পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ペや অবস্থায় পড়িয়া ভিন্ন ভিন্ন সমাজে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম গঠিত হইগেছে, ঠহাৰ মধ্যে একটা কাৰ্য্যকারণ নির্দেশ করা কত কঠিন তাহা আপনার সহজেই বুঝিতে পারেন। এ অবস্থায় সংহিতাকারগণ যে জাতিভেদের মতন সৰ্ব্বদা পরিবর্তনশীল অবস্থার কারণ অনুসন্ধান করিতে চেষ্টা করিয়াছেন, তাছাতে র্তাহাদের খুব অধ্যবসায়ের প্রশংসা করিতে হয়। কিন্তু যখন জানিতে পাবি যে, একটা জাতির (caste) ইতিহাস দিতে গিয়া ভিন্ন ভিন্ন সংহিতাকার ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন—তখনই মনে হয়, অতীতের কারণ নির্দেশ করিতে সকলেরই কল্পনার সাহায্য লইতে হইয়াছে। র্তাহারা যখন জীবিত ছিলেন, তখন সমাজে নান শ্রেণীর লোক দেখিয়া তাহদের উৎপত্তির কারণ অনুসন্ধান করিয়াছেন, তাছার জন্ত কল্পনা দরকার হইয়াছে, কারণ পুর্বের যাহা চলিয়া গিয়াছে, তাহাও ফিরিয়া আসিবে না যে, তিনি দেখিয়া তাহার বিষয় লিখিবেন। এই জন্ত তাহারা কল্পনার সাহায্যে দুইটী theory লষ্টয়া জাতিভেদের উৎপত্তির কারণ অনুসন্ধান করিয়াছেন-সঙ্কর ও ব্রাত্য । কতকগুলি উচ্চজাতি ভ্ৰষ্ট কষ্টয়া নূতন জাতি গঠন করিয়াছে এবং অনার্য্যদের আচার ভ্রষ্ট মনে করিয়া আর্য্যদের মধ্যে নূতন জাতি বলিয়া গ্রহণ করা হইয়াছে। মোটের উপর এই দুই theoryর সাহায্য লইয়াই ভারতবর্ষে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ও ভিন্ন ভিন্ন সমাজে সংহিতাকারেরা নুতন নুতন সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন । এই জন্ত একজাতির একাধিক ইতিহাস পাওয়া যায়। বর্তমান সময়ে লাঙ্গালা দেশে কায়স্থ ও বৈদ্যজাতির অধিনায়ক মহাশয়েরা যে ভিন্ন ভিন্ন সংহিতার সাহায্যে পরস্পরকে কিরূপ বিন্দ্রপ করিতেছেন, তাহ আমা অপেক্ষ আপনারা খুব ভাল করিয়া অবগত আছেন । ( ক্রমশঃ ) শ্ৰীশশিভূষণ বস্ব। বোলপুর ব্রহ্মবিদ্যালয় আজ কয় বৎসর ধরিয়া ব্রহ্মবিদ্যালয়ের কথা শুনিয়া আসিতেছি। বহু দূরে থাকি, বিদ্যালয়টি দেখিবার সাধ হইলেও মুযোগ হয় নাই। তাই এবারে গ্রীষ্মের ছুটতে প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড যখন দেশে যাই তখন দৃঢ় সঙ্কল্প করিয়াছিলাম যে এ মযোগ ছাড়িব না। কলিকাতা হইতে বারাণসী ফিরিবার সময় বোলপুরে নামি এবং শান্তিনিকেতনে কএক ঘণ্টা কাটাই । স্থানটি এতই মনোরম যে ক একদিন থাকিলেও সাধ মিটে না । কার্য্যগতিকে থাকিতে পারিলাম না । কিন্তু যে কয় ঘণ্টা ছিলাম তাঙ্গতে আমার মনে যাঙ্গ হইয়াছে, তাহ প্রকাশ না করিয়া থাকিতে পারিলাম না। অনেকেই হয়ত বিদ্যালয়টির নামও শুনেন নাই, কিম্ব শুনিয়াও স্বচক্ষে দেখিবার প্রয়োজন বোধ বা কষ্ট স্বীকার করেন নাই । যাহারা আমাদের ছেলেদের বর্তমান শিক্ষারীতির বিষয় কিছু চিন্তা করিয়া থাকেন অন্ততঃ তাহাদের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ যে র্তাহার একবার বিদ্যালয়টি দেখিয়া আসেন। দেখিলেই বুঝিবেন যে আমাদের বিদ্যালয়পরিচালিত শিক্ষায় এমন কতকগুলি অভাব আছে যাহার জন্য প্রচলিত শিক্ষারীতি আমাদের দেশের অবস্থার সহিত ঠিক খাপ থাইতেছে না। আমাদের ছেলেদের লইয় যাহা করিতে চাই তাহা করিতে পারিতেছি না -তান্তাদের যাঙ্গ হওয়া উচিত তাহাও হইতেছে না। বোলপুর ব্ৰহ্মবিদ্যালয় সেই অভাববোধের একটি ফল এবং বর্তমান শিক্ষারীতিতে যাহা দোষ তাঙ্গার নিরীকরণের একটি সযত্ন প্রয়াস। ইহার কার্য্য পরিচালনার খুঁটিনাটিতে অনেকে হয়ত অনেক ক্রট দেখিতে পাইবেন । কিন্তু ছেলেগুলি যে মানুষ হইতেছে সে বিষয়ে কেহই সন্দেহ করিবেন না । আর কি চাই ? বিদ্যালয়টি স্বর্গগত মহৰ্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনের মধ্যে অবস্থিত। কিন্তু এখানে বলিয়া রাখি--বিদ্যালয় বলিতে সচরাচর আমরা যাহা বুঝিয়া থাকি—ইহা তাহার মত কিছুষ্ট নয়। চেয়ার টেবিল বেঞ্চে পরিপূর্ণ ঘনসংলগ্ন কতকগুলি কামরাবিশিষ্ট পাকাবাড়ী—সে সব এখানে কিছুই নাই। প্রায় লোকালয়গুস্ত প্রাস্তরের মাঝখানে গাছ পালায় ঢাকা একটি শান্তিময় স্থান। তাঙ্কাদেরই ছায়াতলে দূরে দূরে কতগুলি চালাঘর । অবগু সেগুলির দেওয়াল ইটের এবং মেজে পাকা । তাহাই ছাত্র এবং অধ্যাপকের আবাসস্থান। আসবাব অতি সামান্ত । প্রত্যেক ছাত্রের জন্ত একখানি করিয়া