পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> R8 জাতিভেদ থাকিবে, ততদিন আমরা নিশ্চিন্ত আছি । এই জাতিভেদ থাকিতে তোমরা কখনও এক হইতে পারিবে এক হইতে ন পারিলে আমাদেরও কোন ভয় নাই।” কেন তিনি এ কথা বলিলেন ? ;জাতিভেদের মধ্যে এমন কি আছে যে, আমাদের এক হক্টতে দিবে না ? দেথা যাউক, জাতিভেদের উৎপত্তির কারণ কি ? তাহার ভিতর এমন কিছু আছে কি না, যাহাতে আমাদের এক হুইবার পথে বিঘ্ন উপস্থিত করিতেছে ? কেহ হয়ত বলিবেন যে, পৃথিবীতে জাতিভেদ কোথায় ও উঠিয়া যায় নাই— ংলণ্ডে ধনী নির্ধনের মধ্যে এত ব্যবধান যে, তাহা আমরা কল্পনাও করিতে পারি না --সেখানে Lord বংশের লোকেরা অতি ঘৃণার চক্ষে অপরের দিকে চাহিয়া থাকে । न । ঐ সব দেশে aristocracy of wealth atto, stato cwto aristocracy of birth, botfoten oto oth না । সে সল দেশে যখন জাতিভেদে nationality গঠনে কোন প্রকার ক্ষতি হয় নাচ, আমাদের দেশে যে তাহা দ্বারা ক্ষতি হইয়াছে, তাহার প্রমাণ কি ? পৃথিবীতে কোন সময়ে যে কোন সমাজের ভিতর সব লোকই এক ভাব ও অবস্থাপন্ন চহবে, ইত। আমরা কল্পনাও যতদিন মামুষের মধ্যে বুদ্ধি ও শক্তির বিভিন্নত থাকিবে, ততদিন বুদ্ধিমান ও শক্তিশালী লোকের পৃথিবীতে সকল স্থানেই প্রাধান্ত পাইবেই। আমাদের কথা এই যে, পৃথিবীর অন্য কোন স্থানে এই বুদ্ধি বা শক্তি কেবল বংশ বিশেষে চিরকালের জল্প একচেটিয়া নাই বা থাকিবেও না, এবং তাহার উপর কোন সমাজ ও দাড়াইতে পারে না । রাখিবার চেষ্টা করিলেই তাহার ফল বিষময় হইবে । আমরা ইহাও crfortsfē cn, oii*STEJ CHU" Capital s Laboursą মধ্যে যে সংগ্রাম উপস্থিত, তাঙ্গার ফলে সমাজের ভিতরকার অসামঞ্জস্ত ভাগ ক্রমে অনেক পরিমাণে কমিয়া আসিতেছে । is fed Death Duties, Old Age Pension, করিতে পারি না । Taxation on unearned incomé, Nationaliza tion of Land, Nationalization of Railwavs প্রভৃতি ষে সকল উপায় অবলম্বিত হইতেছে, তাহা দ্বার সমাজে কতকগুলি লোকের হাতে অর্থ আর জমিবার প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ »०अ छाण, २ग्न थ& দেশের টাকা দশ জনের হাতে ছড়াইয়া পড়িতেছে। ভেদ একেবারে চলিয়া যাইতেছে ন!—যাইতে পারেও না । তবে কোন সমাজ বংশগত ভাবে তাহ রাখিবার চেষ্টাও করিতেছে না—রাথিতে গেলে থাকিবেও না । পাশ্চাত্য দেশে যখন আমাদের দেশের মত বংশগত জাতিভেদ দেখিতেছি না, তখন তাহার উৎপত্তি অনুসন্ধান করিতে আমাদের দেশের কথা আলোচনা করিতেই হইবে । উপায় থাকিতেছে না । ইহার উৎপত্তির কারণ কি ? সাধারণতঃ তিনট কারণ দর্শিত হইয় থাকে । প্রথমটী আমাদের দেশের শাস্ত্রকারদের । জাতিভেদের কথা উঠিলে আমরা প্রথমেই মন্ত্রর কথা তুলি। মধু জাতিভেদ সম্বন্ধে একমাত্র লেখক নন। তাহার পূৰ্ব্বে ও পরে অনেকেই এই বিষয়ে লিথিয়াছেন । আমরা সকলের মতামত আলো চনা করিবার সময় পাইব না । পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা মঙ্গর মতকে literary theory বলিয়াছেন । এই মত অনুসারে এদেশে আদিতে চারি বর্ণ ছিল । এই চার বর্ণ মধ্যে আদান প্রদান চলিত। উচ্চশ্রেণীর পুরুষে নিম্নশ্রেণীর কন্যা বিবাহ করিলে আমুলোম বিবাহ বলিত । নিম্নশ্রেণীর পুরুষে উচ্চশ্রেণী হইতে কন্যা গ্রহণ করিলে তাহাকে প্রতিলোম বলিত । এইরূপ উভয়বিধ বিবাহে যে সব সস্তান সন্ততি হইত, তাহাতে সঙ্করবর্ণের উৎপত্তি হইত। ক্রমে আদি চারি বর্ণ ও এই সঙ্করবর্ণ ও তাহাদের সস্তান সস্ততিদের মধ্যে যত বিবাহ হইতে লাগিল, ততই নুতন নূতন প্রকার জাতির উৎপত্তি হইতে লাগিল। এই theory গ্রহণ করিয়া সময় সময় সংহিতাকারগণ বিপদে পড়িয়াছিলেন । যখন র্তাহারা দেখিলেন যে, চীন, শক বা দ্রাবিড় জাতীয় পরাক্রান্ত রাজারা এদেশে বর্তমান আছেন ও যখন ইহাও দেখিলেন, তাছাদের ক্ষত্রিয় বলিয়া না স্বীকার করিলে চলে না, তাহাদের সঙ্কববর্ণ বলিলেও চলে না— তখন আর একটা কথা উঠিল, তাহারা আচারভ্রষ্ট ক্ষত্ৰিয়, অর্থাৎ তাহারা ব্রাত্যক্ষত্রিয় বলিয়া সমাজে গৃহীত হইলেন। Main, Hunter zRẹfs *fscssi aề theoryềì# nề অর্থ করিয়াছেন যে প্রথমে যখন আর্য্যেরা এদেশে আগমন করেন, তখন আর্য্য ও অনাৰ্য্য এই দুই বর্ণ ছিল । আর্ঘ্যের