পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y හි \ෂ ভিতরকার ভাবের প্রেরণায় বাহিরের জ্ঞানাঙ্গ, ভালাঙ্গ, কৰ্ম্মাঙ্গ প্রভৃতিও উত্তবোত্তর পরিপুষ্টি লাভ করে । আর যে অদ্বৈততত্ত্বে ভিতর বাহিরের সমন্বয় হয়, সেই অদ্বৈততত্ত্বেষ্ট স্বধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠিত এবং তাঙ্গারই উপরে পর ধৰ্ম্মেরও প্রতিষ্ঠা । শ্রীবিপিনচন্দ্র পাল । মহাত্মা কেশবচন্দের ধৰ্ম্মসাধন মহাত্মা কেশবচন্দ্র বর্তমান যুগেব একজন শ্রেষ্ঠ পুরুষ ; তাঙ্গৰ কাৰ্যা অতি অদ্ভূত ; তিনি ধৰ্ম্মেব উন্মাদিনী শক্তিতে উন্মত্ত কষ্টয়া শিক্ষিত বাঙ্গালীর হৃদয়ে ধৰ্ম্মের এক বৈজ্ঞান্তিক তেজ সঞ্চারিত করিয়াছিলেন । চষ্টয়া এ দেশেব অনেক যবক দঢ়মৃষ্টিতে সত্য ও দ্যায়কে সেই তেজে তেজস্বী ধরিয়া পাপ ও দুর্নীতির সঙ্গে সংগ্রাম করিয়াছেন , এলং অনেক তরুণবয়স্ক ব্যক্তি সদৰ্পে বিষয়েব বন্ধন ছিন্ন করিয়া দেশের সেবায় আত্মবিসর্জন কবিয়াছেন। কেবল তাঙ্গাই নচে । কেশবচন্দ্র তাঙ্গর অসামান্য প্রতিভা ও বাগিাতাশক্তির সাহায্যে আধ্যাত্মিক সত্যকে অনিৰ্ব্বচনীয় ভাবে পূর্ণ করিয়া তুলিয়াছিলেন। জষ্ট জগতের ধৰ্ম্মসমাজের লোকের বিস্ময়পূর্ণনেত্রে প্রচারিত ধৰ্ম্মের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়াছিলেন । এমন এক সময় ছিল, যখন কেশবচন্দ্র কোন নূতন কথা বলিলেন, কোন নুতন সত্য প্রচার করিলেন, তাঙ্গ জানিবার জন্ত ইংলণ্ড ও এমেরিকার ধৰ্ম্মসমাজের লোকের উৎসুক কষ্টয়া থাকিতেন । যে সময় দেশের লোক সৰ্ব্বপ্রকার উন্নতিলাভের জন্ত ব্যগ্র গুইয়া উঠিয়াছেন, তৎকালে কেশবচন্দ্রের জীবন ও কার্যা সম্বন্ধে আলোচনা করা আবশুক । এই জন্ত আমরা কেশবচন্দ্রের ধৰ্ম্মসাধন কৰ্ম্মযোগ ও ধৰ্ম্মপ্রচার বিষয়ে আলোচনা করিব । সৰ্ব্বাগ্রে কেশবচন্দ্রের ধৰ্ম্মসাধন সম্বন্ধেই আলোচনা করা যাউক । কেশবচন্দ্র হৃদয়ে স্বাভাবিক ধৰ্ম্মভাব লইয়াই জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । বয়োবুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই র্তাহার অস্তরে সেই ধৰ্ম্মভাব পরিস্ফুট হষ্টয় উঠিয়াছিল । তিনি যখন অল্পবয়স্ক বালক, তখনই মৎস্ত ও মাংস-আহার ఆగ్ সেই Q 5 সুতরাং প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড ত্যাগ করিয়াছিলেন । সেই বাল্যকালে