পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্য ৷ কেবল তাঙ্কাই মাত্র ধরিতে ও সাধন করিতে পারি, আমাদের পশুত্বকেই এক্ষেত্রে আমরা উপলব্ধি করিতে পারি, তাহার উপরে উঠা সাধ্যায়ত্ত হয় না । তেমনি মানুষ যখন আমাদের সন্মুখীন হইয়", আমাদের বিষয়ৰূপে প্রতিষ্ঠিত হুন, তখন আমরা তাঙ্গকে জানিয়া, নিজেদের সাধারণ মনুষ্যত্ব মাত্র উপলব্ধি করিতে সমর্থ হই। সেইরূপ র্যাকাদের মধ্যে জীবত্ব, সাধনপ্রভাবে, শিবত্বে ফুটিয়া উঠিয়াছে, র্যাহারা জীবন্মুক্ত, সেই সকল সিদ্ধ মহাপুরুষগণের সাক্ষাৎকার যখন লাভ করি, তাহাদের দেবচরিত্র যখন আমাদের মনের ভিতরকার ছাচে পড়িয়া আমাদের জ্ঞানের, ধ্যানের, ভক্তিব, ভোগের বিষয়ীভূত হয়, তখন আমরা তাহাদিগের সাহায্যে নিজেদের দেবত্ব, শিবত্ব, ব্ৰহ্মাত্মৈকত্ব অনুভব ও উপলব্ধি করিয়া থাকি । বাঙ্গিরের বিষয়কে অবলম্বন করিয়া আমাদের অস্তরের জ্ঞান জন্মিয় থাকে, সেই বিষয়কে ধরিয়াই জ্ঞান উত্তরোত্তর পূর্ণতা ও পরিণতি প্রাপ্ত হয় । এষ্ট বাহিরের আশ্রয় ব্যতিরেকে জ্ঞানক্রিয়া অসম্ভব, জ্ঞানের গতি অবরুদ্ধ হক্টয়া পড়ে। সেইরূপ বাহিরে বিবিধ রসের যে মূৰ্ত্তি ও ক্রিয়া প্রকাশিত হয়, সেই সকল অবলম্বন করিয়া, তাহাদেরই আশ্রয়ে আমাদের অস্তরে রসামুভূতি লাভ হইয়া থাকে । রসের মূৰ্ত্তি নাই, বিষয় নাই, বহিঃপ্রকাশ নাই, অথচ শুদ্ধ ঐকান্তিক আন্তরিক বসসম্ভোগ হয়, ইহা একান্তই অসম্ভব । বাহিরের বিষয় ধরিয়াই অস্তরে জ্ঞান ফুটে । বাহিরের রসমূৰ্ত্তিকে দেখিয়াই অস্তরের রঞ্জিনীবৃত্তি নাচির উঠে। তেমনি বাহিরে ধৰ্ম্মের যে মূৰ্ত্তি ও ক্রিয়াকলাপ প্রতিষ্ঠিত কষ্টয়াছে, নিত্য নিত্য ধাৰ্ম্মিকমণ্ডলীর জীবনে ও চরিত্রে যে মূৰ্ত্তি ক্রমবিকাশ লাভ করিয়াছে ও করিতেছে, ত হার সাক্ষাৎকারে, তাহাকে অবলম্বন করিয়া, তাহারই প্রেরণাতে আমাদের অস্তরে ধৰ্ম্ম সজাগ হইয়া উঠে। ধাৰ্ম্মিকের সঙ্গে ধৰ্ম্মের, শাস্ত্রের সঙ্গে স্বানুভূতির, বাহিরের ধৰ্ম্মানুষ্ঠান ও ধৰ্ম্মচরিত্রাদির সঙ্গে অস্তরের ধৰ্ম্মভাবের, ও ধৰ্ম্মের আদর্শের এই অঙ্গাঙ্গী সম্বন্ধ । ধৰ্ম্ম বাহির হইতে আসে না, অস্তরেই জাগ্রত হয়। কিন্তু বাহিরে ধৰ্ম্মের যে প্রকাশ, শাস্ত্র গুরু প্রভৃতিতে ধৰ্ম্মের যে মূৰ্ত্তি প্রকট হইয়াছে, তাছাকে অবলম্বন