পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বস্তুতন্ত্রতা বস্তু কি (9ò 6: আসল কথা, এ-সকল ন্যায়ের তর্কের সাহিত্যক্ষেত্রে বিশেষ সার্থকতা নেই। অর্থহীন বস্তু কিংবা পদার্থহীন ভাব, এ দায়ের কোনোটাই সাহিত্যের যথার্থ উপাদান নয়। রিয়ালিজমের পতুলনাচ এবং আইডিয়ালিজমের ছায়াবাজি উভয়ই কাব্যে অগ্রাহ্য। কাব্য হচ্ছে জীবনের প্রকাশ। এবং যেহেতু জীবে চিৎ এবং জড় মিলিত হয়েছে, সে কারণ যা হয় বস্তুহীন নয়। ভাবহীন তা কাব্য নয়। পথিবীর শ্রেদ্ঠ কবিমাত্রেই একাধারে রিয়ালিস্ট এবং আইডিয়ালিস্ট; কি বহিজগৎ কি মনোজগৎ দায়ের সঙ্গেই তাদের সম্পক অতি ঘনিষ্ঠ। তা ছাড়া কবির দস্টি সাধারণ জ্ঞানের সীমা অতিক্রম করে। The light that never was on land or sea-piš val(GICs first করবার শক্তিকেই আমরা কবিপ্রতিভা বলি, কেননা সে জ্যোতি বাহ্যজগতে নেই, অন্তর্জগতেই তা আবিভূত হয়। রিয়ালিজমের এই উচ্চবাচ্য ইউরোপীয় সাহিত্যেই যখন বিরক্তিজনক, তখন বাংলা সাহিত্যে তা একেবারেই অসহ্য। ইউরোপ বিজ্ঞানের বলে বস্তুজগতের উপর প্রভুত্ব করছে, অপর পক্ষে বৈজ্ঞানিক-দৰ্শন আমাদের মনের উপর প্রভুত্ব করছে। অর্থাৎ জড়বিজ্ঞানের যে অংশটি খাটি সেইটি ইউরোপের হাতে পড়েছে, এবং তার যে অংশটি ভুয়ো সেইটিই আমাদের মনে ধরেছে। ইউরোপ পঞ্চভুতকে তার দাসত্বে নিযন্ত করেছে, আর আমরা তাদের পঞ্চদেবতা করে তোলবার চেন্টায় আছি। a So RS