পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సి ఆ প্রবাসী—কার্তিক, ১৩১৭ হইতে পারি নাই । তবে তিনি জ্যোতিষ শাস্ত্র হইতে বহুতর সংস্কৃত শ্লোকের সরল পঙ্গানুবাদ করিয়াছিলেন— এই অনুবাদিত শ্লোকমাণ এখনও লোকমুথে প্রচলিত আছে। ষাট সত্তর বৎসর পূর্ব পর্যন্ত কবির বাসস্থানের চতুঃপার্শ্ববর্তী গ্রামসমূহেব পাঠশালার ছাত্রগণকে এই শ্লোকমালা কণ্ঠস্থ করান হষ্টত। এই স্থানে মাত্র একটি শ্লোক সংগৃঙ্গীত ਲੁਛੋਟਾ-- ‘কে দিল অনলে হাত কে ধরিল ফণি । অষ্টম মঙ্গল বার রন্ধ গত শনি ॥’ অর্থাৎ র্যাঙ্গার জন্মনক্ষত্র হইতে অষ্টম স্তলে মঙ্গল বা যাহার রন্ধ গত শনি, তিনি ভিন্ন অপর আর কোন ব্যক্তি অনলে হস্তক্ষেপ বা ফণি ধরিয়া নিজকে বিপদগ্ৰস্ত করিবে ? গঙ্গনারায়ণের অনুদিত এইরূপ শ্লোকমালা সংগ্রহের চেষ্টা হইতেছে । ভবানী-মঙ্গল’— এইবার আমরা কবি গঙ্গানারায়ণবিষয় নির্দেশ। বিরচিত “ভবানী-মঙ্গল” কাব্য আলো চনায় প্রবৃত্ত হইব । কবি গ্রন্থারস্তে গণেশ, দুর্গা, শিব, রাম, কৃষ্ণ, গঙ্গা, শু্যামা, চৈলন্ত এবং প্রত্যেক দেবতাব বন্দনা করিয়াছেন । তদনস্তব, অভিলাষ করে দাস শুন মা শঙ্করী। রচিৰ তোমীর লীলা মনে ৰাঞ্ছ। কবি ৷ পুরাণ-সম্মত কথা রচিৰ ভাষাতে । অষ্ট দিবসের গান ছন্দ নানা মতে ॥ 来 举 اند আসরে উরিয়৷ ঘটে হবে অধিষ্ঠান । লtএক জনেরে সদা করিবে কল্যাণ ॥ গায়েন বায়েন অর নৃত্যকের প্রতি । সদয় থাকিবে মতো দেবী ভগবতী ॥ এক্টরূপে শঙ্করী ভবানীর, ‘গায়েন’, ‘বায়েন’ ও ‘নৃত্যক’ প্রভৃতি সকলের প্রতি আশীৰ্ব্বাদ ভিক্ষা করিয়া পুরাণসম্মত ভলানী-চরিত্র অষ্ট দিবসব্যাপী গীতিচ্চলে বিবিধ ছন্দে ভাষা-কথায় রচনা করিতে প্রবৃত্ত চক্টয়াছেন । দক্ষ-যজ্ঞে সতী দেহত্যাগের পর, গিরিরাজগুহে মেনকারাণীর গর্ভে উমারাপে জন্মগ্রহণ করেন। উমা বা গেীরীর জন্ম-উপাখ্যান হষ্টতে ভবানী-মঙ্গল গ্রন্থ আরম্ভ হইয়াছে। ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড উৰ্ব্বণী মেনক রঙ যতেক রূপসী । যোগ্যতা কি যোগ্য হবে চরণের দাসী ॥ অপরূপ রূপগুণ নাহি হয় লেখা । গৌরী গুণময়ী গিরি-গোষ্ঠীর পতাকা । এই “গুণময়ী গিরি গোষ্ঠীর পতাকা” গৌরীর বাল্যলীলা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বর্ণন করিয়া নির্জন বনে র্তাহার তপস্তা বর্ণনা কবিয়াছেন । এই তপস্যা বর্ণন পাঠের সময় “কুমার সম্ভবের” কথা মনোমধ্যে উদিত হয় । তপস্তান্তে শিব উপস্থিত শ্লষ্টলেন— ८१उठ ३लि विश्वनाथ् ¢शोग्नेौ पठाएछ क्षिश झांड আপাদমস্তক ধূলি ঝাড়ি । কহেন বিনয় ৰাণী আমায়ে আপন জানি কেমনে আছিল। আমি। ছাড়ি ॥ কৈলাস বিলাস বাস নহে মোর অভিলাষ তোমারে না দেখি অন্ধকার । আজি মোর পুণ্য দিন যুগল নয়ন তিন দিব্যরূপ দেখিল তোমার ॥ এই বলিয়া পুনমিলনের কথা জ্ঞাপন করিলেন । এদিকে গিরিরাণী, তপস্তা-নিরত গৌরীর আদর্শনে বিহবলা হইয়। উমার গুণ ও মাঙ্গাত্ম্য কীর্তন করিতে করিতে সাক্ষাৎকাব লাভ কবিলেন । গৌরীর রূপবর্ণন প্রসঙ্গে গিবিরাণী বলিতেছেন, হস্তেতে সমস্ত তোর অপূৰ্ব্ব অঙ্গুলি । পূজা হেতু ভক্তে পাছে নেয় চাপ বলি । তদনন্তও, গৌবীর বিপাঙ্গ –নাওদের আগমন ও ঘটকালি মেনকা বলেন মুনি মোর কথা ধর । ঘর বর ভাল হয় ইছ বুঝে কর । শিবের বিবাঙ্গ নারদের নিমন্ত্রণ পিপাঙ্গ-বাসর কন্যাদান প্রভৃতি বিষয় যথারীতি বর্ণন করিয়াছেন। বিবাহন্তে, গিার রাজের গুঙ্গে শিব এক বৎসরকাল অবস্থান করিলেন। শ্বশুরগুঙ্গে এই দীর্ঘকাল অবস্থিতির জন্ত গৌরী, সখীগণের নিকট শিপ'নন্দ শ্রবণ করিয়া স্বামীকে সনিৰ্ব্বন্ধ অঞ্জবোধ করিলেন, শ্বশুরমন্দিরে বাস তাজ প্ৰভু অভিলাষ শীঘ্ৰ চল নিজালয় ও থা। তদনন্তর গৌরী, চলিয়া শিবের সাথে আসিয়া অৰ্দ্ধেক পথে বসিলেন শঙ্কর পাৰ্ব্বতী ॥