পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gy প্ৰবন্ধসংগ্ৰহ হবে না; আর যা খাঁটি সোনা নয়, তার অলংকার ধারণ করলে কাব্যের দেহও कव्वाधिकऊ इश्क्ष। V এবারকার সাহিত্যুসম্মিলনের ফলে যদি বিজ্ঞানের সঙ্গে সাহিত্যের মিলন হয়, তা হলে বঙ্গ সাহিত্যের দেহ ও কান্তি দইই পন্ট হবে। সে মিলন যে কবে হবে। তা জানি নে। কিন্তু সত্যের সঙ্গে আমাদের ভাবের ও ভাষার বিচ্ছেদটি যে বহন লোকের নিকট অসহ্য হয়ে উঠেছে এইটি হচেছ মহা আশার কথা। মিথ্যার প্রতি আগে বিরাগ না জন্মালে কেউ সত্যের উদ্দেশে তীর্থযাত্রা করেন না; কারণ সে পথে কম্পট আছে। বিজ্ঞানের মন্দিরে, অর্থাৎ সত্যের মানমন্দিরে পৌছতে হলে আগাগোড়া সিড়ি ভাঙা চাই। আমি বৈজ্ঞানিক নই, কাজেই প্রত্যক্ষ জ্ঞানই আমার মনের প্রধান সম্পবেল। সেই প্রত্যক্ষ জ্ঞানের সম্পবন্ধে সাহিত্যাচায্যেরা কেউ দটি ভালো কথা বলেন নি। তাই আমি তার সপক্ষে কিছ বলতে বাধ্য হচিছ। বিজ্ঞান প্রত্যক্ষ জ্ঞানের অতিরিক্ত হলেও ঐ মালজ্ঞানের উপরেই প্রতিঠিত । বাহ্যিবস্তুকে ইন্দ্রিয়গোচর করতে হলে ইন্দ্ৰিয়েরও একটা শিক্ষা চাই। অনেকে চোখ থাকতেও কানা, কান থাকতেও কালা, অথচ মািখ না থাকলেও মােক নন। এই শ্রেণীর লোকের বাচালতার গণেই আজ বাংলা সাহিত্যের কোনো মযাদা নেই। কাব্যকে আবার সাহিত্যের শীর্ষস্থান অধিকার করতে হলে ইন্দ্রিয়কে আবার সজাগ করে তোলা চাই। চোেখও বাহ্যবস্তু সম্পবন্ধে আমাদের ঠকাতে পারে, যদি সে চোখ ঘমে ঢোলে। অপর পক্ষে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকলেও যা সাপটে তাও আমাদের কাছে ঝাপসা হয়ে যায়। চোখে আর মনে এক না করতে পারলে কোনো পদার্থ লক্ষ্য করা যায় না। ইন্দ্রিয় ও মনের এই একীকরণ সাধনা বিনা সিদ্ধ হয় না। যাঁরা কাব্য রচনা করবেন, তাঁদের পক্ষে বাহিরের ভিতরের সকল সত্যকে প্রত্যক্ষ করবার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। কারণ কাব্যে প্রত্যক্ষ ব্যতীত অপর কোনো সত্যের পথান নেই। সতরাং প্রত্যক্ষ জ্ঞানের উপর অবিশ্ববাস এবং তার প্রতি অমনোযোগ হচেছ কাব্যে সকল সাবনাশের মল। প্রত্যক্ষ জ্ঞান অবশ্য নিজের সীমা লঙঘন করলে মিথ্যা বিজ্ঞানে পরিণত হয়। বিজ্ঞানও তেমনি নিজের সীমা লঙ্ঘন করলে মিথ্যা তত্ত্বজ্ঞানে পরিণত হয়। তার কারণ, বিজ্ঞান কোনো পদার্থকে এক হিসেবে দেখতে পারে না। বিজ্ঞান যে সমন্টি খোঁজে। সে হচেছ সংখ্যার সমনিট । বিজ্ঞান চারকে এক করতে পারে না। বিজ্ঞান চারকে পাওয়ামাত্র হয় তাকে দই দিয়ে ভাগ করে, নয়। তার থেকে দই বিয়োগ করে; পরে আবার হয়। দই দিবগণে, নয় দিয়ে-দয়ে চার করে। অর্থাৎ বিজ্ঞান যার উপর হস্তক্ষেপ করে তাকে আগে ভাঙে, পরে আবার জোড়াতাড়া দিয়ে গড়ে। উদাহরণস্বরপ দেখানো যেতে পারে। যে, বিজ্ঞানের হাতে জল হয় বাদ্ধাপ হয়ে উড়ে যায়, নয় বরফ হয়ে জমে থাকে; আর নাহয় তো এক ভাগ অক্সিজেন আর দ্য ভাগ হাইড্রোজেনে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তার