পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিভাষণ CA (t আমাদের দ্বিতীয় সংস্কার। আমরা যখন রাজাও সাজিতে জানি, ব্রহ্মচারীও সাজিতে জানি, তখন সভ্য সাজা তো আমাদের পক্ষে অতি সহজ। জীবনে সভ্যতার সাজ খোলাই কঠিন, পরা সহজ। W ভাষা সাহিত্যের মাল উপাদান, সতরাং সাহিত্যপরিষদে ভাষা সম্পবন্ধে কিঞ্চিৎ আলোচনা অপ্রাসঙ্গিক হইবে না। লেখকেরা ভাষার সৌন্দয্যের দ্বারাই পাঠকের মনোরঞ্জন করেন এবং ভাষার শক্তির দ্বারাই পাঠকের মন হরণ করেন। কাজেই কোনো লেখক আর সাধা করিয়া শ্ৰীহীন এবং শান্তিহীন ভাষা ব্যবহার করেন না। আমরা যে লেখায় মৌখিক ভাষার পক্ষপাতী। তাহার কারণ, আমাদের বিশ্ববাস, আমাদের মাতৃভাষা রপে-যৌবনে তথাকথিত সাধভাষা অপেক্ষা অনেক শ্রেষ্ঠ। এ সম্পবন্ধে আমার বক্তব্য কথা আমি নানা সময়ে নানা সস্থানে নানা ভাবে প্রকাশ করিয়াছি। আত্মমত সমর্থনের জন্য কখনো বা যক্তির আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছি, বিরাদ্ধমত খন্ডনের জন্য কখনো বা তাহার উপর বিদ্রপবাণ বর্ষণ করিয়াছি। এ স্থলে সে-সকল কথার পািনরল্লেখ করা নিম্প্রয়োজন। কেননা, পািনরন্তু ওকালতিতে যে পরিমাণে সার্থক, সাহিত্যে সেই পরিমাণে নিরর্থক। আপাতত আমি যতদর সম্ভব সংক্ষেপে এই সাধভাষার জন্মবত্তান্তের পরিচয় দিতেছি, তাহা হইতেই আপনারা অনমান করিতে পারবেন যে ইহার বন্ধন হইতে মন্তি লাভ করিবার চোেটা কেবলমাত্র উচ্ছঙ্খলতা কি আর-কিছ। বাংলার প্রাচীন সাহিত্য আছে- কিন্তু সে সাহিত্য পদ্যে রচিত, গদ্যে নয় ৭ আজ প্রায় এক শত বৎসর পাবে আমাদের গদ্যসাহিত্য জন্মলাভ করে, এবং সাধিতা এই সাহিত্যেরই ধর্ম। শতবর্ষ পরমায়, বিধির এই নিয়মানসারে এ সাহিত্যের এখন পরিণত দেহ ত্যাগ করিয়া নবকলেবর ধারণ করা উচিত। সে যাহা হউক, এ সাহিত্য জাতীয় মন হইতে গড়িয়া উঠে নাই। ইংরেজ রাজপরিষদের ফরমায়েশে ব্রাহ্মণপন্ডিতগণ কর্তৃক নিতান্ত অযত্নে ইহা গঠিত হইয়াছিল। মতুল্লায় বিদ্যালংকার কালের হিসাব এবং ক্ষমতার হিসাব, দই হিসাবেই এই শ্রেণীর সােলখকদিগের অগ্রগণ্য। তাঁহার রচিত প্ৰবোধচন্দ্রিকা ১৮৩৩ খাস্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয় । ‘প্ৰবোধচন্দ্রকায়াং প্রথমাস্তবকে মািখবন্ধে ভাষাপ্রশংসানাম প্রথম কুসমং'-এর শেষাংশে লিখিত আছে যে— গৌড়ীয় ভাষাতে অভিনব যােবক সাহেবজাতের শিক্ষার্থে কোন পন্ডিত প্ৰবোধচন্দ্রিকা নামে গ্রন্থ রচিতেছেন ।... বঙ্গ ভাষা সম্পবন্ধে বিদ্যালংকারমহাশয়ের ধারণা কিরােপ ছিল তাহার পরিচয় তিনি न्IिCऊ३ भिशा6छन् অসমদাদির ভাষার যােগপৎ বৈখরীর পিতামাত্র প্রতীতি সে উচ্চারণক্রিয়ার অতিশীয়তাপ্ৰযন্ত উপর্যাধোভাবাবস্থিত কোমলতর-বহল-কমলদল সচীবোধন ক্রিয়ার মত। এতদ্রপে প্রবর্তমান সকল ভাষা হইতে সংস্কৃত ভাষা উত্তমা, বহ,বৰ্ণময়ত্বপ্রযক্ত একািব্যক্ষর পশপেক্ষি