পাতা:প্রবন্ধ সংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अङिख्लाषs b"> ܬ সংস্কৃত অলংকারশাস্ত্রে ভাষার নাম “কাব্যশরীর’। কিন্তু এ শরীর ধরাছোঁয়ার মতো পদাৰ্থ নয় বলিয়া যাহারা এ পথিবীতে শািন্ধ স্থলের চর্চা করেন, সাহিত্যের প্রতি তাঁহাদের চিরদিনই একটি আন্তরিক অবজ্ঞা থাকে, এবং ইংরেজি-শিক্ষিত সম্প্রদায়ের নিকট অবাচীন বঙ্গ সাহিত্যই বিশেষ করিয়া অবজ্ঞার সামগ্ৰী হইয়াছিল। এই বিরাট কুসংস্কারের সহিত সম্পমখসমরে প্রবক্ত হইবার শক্তি ও সাহস পাবে ছিল কেবলমাত্র দ-চ্যারি জন ক্ষণজন্মা পরিষের। কিন্তু সাহিত্যচর্চা যে জীবনের একটি মহৎ কাজ, এ ধারণা যে আজ বাঙালির মনে বদ্ধমতল হইযাছে তাহার প্রত্যক্ষ প্রমাণ এই সম্মিলনী। আমাদের নবশিক্ষার প্রসাদে আমরা জানি যে, সাহিত্য জাতীয়-জীবন-গঠনের সব প্রধান উপায়, কেননা সে জীবন মানবসমাজের মনের ভিতর হইতে গড়িয়া উঠে। মানয্যের মন সতেজ ও সজীব না হইলে মানবসমাজ ঐশবধর্থশালী হইতে পারে না। যে মনের ভিতর জীবনীশক্তি আছে তাহার সােপশেই অপরের মন প্রাণলাভ করে এবং মানষে একমাত্র শব্দের গণেই অপরেব মন সম্পর্শ করতে পারে। অতএব সাহিত্যই একমাত্ৰ সঞ্জীবনী মন্ত্র। আমাদের সামাজিক জীবনের দৈন্য জগৎবিখ্যাত এবং সে দৈন্য দীর করিবার জন্য আমরা সকলেই বাগ্র। এই কারণেই শিক্ষিত লোকমাত্রেরই দটি আজ সাহিত্যের উপর বন্ধ ! সাহিত্যই আমাদের প্রধান ভরসাসস্থল বলিয়াই বত মান সাহিত্যের প্রতি আমাদের অসন্তোষও নানা আকারে প্রকাশ পাইতেছে। এ অসন্তোষের কারণ এই যে, লোকে সাহিত্যের নিকট যতটা আশা করে, প্রচলিত সাহিত্য সে আশা পণ করিতে পারিতেছে না। কাজেই নানা দিক হইতে নানা ভাবে নানা ভঙিগতে নানা লোকে এই শিশসাহিত্যের উপর আক্ৰমণ করিতেছেন। এই-সকল সমালোচনার মোটামটি পরিচয় নেওয়াটা অবশ্যক । SO আজ আমরা সকলে মিলিয়া এ সাহিত্যের জাতিবিচার করিতে বসিয়াছি। এ নবপন্ডিতের বিচার, ব্ৰাহ্মণপন্ডিতের বিচার নহে। কেননা বঙ্গ সাহিত্য সবজাতীয় কি বিজাতীয়, সে বিচার ইউরোপীয় শাস্ত্ৰেৰ অধীন। বিশববিদ্যালয়ে আমরা ইউরোপীয় সাহিত্যের পাপচয়ন করি আর না করি, ইউরোপীয় শাস্ত্রের পল্লব যে গ্রহণ করি, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। আমাদের নব সমালোচকেরা প্রধানত দই শাখায় বিভক্ত। এক দলের অভিযোগ এই যে, নবসাহিত্য জাতীয় নয়, কেননা তাহা প্রাচীন নয়। অপর দলের অভিযোেগ এই যে, বর্তমান সাহিত্য জাতীয় নয়, কেননা তাহা লৌকিক নহে । শ্ৰীযন্ত অক্ষয়চন্দ্র সরকার মহাশয় গত দই বৎসর ধরিয়া লোকারণ্যে এই বলিয়া রোদন করিতেছেন যে, দেশের সর্বনাশ হইল, সকুমার সাহিত্য মারা গেল। তাঁহার আক্ষেপ এই যে, তাঁহার কথায় কেহ কান দেয় না, কেননা বাঙালি আজ তাঁহার N5