পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্য। ] তাঙ্গর অন্তরাস্তুত ধৰ্ম্মভাবেব সম্পূণ এক্য আছে । এষ্ঠ জন্য তিনি ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ করিলেন । তথন মতষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রাহ্মসমাজের পরিচালক ও প্রধান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি তৎকালে হিমালয় পৰ্ব্বতে তপস্তায় নিযুক্ত ছিলেন । তৎপরে দেবেন্দ্রনাথ ঋষিত্ব লাভ করিয়া কলিকাতায় ফিরিয়া আসিলেন । দেবেন্দ্রনাথের মধ্যম পুত্র সিবিলিয়ান শ্ৰীযুক্ত সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাছার সহাধ্যায়ী কেশবচন্দ্রকে মঙ্গর্ষির নিকট উপস্থিত করিলেন । মহর্ষি কেশবচন্দ্রের সৌম্যমূৰ্ত্তি নিরীক্ষণ করিয়া তাহাকে চিনতে পারিলেন ; কেশবচন্দ্রের ভিতরে যে এক আধ্যাত্মিক তেজ প্রচ্ছন্ন ছিল, তাত মহর্ষির চক্ষে ধরা পড়িল । একজন বৈজ্ঞানিক খনির উপরের মৃত্তিকাস্তর দেখিয়াই বুঝিতে পারেন, ভিতরে স্বর্ণখণ্ড লুক্কায়িত আছে । তেমনি মহর্ষি কেশবচন্দ্রের জ্যোতিঃপূর্ণ মুখমণ্ডল দেখিয়াই বুঝিলেন, ইহাব আত্মার মধ্যে আধ্যাত্মিক রত্ন লুক্কায়িত আছে । মহর্ষি তাই শ্রদ্ধা ও প্রীতির সচিত এই তরুণ যুবককে গ্রহণ করিলেন । অল্পদিনের মধ্যেই কেশবচন্দ্র মহর্ষির প্রিয় শিষ্য ও প্রিয়তম পুত্রের মধ্যে গণ্য হইলেন । ধৰ্ম্মপ্রাণ কেশবচন্দ্র মঙ্গর্ষি দেবেন্দ্রনাথের সংসর্গে বাস কবিয়া সাধনের জন্ত অধিক ব্যাকুল হইয়া উঠিলেন। তিনি প্রথমতঃ বৈরাগ্য ও পবিত্রত লাভের জন্তই সাধন আরম্ভ করিয়াছিলেন । ঘূণা জন্মিয়াছিল। অন্তরে পাপবোধ আতিশয় প্রবল চষ্টয়া উঠিয়াছিল। মানুষেব মন যখন ঈশ্বরকে পাইবার জন্য ব্যাকুল হইয় উঠে এবং হৃদয়ে স্বর্গের রশ্মি আসিয়া পড়ে, তখন স্বভাবতঃই আত্মদৃষ্টি প্রবল হয়; মানুষ আপনার মধ্যে পাপের সুক্ষ্মরেখা দেখিয়াও ভয়ে ভীত হইয়া উঠে। কেশবচন্দ্রের তাহাক্ট হইয়াছিল । তিনি আপনার হৃদয়কে নিৰ্ম্মল পুষ্পদলের দ্যায় স্থপবিত্র রাখিবার জষ্ঠ সংকল্প গ্ৰহণ করিয়া'ছলেন । এ বিষয়ে কেশবচন্দ্র “বিয়োগ ও সংযোগ” শীর্ষক উপদেশে বলিয়াছেন, “কিলে পাপ যায়, প্রথম এই একই চেষ্টা ছিল ; কিসে মনে কুপ্রবৃত্তি না হয় এই ভাবই ছিল। কিসে পরসেবা করিয়া সার্থকজন্ম इ*ष, करब्रक भाम षब्रिग्नl aहे डांबई भtनब्र शग्रेो छांब ह*ण । * * কখনও বৈরাগ্য, কখনও পুণ্য, কখনও প্রেম একটি একটি করিয়া সাধন कब्रिग्नांझ् ि। श्रेत्ररब्रङ्ग