পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] AMSMMMA SAMMMAMAMMAeSeSeeSMA AMAAeMMAAAASASASS আলোক কি প্রকার কার্য্য করিবে, তাহা বোধ হয় আপনার সহজে বুঝিতে পারিতেছেন । আর এক দিনের কথা বলিতেছি । এক দিন চট্টগ্রাম হইতে রেলে আসিতেছিলাম—তখন অন্ত এক গাড়ীতে "হরি সঙ্কীর্তন” গুইতেছিল। শুনিতে পাইতেছিলাম, অনেক লোক একসঙ্গে গান করিতেছিল, ক্রমে যখন আমরা আসিয়া একটা বড় ষ্টেসনে পৌছিলাম, তখন গান বন্ধ হইল। গাড়ী সেখানে অনেকক্ষণ দাড়ায়, আমি নামিয়া দেখিতে গেলাম—কাহারা গান করিতেছিল । গাড়ীর কাছে গিয়া দেখি যে, মণিপুরীরা গান করিতেছিল, গান বন্ধ হওয়ার পর হইতেই তাহারা নিজেদের ভাষায় কথা কহিতেছে, আর বাঙ্গালী ভাষায় নয় । আপনার বোধ হয় অবগত আছেন যে, মণিপুরীরা বৈষ্ণবধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছে, এই জন্ত তাহারা পূজা প্রভৃতি কার্য্যে বাঙ্গালা ভাষাই ব্যবহার করে। সেই দিনও রাস উপলক্ষে দলে দলে মণিপুরীরা নবদ্বীপে আসিতেছে, দেখিলাম । বৈষ্ণবধৰ্ম্ম যে কেবল বাঙ্গালা ভাষা প্রসারণে সাহায্য করিতেছে, তাহা নয়, এখন আবার এই ধৰ্ম্ম গ্রহণ করায় ফল স্বরূপ এই অনার্য্য মঙ্গোলীয় (Mongolian) মণিপুরীদের মধ্যে এক শ্রেণী উপবীত লইয়া ব্রাহ্মণ সাজিয়া যজনযাজন কাৰ্য্যে নিযুক্ত হইয়াছেন । তাহ। হইলে আপনার কি বলিবেন যে, ব্রাহ্মণ মাত্রেই আৰ্য্যবংশ-সভূত? ইহাতে আর এক কথা কি মনে হইতেছে Al-(Non-Aryan Non-Hindu Race ) ontos অহিন্দু জাতি ক্রমে হিন্দু হইয়া আৰ্য্য হিন্দুসমাজে মিশিতেছে। আপনারা ইহাদিগকে কেহ ভাল ব্রাহ্মণ বলিয়া গ্রহণ করিবেন না ; তাঙ্কারাও বাঙ্গালী ব্রাহ্মণদের সহিত মিশিবে না । উত্তর পশ্চিমের ব্রাহ্মণের কি আমাদের দেশের ব্ৰাহ্মণকে আবহমানকাল ব্রাহ্মণ বলিয়া গ্রাহ করিয়া আসি তেছে ? বাঙ্গালা দেশের পূৰ্ব্বে কি হইতেছে, তাহ বলিলাম। পশ্চিমে কি হইতেছে, তাহাও দেখুন। বীরভূম, সাওতাল পরগণা ও হাঞ্জারিবাগ জেলার যে অংশ বাঙ্গাল দেশের সহিত সংশ্লিষ্ট, আমি সেখানে সাওতালদের সঙ্কিত মিশিয়াছি। দেখিয়াছি যে, যখন তাহারা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা “বাঙ্গাল। ন্যাসনালিটি” ১২১ AASAASAASAASAASAASAASAASAAAS কয়, তখন তাহারা সাওতালী ভাষায় কথা কয়---কিন্তু বাঙ্গালীদের সঙ্গিত তাহার। সৰ্ব্বদাই ভাঙ্গা ভাঙ্গ বাঙ্গালায় কথা কয় । একটু অবস্থার উন্নতি হইলেই বাঙ্গালীর মতন ধুতি, জামা, জুতা পরিয়া “বাঙ্গালী বুবু” সাজিয়া বেড়ান অতি গৌরবের কথা মনে করে । এমন কি, খৃষ্টান পাদ্রীরা খৃষ্টান সাওতালদের বাঙ্গালী সাজাইয়া গ্রামে গ্রামে লইয়া ঘুরিয়া বেড়ান—দেথান যে খৃষ্টান হইলে এই রকম “বাঙ্গালী বুবু” হওয়া যায় । কেহ কেচ বলিলেন, বাঙ্গালীদের সহিত ব্যবসায় বাণিজ্য করার জন্য ঈহারা দোভাষীব দ্যায় বাঙ্গাল কথা কহিলে বলিলে বাঙ্গালা ভাষার প্রসারণ হইল না । মানভূম জেলায় গেলেই ইঙ্গর উত্তর পাইবেন । সেখানে “ভূমিজ” (Bhumii) বা ভূইয় (Bhunya) বলিয়া এক জাতি দেখিতে পাঠবেন। তাহাদের শারীরিক গঠন দেখিলে একবারও আপনাদের সন্দেহ হইবে ন যে, তাহারা অনার্য্য (Dravidian race) দ্রাবিড়ী বংশ সস্তুত নয় । তাঙ্গাদের আচার ব্যবহার এখনও দ্রাবিড়ী জাতিদের দ্যায়। ভাষা একেবারে বাঙ্গল, অন্ত কোন ভাষা জানেই না । তাঙ্গাদের “বঙ্গ” “বঙ্গী” “মরং বুরু” (Bonga Bongi Morung Buru) elfs Golfov নয় ; ঐ সব দেবতাদের একেবারে ত্যাগ করিয়াছে বলিতে পারি না, তবে হিন্দু-দেবদেবী তাহাদের স্থান গ্রহণ করিয়াছে ও এই দেবতারা পশ্চাতে পড়িয়াছে। এখন ইহার একটা Hindu caste হইয়াছে। এদিকেও হিন্দুধৰ্ম্মের প্রসারণ হইয়াছে, বাঙ্গালা ভাষার ও প্রসারণ দেখা যাইতেছে । আমি আরও একটা উদাহরণ দিব । আপনার যদি কেহ শিক্ষাবিভাগে কার্য্যে নিযুক্ত হইয়া বিহারে যান, তাহা কক্টলে দেখিবেন যে, স্কুলের নিম্নশ্রেণীতে তিন দল শিক্ষক দরকার । বাঙ্গালী ছেলে থাকিলে বাঙ্গাঙ্গী শিক্ষক দরকার, মুসলমান ও কায়স্থ ছেলেদের জন্ত উর্দু, জানা শিক্ষক দরকার, বিহার অন্ত হিন্দুদের জন্ত হিন্দি জানা শিক্ষক আবশুক।” সাধারণতঃ সকলে চিন্দি ভাষায় কথা কহিলেও পুস্তক পড়াষ্টবার সময় তিন স্বতন্ত্র অক্ষর ও তিন স্বতন্ত্র ভাষা একজনের পক্ষে জানা বড় সঙ্কজ নয় । স্কুল বিভাগের উচ্চ শ্রেণীতে ইংরাজিতেষ্ট অনেক কাজ