পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> o R গ্রন্থ, আর এই গ্রন্থ আমরা যখন আমাদের নিজেদেব মনের ভিতর হইতে গড়িয়া তুলি নাই, সত্যের চিরন্তন সাক্ষী স্বরূপে ই চ1 যখন তোমাৰ অামাব সকলে বষ্ট বাহিরে প্রতিষ্ঠিত আছে, তখন ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে তোমার আর আমার— স্বধৰ্ম্ম ও পরধৰ্ম্ম—এমন কথা আদৌ উঠিতেই পারে না । এখানকার ভেদ ধৰ্ম্মে আর অধৰ্ম্মে, সত্যে অণর অসত্যে । তোমার ধৰ্ম্ম তোমার, অামার ধৰ্ম্ম আমার, তোমার সত্য তোমার, আর আমার সত্য আমার—এ রাজ্যে এমন অদ্ভূত দাবি চলিতেই পারে না । জগতের যে সকল ধৰ্ম্ম মতবিশেষের উপরে প্রতিষ্ঠিত, যাচাদের প্রামাণ্য অতি প্রাকৃত-শাস্ত্র বা প্রবক্তা বা গুরু বা অবতার, ইংরেজি ভাষায় যে সকল ধৰ্ম্মকে ক্রেড্যাল রিলিজন—credal religion- বলা হয়, সে সকলে “স্বধৰ্ম্মে নিধনং শ্রেয়ঃ পরধৰ্ম্ম ভয়াবত” – এমন উপদেশের স্থান নাই, থাকা সম্ভব নচে । কিন্তু র্যাঙ্কার ধৰ্ম্মের প্রামাণ্য বাহিরে অন্বেষণ করেন না, কিন্তু মানবের অন্তরেই স্থাপন করিয়া থাকেন, র্যাহারা ধৰ্ম্মকে একান্তভাবে শুদ্ধ স্বাকুভূতির উপরে প্রতিষ্ঠিত করিতে চাহেন, তাহারা কেমন করিয়া এই উপদেশকে উড়াইয়া দিতে পারেন, ইহা বুঝি না । বাতিবের প্রামাণ্য একান্তভাবে বর্জন করিয়া ধৰ্ম্মকে শুদ্ধ অগুরের অনুভূতির উপবে স্থাপন করিলে, তাচার গৌরব ক্ষুণ্ণ হয় ; সতো ও মতে কোনই প্রভেদ থাকে না, ইষ্ঠ বুঝি। শাস্ত্র গুরু একান্তভাবে পরিষ্কার করিয়া, ধৰ্ম্মকে প্রাক্কতজনের চঞ্চল বিচারবুদ্ধির উপরে গড়িয়া তুলিবার চেষ্টাতে, তাছার স্থায়িত্ব ও সনাতনত্ব অনেকটা নষ্ট হইয়া যায়, স্বীকার করি। যাহারাষ্ট ধৰ্ম্মকে সিদ্ধ ও অসিদ্ধ, অধিকারী ও অনধিকারী, এ সকল বিচার না করিয়া, ব্যক্তিগত মতামতের উপরে প্রতিষ্ঠিত করিতে গিয়াছেন, তাছারাই যে কালক্রমে আপনাদের ধৰ্ম্মসাধনের ও ধৰ্ম্মসমাজের উচ্ছঙ্খলতা দেখিয়া ভীত হইয়াছেন, ইহাও জানি । এবং এষ্ট সাংঘাতিক আপত্তি খণ্ডনের চেষ্টায়, তাহারাষ্ট যে আবার প্রাচীন শাস্ত্র, প্রাচীন গুরু, প্রাচীন প্রবক্তা ও পয়গম্বরদিগকে উড়াইয়া দিয়াও, পরিণামে নূতন সংহিতা, নূতন গুরু, নূতন প্রবক্তার প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন, ইচাও দেখিস্বাচি । সত্যের নামে, স্বাধীনতার নামে ধৰ্ম্মেৰ নামে প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ ১০ম ভাগ, ২য় ও মনুষ্যত্বের নামে র্যাহার জনসমাজের প্রাচীন বন্ধনকে নিৰ্ম্মমভাবে ছেদন করিয়াছিলেন, তাহারাষ্ট যে আবার আপনাদের দুদিনের মত ও সংস্কারের বন্ধনে দুনিয়াকে বাধিতে চেষ্টা করিয়াছেন, ইহাও অবিদিত নহে। এরূপ হওয়াই স্বাভাবিক । মানুষ যেখানেই আধখানা সত্য লষ্টয়া কলহ-কোলাঙ্গলে প্রবৃত্ত হয়, সেখানেই শেষে আপনার অসঙ্গীতজালে আপনি আবদ্ধ হইয় পড়ে । যাহারা ধৰ্ম্মকে একান্তভাবে লাঙ্কিরের প্রামাণ্যের উপরে, অতিপ্রাকৃত শাস্ত্র বা গুরু বা অবতারাদির উপরে, প্রতিষ্ঠিত করিতে গিয়াছেন, তাহারা সত্যের আধখানা মাত্র ধরিয়াছেন । অন্তপক্ষে র্যাহার এই অপূর্ণ সত্যকে একাত্ত অসত্য ভাবিয়া, চচার পতিবাদ করিতে যাইয়া, ধৰ্ম্মবস্তুকে একান্তভাবে শুদ্ধ অন্তবের অনুভূতিব উপবেই স্থাপন করিতে গিয়াছেন, তাহারাও সত্যের আধখানা মাত্র ধৰিয়াছেন । ফলতঃ ধৰ্ম্মবস্তু একান্ত বাহির হইতেও আসে না, একান্ত ভিতর হইতেও ফুটিয়া বাচির হয় না । মামুষেব অন্তরঙ্গ জীবনের সকল বিষয়েই ভিতরের সঙ্গে পাহিরের একটা নিত্য, অপৰিহাৰ্য্য, অঙ্গাঙ্গী সম্বন্ধ রহিয়াছে । আপাতত হয়ত আমরা এমনও ভাবিতে পারি যে এই বিশাল জড়রাঙ্ক্য আমাদের বাঙ্গিরে পড়িয়া আছে, এবং কিন্তু কথা ইঙ্গার বিপরীত । আমাদেব জ্ঞানের বিষয় বাহিরের সভ্যতা, কিন্তু আমা দর মনের ভিতরে কতকগুলি ছাঁচ আছে, সেষ্ট ছঁাচের ভিতর দিয়াই বান্তিরের সর্ববিধ বিষয় আমাদের জ্ঞানগোচর হইয়া থাকে। এই ছাঁচটা আমাদের ভিতরকার বস্তু, আমাদের নিজস্ব সম্পত্তি । এই ছাচটা কিন্তু সকলের ঠিক সমান নয় । এষ্ট জন্ত বাহিরের বিষয় যখন একই হয়, তখনও সেই একই বিষয় অবলম্বনে ভিন্ন ভিন্ন লোকের মনে যে জ্ঞানের উদয় হয়, তাহা সৰ্ব্বথা এক আকারের হল্প না । আর বাহিরের বিষয় যেমন মনের এক্ট অন্তরঙ্গ ছাচে পড়িয়াই কেবল আমাদের জ্ঞানগোচর হইয়া থাকে, সেইরূপ মনের ভিতরকার এই ছাচগুলিও, বাহিরের বিষয়েই সংস্পর্শে না আন পৰ্য্যস্ত কখনও সজাগ, সচেতন, কার্য্যকরী হয় না। DDDD HH u uBBB BBuH uBB SiS SiS বাহির হইতেই আমবা ইহাকে জানিয়া থাকি । সন,া