श्रब्ररथब्र भtषा यथम झारग्नब्र छांबई झनरग्न यवण হইয় প্রকাশিত হয় ।” র্তাহার পাপের প্রতি ভয়ঙ্কর মহাত্মা কেশবচন্দ্রের ধৰ্ম্মসাধন So a SEBBaaeS EKK K 0 SSBBSSSBBB BBES HHBSBBS B করিলেন ; তাঙ্গর পর তাeাব স্বচ্ছ হৃদয়ে ভক্তির প্রকাশ হইল । তিনি ভক্তিতে বিভোর হইয়া প্রকাশু রাজপথে সঙ্কীৰ্ত্তন বাহির করিলেন । আমরা এখন দেখিতেছি, শিক্ষিত লোকেরাও মস্তক মুণ্ডন ও সৰ্ব্বাঙ্গে হরিনাম অঙ্কিত করিয়া রাজপথে কীৰ্ত্তন করিতে বাহির হন । কিন্তু যে সময়ের কথা বলিতেছি, তখন কোন শিক্ষিত ব্যক্তি কীৰ্ত্তনের প্রতি শ্রদ্ধ। প্রকাশ করিতেন ? সৰ্ব্বপ্রথম ভক্ত কেশবচন্দ্র মহাত্মা চৈতন্তের ঈদয়োম্মাদকারী কীৰ্ত্তনকে শিক্ষিত ব্যক্তিদিগের মধ্যে লইয়া আসিলেন ; শান্তিপুরের গোস্বামী বংশের ভক্ত বিজয়কৃষ্ণ তাঙ্কার সাহায্য করিলেন । কেশবচন্দ্র স্বীয় অস্তরে ভক্তির স্মরণ সম্বন্ধে লিপিয়াছেন – “এই জীবনে প্রথম ভক্তি ছিল না, প্রেমের ভাবও অধিক ছিল না ; অল্প অমুরাগ ছিল । ছিল বিশ্বাস ছিল বিৰেক, ছিল বৈরাগ্য । তিনের প্রথম অক্ষর ব, স্মরণের পক্ষে হযোগ । তিন লইয়। এই সাধক ধৰ্ম্মক্ষেত্রে বিচরণ করিতে লাগিল। ক্রমে আর যাহ। প্রয়োজনীয়, সমস্তই দেখা দিল । ভক্তির সঞ্চার হইল বটে ; কিন্তু কেশবচন্দ্র সাধনে নিবৃত্ত হইলেন না । কারণ ভক্তির সাধন দুচারি দিনেই শেষ হইবার নহে । ভক্ত নব নব সাধনের দ্বারা যতক্ট বিশ্বাস ও ভক্তিলাভ করিতে থাকেন, ততষ্ট তাছার চিত্ত সৌন্দৰ্য্যময়ের অনুপম রূপমধুরী দর্শন করিয়া, ভক্তির নূতন নূতন ভাব লাভ করিবাব জন্য ব্যাকুল হইয়া উঠে। তাই সাধক সাধনের নব নব উপায় উদ্ভাবন পূর্বক তপস্তায় নিমগ্ন হষ্টয়া যান। কেশবচন্দ্র ও সাধনের নূতন নুতন উপায় আবিষ্কার করিয়া, তদনুসারে সাধনে প্রবৃত্ত হইলেন । এই সাধনের জন্ত কেশবচন্দ্র বেলঘরিয়ার উদ্যানে বাস করিতে লাগিলেন । এই উদ্যানটি অতিশয় রমণীয় । ইতার চতুর্দিকে তরিৎবর্ণ তরুলতা ও শু্যামল তুণরাজি শোভা পাচত ; বৃক্ষশাখা সবুজ পত্রে ও পুষ্পস্তবকে অত্যন্ত মনোচর হইয়া উঠিত ; বিহঙ্গমগণ সুস্বরে কানন মধুময় করিয়া তুলিত এবং প্রজাপতি স্বর্ণপাখা বিস্তার কবিয়া স্কুলে ফুলে ঘুরিয়া বেড়াইত। কেশবচন্দ্র তাঙ্গার প্রচারক সঙ্গীদিগকে লষ্টয়া এই মনোরম উষ্ঠানে স্বহস্তে রন্ধন ও শাকান্ন ভোজন করিয়া ধৰ্ম্মসাধন করিতেন । প্রচারকগণ র্তাহার সাধনশক্তির সঙ্গে রন্ধন-নৈপুন্ত দেখিয়াও বিঘ্নিত হইতেন।

  • * ঈশ্বরপ্রসাদে অবশেষে ভক্তির সঞ্চার হইল।”