করিয়া, স্বধৰ্ম্ম ও পরধৰ্ম্ম So & তাহার সহায়ে, তাহার প্রেরণায় ধৰ্ম্ম জাগে ৷ ধৰ্ম্মে শাস্ত্র গুরু প্রভৃতিরও স্থান আছে । আর এ স্থান ও অধিকার অসত্য নহে, সত্য ; আকস্মিক নহে, নিত্য । আমাদের অন্তরের জ্ঞান ভাবাদি সকল বিষয়েরষ্ট সঙ্গে বাহিরের যে একটা সত্য, নিত্য, অঙ্গাঙ্গী সম্বন্ধ রহিয়াছে, জ্ঞানের, রসের, ধৰ্ম্মের সকল আস্তরিক অভিজ্ঞতারই ভিতরে ও বাহিরে যে দুইটী মূৰ্ত্তি দেখিতে পাই, ইঙ্গার অর্থ এই যে, আমাদের অস্তব ৪ লাহির উভয়ই এক অখণ্ড নিত্য সত্তার উপরে প্রতিষ্ঠিত । সেই একেরই অভিব্যক্তি বাহিরে, আর তাঙ্গারক্ট অভিব্যক্তি আমাদের অস্তরে । একই জ্ঞানবস্তু, একই নিতাসিদ্ধ চৈতন্য একদিক দিয়া আমাদের জ্ঞানে, আমাদের বুদ্ধিতে ও অপর দিক দিয়া বাহিরের জ্ঞেয় বিষয়রাজ্যে আপনাকে প্রকাশিত করিতেছেন বলিয়া আমরা বাঙ্গিরের বিষয়ের সঙ্গে জ্ঞানস্থত্রে আবদ্ধ হইতেছি । সেই পরম চৈতন্তই জ্ঞেয়, তিনিষ্ট জ্ঞাত ; জ্ঞান, জ্ঞেয়, জ্ঞাতা,-- এই সম্বন্ধ তাঙ্কাতেই প্রতিষ্ঠিত। অন্তর বাতিরের সমন্বয়। সেখানেষ্ট সেইরূপ একই নিখিল রস, বাঙ্গিরের রসমূৰ্ত্তি সকলে ও অন্তরের রসগ্রাঙ্গ রঞ্জিনীবৃত্তির ভিতরে উভয়তঃ প্রকাশিত হইতেছেন বলিয়া, আমাদের সৰ্ব্ববিধ ভোক্তাভোগ্যের সম্বন্ধ সম্ভব হইতেছে। সেই রসস্বরূপে আমাদের সকল আনন্দের অভিজ্ঞতা প্রতিষ্ঠিত। ভিতরে সম্ভোগেও সেই একই রসস্বরূপ, বাহিরে ভোগ্যেও সেই একই রসস্বরূপ আত্মপ্রকাশ করিতেছেন। রসরাজ্যে তাঙ্গতেই অন্তর বাৰ্তিরের সন্মিলন ও সমন্বয় । ধৰ্ম্ম সম্বন্ধেও তাঙ্গাই । ধৰ্ম্মের বর্তিরঙ্গ শাস্ত্র গুরু, আচার অনুষ্ঠান, ক্রিয়াকৰ্ম্ম,-- এ সকলই তাহা হইতে প্রকাশিত হইয়াছে, আর অস্তরের ধৰ্ম্মভাব ও ধৰ্ম্মের প্রেরণাও তাহা কষ্টভেক্ট আসিতেছে। তিনিষ্ট ধৰ্ম্মাবহ হইয়া বাচিরে, সমাজের জীবনে অস্তরে, প্রত্যেক ব্যক্তির অশুভূতিতে আত্মপ্রকাশ করিতেছেন। এই জন্যই সমাজ-জীবনের বিধি নিষেধ ব্ৰতানুষ্ঠানাদির সঙ্গে আমাদের অস্তরের ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তির যোগ ও আদান প্রদান সম্ভব হইতেছে। কিন্তু সকল বিষয়েষ্ট ভিতর বাহির অপেক্ষ বড়। বাতিরে স্থিতির শক্তি, ভিতরে উন্নতির প্রেরণা। বাহিরের সাহায্যে ভিতরকার জ্ঞানভাষাদি যতষ্ট জাগিয় উঠে, ততষ্ট আবার এই