পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> > と कब्जिा गझाङ्ग जब दाजै ििन्त्र आएनन। उथन श्हेउ অঘোর অচৈতন্ত—আজও জ্ঞান হয় নাই। গত রাত্রি হইতে মুখ ও গলা ফুলিয়া উঠিয়াছে । ডাক্তার বলিয়াছেন "ইহা প্লেগ ভিন্ন আর কিছুই নহে ।” কম্পিত বক্ষে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঘরে ফিরিয়া আসিলেন এবং মনে মনে প্রতিজ্ঞা করিলেন যত শীঘ্ৰ পারেন মুঙ্গের ত্যাগ করিবেন। বাট প্রবেশ করিতেই দ্বারে মনোরমার সঙ্গে সাক্ষাৎ হইল । মনোরম বলিল “কি গো, ব্যাপার কি ? তোমার মুখ অমন শুকনে কেন ?” উদ্বিগ্ন দ্বিজেন্দ্রনাথ বলিল “সৰ্ব্বনাশ হয়েছে—মনোরমা ! কৃষ্ণনাথ বাবুর প্লেগ হয়েছে । আর একদও এখানে থাকা নয়। যাওয়ার উদ্যোগ কর । আজই রাত্রে আমরা কলকাতা যাব ।” দ্বিজেন্দ্রনাথের ভীতি ও উদ্বেগ দেখিয়া মনোরমার মুথে ধীরে ধীরে কৌতুকের স্নিগ্ধ হাস্ত ফুটিয়া উঠিল। মনোরম কহিল “প্লেগকে অত ভয় কেন ? মরণ ত একদিন আছেই! সুকুমারীর এমন বিপদ দেখে আমিত যেতে পারি না । তোমার যাওয়ার আয়োজন করে দেবো কি ?” মৰ্ম্মাহত দ্বিজেন্দ্রনাথ কঠিল “হায় পাষাণি,—একবার যদি বুঝতে, তোমার একটী কঠোর কথা হৃদয়কে কেমন করে রক্তাক্ত করে দেয়”—দ্বিজেন্দ্রনাথ আরও বলিতে যাক্টতেছিল –কিন্তু মনোরমার আয়তলোচনে প্রচ্ছন্ন বিদ্রুপের তীব্রজ্যোতি দেখিয়া সহসা তাহাকে উচ্ছসিত ভাবাবেগ বলপূৰ্ব্বক ংযত করিতে হইল । মনোরম দ্বার অতিক্রম করিতে উদ্যত হইল । জিজ্ঞাসা করিল “কোথায় যাচ্ছ ?” অবিচলিত কণ্ঠে মনোরম কহিল “মুকুমারীর বাড়ী।” কম্পমান হৃদয়ে দ্বিজেন্দ্রনাথ কহিল “কি সৰ্ব্বনাশ ! প্রত্যক্ষ মৃত্যুর মুখে কে ইচ্ছা করে ছুটে যায় ?” সহাস্তমুখে মনোরম কছিল “তা হলে মৃত্যু তোমার নিকট যাতে প্রত্যক্ষ না হতে পারে, তুমি বসে বসে সেই চেষ্টা কর—আমি যখন সুযোগ পেয়েছি, একবার প্রত্যক্ষ মৃত্যুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আসি ।” বলিতে বলিতে মনোরম দৃষ্টিপথ অতিক্রম করিল--ভীত চিন্তিত ক্ষুব্ধ দ্বিজেন্দ্রনাথ চেয়ারের উপর বসিয়া পড়িল ! দ্বিজেন্দ্র প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ { ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড می دهههای سه هم م. م. م "مه به به *** ۳۰--- *** ه-s "مه ده ---همسایهها (8) কৃষ্ণনাথ বাবু রক্ষা পাইলেন না। সেই দিনই সন্ধ্যার সময় জড়দেহের বন্ধন কাটাইয়া তিনি দিব্যধামে চলিয় 喻 গেলেন । স্বকুমারী চাচাকার করিয়া উঠিল । কিন্তু অধিকক্ষণ শোক তাঙ্গাকে অভিভূত করিবার অবসরও পাঙ্গল না । , কৃষ্ণনাথ বাবুর সৎকারান্তে স্নান করিয়া আসিয়াই সেও জরে পড়িল । সঙ্গে সঙ্গে গভীর অচৈতন্ত তাহার বুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিল । মনোরম আর বাড়ী ফিরিবার অবসর পাইল না । খোকাকে কোলে করিয়া সুকুমারীর রোগ-শয্যা-পাশ্বে সেও স্থান গ্রহণ করিল। লুব্ধ ভ্রমর মুদিত পদ্মের চারিপাশে আকুল হৃদয়ে যেমন গুঞ্জরিয়া ফিরে, প্লেগ-ভয়ভীত দ্বিজেন্দ্রনাথ তেমনি করিয়া কৃষ্ণনাথ বাবুর বাটীর চারিপাশ্বে ব্যাকুল হইয়া ঘুরিয়া ফিরিতে লাগিলেন, কিন্তু মনোরমার সাক্ষাৎলাভ করিতে পারিলেন না। তৃতীয় দিনে সুকুমারীর ও সুস্পষ্ট প্লেগলক্ষণ প্রকাশ পাইল । মনোরম অবিচলিত চিত্ত্বে যথাসাধ্য সেবা শুশ্রুষা করিল কিন্তু কোনই ফলোদয় হইল না । চতুর্থ দিনে মুকুমারীর জর ছাড়িয়া গেল—চৈতন্ত ফিরিয়া আসিল—শরীর কিছু সুস্থ বোধ হইল । মনোরম! স্বধাইল “এখন একটু ভাল বোধ হচ্চে বোন ?” ক্ষীণ কণ্ঠে মুকুমারী কহিল “আর ভাল বোন, নিববার আগে প্রদীপের অবস্থা যেমন হয় আমার অবস্থাও তেমনি । আমার দিন ফুরিয়েছে । আমি স্পষ্ট দেখছি আমার স্বামী আমার জন্তে প্রতীক্ষা করে আছেন। ভগবান করুন তুমি চিরজীবী হও, আমার একটা কথা রেখে বোন—খোকাকে আপনার ছেলের মত দেখো—তার আর কেউ নেই !” বলিতে বলিতে মুমূমুর চক্ষুপ্রান্ত বাহিয়া অশ্রুবিন্দু নীরবে গড়াইয়া পড়িল । মনোরম কোন উত্তর দিতে পারিল না । নীরবে খোকাকে বুকের উপর চাপিয়া ধরিল। তুষার গলিতে আরম্ভ করিয়াছিল ! রাত্রিশেষে, রোগিনীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হইয়া উঠিল। মুকুমারী ক্ষীণকণ্ঠে বলিল “একৰার খোকাকে বুকের কাছে দাও বোন, তাকে শেষ দেখা দেখি।” মনোরম খোকাকে