পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২২ হয় বটে, তবে সেখানেও অতুবাদ করিবার সময় তিন শ্রেণীর শিক্ষক দরকার চয় । কিন্তু উড়িষ্যায় যান—নিম্নশ্রেণী হইতে উচ্চশ্রেণী পর্য্যন্ত কোথাও এক জনের বেশী শিক্ষক দরকার হয় না । উড়িয়া শিক্ষকেরা সকলেই বাঙ্গালা জানেন । বাঙ্গালী ও উড়িয়া ছেলে এক শ্রেণীতে থাকিলে তাহারা নিজ নিজ ভাষায় পুস্তক পড়ে বটে, কিন্তু তাহার জন্ত স্বতন্ত্র শিক্ষক দরকার হয় না। যদি শিক্ষক বাঙ্গালী হন, তিনি বাঙ্গাব্যায় পড়ান, কোন উড়িয়া ছেলেদের তাহাতে অসুবিধা হইবে না। তাহারা সকলেই বাঙ্গালা পড়িতে জানে। উড়িয়া শিক্ষক হস্তলে তাহারা বাঙ্গাগা পুস্তক পড়িতে জানেন, বাঙ্গালী ছেলেদের কোন অসুবিধা নাই । ভাষা হইতে ইংরাজীতে অনুবাদ করিবার উড়িয়ায় কোন পুস্তক নাই – বাঙ্গালা হইতে তাহারা ইংরাজীতে অতুবাদ করিতে শিখিলে তাঙ্কাতেই উড়িয়া হইতে অতুলাদ শিক্ষা হইয়া যায়। পাঙ্গালী ভাষা উড়িষ্যা দেশে কিরূপ প্রচলন হইতেছে, ইহা হইতে তাঙ্ক আপনার সহজেই বুঝিতে পারেন । আমি উড়িষ্যা দেশে বাস করিবার সময় এমন একজনও উড়িয়া ভদ্রলোকের সঠিত আলাপ করি নাই, যিনি বেশ শুদ্ধ বাঙ্গালা ভাষায় আমার সহিত কথা কন নাই । বরং আমি এমন শুনিয়াছি, যদি আমি তাঙ্গদের সচিত উড়িয়া ভাষায় কথা কহিতাম, তাহা হইলে তাহারা মনে করিতেন যে আমি তাহীদের হেয়ঞ্জান করিয়া বেহারার শ্রেণীর লোক মনে করিতেছি । আমরা মাথা কামান অশিক্ষিত উড়িয়া বাঙ্গাল দেশে দেখিতে পাই, কিন্তু উড়িষ্যায় যান, দেখিবেন, শিক্ষার সঙ্গে কি পরিবর্তন হইতেছে। উড়িয়া একেবারে বাঙ্গালীর দ্যায় পোষাক পরিচ্ছদ ধারণ করিতেছে। এখন একটা রব উঠিয়াছে <đ; GI, “Orissa for the Uryas”-caề #<ề ca*Ro তেমন জাকিয়া উঠে নাই, কারণ যিনি এই রব ভাল করিয়া তুলিয়াছেন, নিজে উড়িয়া হইলেও আচার ব্যবহার কথাবার্তায় তিনি সম্পূর্ণ বাঙ্গালী । বিগত ৪৷৫ শত বৎসর হইতে বাঙ্গালীর উড়িষ্যার গিয়া বাস করিতেছেন, উড়িষ্যায় সাধারণের ধৰ্ম্ম চৈতন্ত মহাপ্রভুর বৈষ্ণবধৰ্ম্ম, এবং উড়িষ্যার জমিদারীর অধিকাংশ ক্রমে ক্রমে বাঙ্গালীদের হাতে আসিয়া পড়িতেছে। এই সব প্রবাসী—জগ্রহায়ণ, ১৩১৭ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড কারণে উড়িষ্যায় বাঙ্গালী ভাষার এত আদর হইয়াছে। এদিকেও কি বাঙ্গালী ভাষার প্রসারণ দেখিয়া আমাদের আনন্দ হয় না ? আমি এতক্ষণ বাঙ্গালা ভাষার প্রসারণের কথা বলিতেছি— এই বাঙ্গাল সাহিত্য-সম্মিলনে এই কথা জানিয়া সকলের কত আনন্দ হইবে । কিন্তু এই সঙ্গে সঙ্গে আর একটা কথারও আমি অবতারণা করিতেছি, তাহ এই যে, যাহার বাঙ্গালী ভাষা গ্রহণ করিতেছে, তাহারা কি সব বাঙ্গালী--- বাঙ্গালী বলিয়া কোন একটা race আছে, কিম্বা কখনও কি ছিল ? পূৰ্ব্ব দেশে যাহারা বাঙ্গালা ভাষা বা বাঙ্গালীর ধৰ্ম্ম বা বাঙ্গালীর সভ্যতা গ্রহণ করিতেছে, তাহারাও সব (Mongolian) মঙ্গোলীয় জাতি সস্তৃত। পশ্চিমে যাহারা আমাদের সহিত মিশিতেছে, তাহারাও সব (Dravidian) দ্রাবিড়া জাতি সম্ভ,ত। এই রাজসাহী ডিবিসনে যে “রাজবংশ”দের প্রাধান্ত দেখা যাইতেছে, তাহারা (Mongolian) মঙ্গোলীয় জাতি সস্তৃত । তবে ত আমরা দেখিতেছি যে, বাঙ্গালা ভাষায় যাহার কথা কয়, তাহার' ত সব এক জাতি (race) সম্ভত নয়। উচ্চ শ্রেণীর বাঙ্গালীদের ধমনীতে যে আর্য্যরক্ত রহিয়াছে, তাহা কাহারও অবিদিত afé off (Aryan), Norfeitä (Mongolian) s দ্রাবিড়ী (Dravidian) তিন শ্রেণী হইতেই যখন লোক আসিয়া ও একত্র মিশিয়া বাঙ্গালী ভাষায় কথা কহিতেছে, তখন ইহাদের উৎপত্তি যে এক, তাহা কেমন করিয়া বলিব ? কেহ বলিবেন যে, মসলা (materials) নানাস্থান হইতে আসিতে পারে, সব যদি ভাঙ্গিয় গড়িয়া এক হইয়া ষায়, তাহা হইলে তাহাতে যে একটী Nation হইবে না, তাহা কে বলিবে ? এই এক বাঙ্গালা ভাষায় সব এক করিতেছে। এই বাঙ্গালা ভাষা আমাদের বাঙ্গালী জাতি গঠনের মূলমন্ত্র। এই জন্তই ত আমরা বাঙ্গালার অঙ্গচ্ছেদে এত আপত্তি করিতেছি । কথাটা এখন ভাল করিয়া বিচার হউক। এক ভাষাতেই কি কখনও Nationality *ion of Hitze f *ěotto France, Germany s Italy তিন দেশে এই বিশ্বাস-—এক ভাষা Nationality গঠনের একটী প্রধান উপাদান—এই তিনটী Nationality গঠনে খুব সাহায্য করিয়াছে। আমাদের দেশেও