প্রতিদিন স্নানান্তে পট্টলস্থ পৱিতেন, সৰ্ব্বাঙ্গে হরিনাম অঙ্কিত করিতেন ; ইহাতে তাঙ্গর দেহের লাবণ্য বৃদ্ধি হইত ; একটি পুণ্যশ্ৰীতে র্তাহাকে তাপস-বালক বলিয়া মনে হইত। কেশবচন্দ্রের তরুণবয়সে তাঙ্গার পৈতৃক বৈষ্ণবধৰ্ম্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ছিল । কিন্তু হিন্দুকলেজে ইংরাজি সাহিত্য, দর্শন ও বিজ্ঞান অধ্যয়ন করার পর, আর কোন পাচীন ধৰ্ম্মের উপর বিশ্বাস রক্ষা করিতে পারেন নষ্ট । তাঙ্গ বলিয়া তিনি উন্মাৰ্গগামী যুলকদিগের ন্যায় উচ্চ জ্বল চষ্টয় উঠেন নাই। কেশবচন্দ্ৰ নাকি পরবর্তী সময়ে লোকের ধৰ্ম্মগুরু হইবেন, সেই জন্য জীবনের এই উষাকালে ধৰ্ম্মের এক অনুপম আলোকচ্ছটা তাহার অন্তরে প্রকাশিত হইল ; সেই নিৰ্ম্মল আলোকবশ্মিতে র্তাহার জীবনপুষ্পের দলগুলি পিকশিত তষ্টয়া উঠিল ; সুমধুর গীতধ্বনির ন্যায় ঈশ্বরের অমৃতময়ী বাণী তাঙ্গর অন্তরে প্রবেশ করিল। তিনি স্পষ্টষ্ট শুনিতে পাইলেন, কে যেন তাঙ্গার প্রাণের ভিতর হইতে বলিয়া উঠিল— “তুমি প্রার্থনা কর, তুমি প্রার্থনা কর।” কেশবচন্দ্র অকস্মাৎ এই বাণী শ্রবণ করিয়া স্তম্ভিত হইলেন। বিশ্বাস ও ভক্তিতে তাতার হৃদয় পূর্ণ হইল । তিনি ল্যাকুল অস্তরে ঈশ্বরেব নিকট প্রার্থনা করিতে লাগিলেন । এই ঘটনা সম্বন্ধে কেশবচন্দ্র স্বয়ং “জীবনবেদ” গ্রন্থে লিথিয়াছেন, “ধৰ্ম্মজীবনের সেই প্রথম উষাকালে ‘প্রার্থন কয়’, ‘প্রার্থনা কক্স’ এই ভাব, এই শৰা, হৃদয়ের ভিতর হইতে উখিত হইল । * ৫ জীৰমের সেই সময় আলোকের প্রথমাভাস স্বরূপ প্রার্থনা কল্প, প্রার্থনা ভিন্ন গতি নাই” এই শব্দ উচ্চারিত হইল । * * কে প্রার্থনা করিতে বলিল, তাছাও লোককে জিজ্ঞাসা করিলাম না। ভ্রাপ্ত হইতে পারি, এ সন্দেহও হইল না। প্রার্থনা করিলাম ।” কেশবচন্দ্র এষ্ট প্রার্থনাব সাহায্যেই ধৰ্ম্মপথে অগ্রসর হইতে লাগিলেন । প্রার্থনার মধ্য দিয়াই তাহার অন্তরে নিরাকার অনন্তস্বরূপ ঈশ্বরের সত্ত্ব উজ্জ্বল হৃষ্টয়া উঠিল । তাঙ্কার পর স্বৰ্গীয় রাজনারায়ণ বস্ন মহাশয়ের রচিত ব্রাহ্মধৰ্ম্মের একখানি গ্রন্থ কেশবচন্দ্রের হস্তগত হইল । গ্রন্থখানি মনোযোগপূর্বক পাঠ করিলেন। ব্রাহ্মধর্শ্বের মত ও বিশ্বাস কি, তাঁহাই উক্ত গ্রন্থে বর্ণিত ছিল। কেশবচন্দ্ৰ দেখিলেন, ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের মত ও বিশ্বাসের সঙ্গে