রয়োগটি কেবল আমাদের প্রবত্তিসাপেক্ষ। এবং আমাদের প্রবত্তির সহজ গতিটি যে ঐ নিজেকে এবং অপরকে সজাগ করে তোেলবার দিকে, তাও অস্বীকার করবার জো নেই ; কারণ ইউরোপ আমাদের মনকে নিত্য যে ঝাঁকুনি দিচ্ছে, তাতে ঘামের ব্যাঘাত ঘটে। ইউরোপের সাহিত্য ইউরোপের দশন মনের গায়ে হাত বলোয় না, কিন্তু ধাক্কা মারে। ইউরোপের সভ্যতা অমােতই হোক মন্দিরাই হোক আর হলাহলাই হোক, তার ধমই হচ্ছে মনকে উত্তেজিত করা, স্থির থাকতে দেওয়া নয়। এই ইংরেজি শিক্ষার প্রসাদে, এই ইংরেজি সভ্যতার সংস্পশোঁ, আমরা দেশসদ্ধ লোক যে দিকে হোক কোনো-একটা দিকে চলবার জন্য এবং অন্যকে চালাবার জন্য অাঁকুবাঁকু করছি। কেউ পশ্চিমের দিকে এগোতে চান কেউ পর্বের দিকে পিছ হটতে চান, কেউ আকাশের উপরে দেবতীর আত্মার অন্যসন্ধান করছেন কেউ মাটির নীচে দেবতার মতির অন্যসন্ধান করছেন। এক কথায়, আমরা উন্নতিশীলই হই আর অবনতিশীলই হই— আমরা সকলেই গতিশীল, কেউ স্থিতিশীল নই। ইউরোপের সম্পশোঁ আমরা, আর-কিছ না হোক, গতি লাভ করেছি, অর্থাৎ মানসিক ও ব্যাবহারিক সকলপ্রকার জড়তার হাত থেকে কথঞ্চিৎ মাত্তি লাভ করেছি। এই মক্তির ভিতর যে আনন্দ আছে সেই আনন্দ হতেই আমাদের নবসাহিত্যের সন্টি। সন্দরের আগমনে হীরা মালিনীর ভাঙা মালচে যেমন ফল ফটে উঠেছিল, ইউরোপের আগমনে আমাদের দেশে তেমনি সাহিত্যের ফল ফটে উঠেছে। তার ফল কি হবে সে কথা না বলতে পারলেও এই ফলফোটা যে বন্ধ করা উচিত নয়, এই হচ্ছে আমাদের দািঢ় ধারণা। সতরাং যিনি পারেন তাঁকেই আমরা ফলের চাষ করবার জন্য উৎসাহ দেব। ইউরোপের কাছে আমরা একটি অপসব জ্ঞান লাভ করেছি। সে হচ্ছে এই যে, ভাবের বীজ যে দেশ থেকেই আনো-না কেন, দেশের মাটিতে তার চাষ করতে হবে। চীনের টবে তোলামাটিতে সে বীজ বপন করা পডশ্রম মাত্র ; আমাদের এই নবশিক্ষাই ভারতবর্ষের অতিবিস্তৃত অতীতের মধ্যে আমাদের এই নবভাবের চৰ্চার উপযন্ত ক্ষেত্র চিনে নিতে শিখিয়েছে। ইংরেজি শিক্ষার গণেই আমরা দেশের লগত অতীতের পািনরদ্ধারকল্পে ব্ৰতী হয়েছি। ऊाई जाभाgद्ध भन একলম্বেফ শােধ বঙ্গ-বিহাের নয়, সেইসঙ্গে হাজার দেড়েক বৎসর ডিঙিয়ে একেবারে আযাবতে গিয়ে উপস্থিত হয়েছে। এখন আমাদের পদবী কবি হচ্ছে কালিদাস,