পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২যু সংখ্যা | "م-- *** ه-ههه "هه - همه به نامهای «سمی.م. - مهدیه --مه আঁশার মলামতী ইচ্ছা পূর্বক এমন বিধিবিরুদ্ধ কাৰ্য্য স্বগম না হয় ত করিয়া থাকেন যাহাতে লোকের মন তাহা হইতে সরিয়া যায়। ইহাদের মধ্যে কেহ কেহ এরূপ অবস্থায় কোন যথার্থ অপরাধ না করিয়া এমন কাজ করেন যাহা বাহিরে দেখিতে যতই মন হউক বস্তুতঃ অনিন্দনীয়। তরফুরী ও জুনৈদী, স্বকী সম্প্রদায়ের দুই বিখ্যাত শাখা। ইহঁদের মধ্যে একটা মতবিরোধ আছে। তয়ফ,রীগণ বলেন ঈশ্বরের প্রেমে উন্মত্ত হওয়াই প্রকৃত সিদ্ধি, কারণ, প্রশাস্ততায় মানুষের সমস্ত গুণ সমতালাভ করে—এই সাম্যাবস্থাই জীব ও ঈশ্বরের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ দুর্ভেদ্য আবরণ। পরন্তু দিব্যোন্মাদের অবস্থায় মানুষের অন্ত সমস্ত গুণ লয় প্রাপ্ত হইয়া কেবল দিব্যগুণগুলিই অবশিষ্ট থাকে । জুনৈদীর ইহার উত্তরে বলেন, মত্তত অপ্রমাদের বিরুদ্ধ— অপ্ৰমত্ততার শাস্তভাব ব্যতীত কখনই ঈশ্বরের যথার্থ স্বরূপ উপলব্ধি হয় না । তাহার বলেন, অন্ধতা কখনই প্রকৃতির মায়াজাল হইতে মানুষকে মুক্তি দিতে পারে না ;—মুক্ত হইতে গেলে সত্যকে জানা চাই, অপ্ৰমত্ত না হইলে সত্যকে জান সম্ভবপর হয় না । নুরা শাখার মতের বিশেষত্ব “ঈথার” অর্থাৎ পক্ষপাত । নিজের পরার্থ ত্যাগ করিয়া অন্ত্যের প্রতি পক্ষপাত—এক কথায় পরার্থপরতা । কৃচ্ছ সাধনের দ্বার। রিপুগণের সহিত আধ্যাত্মিক ংগ্রামের প্রতিই “সালিস” শাখা বিশেষভাবে জোর দেয়—যেমন উপবাস পূজা অৰ্চনা ইত্যাদি। আত্মনিগ্রহকে অন্তান্ত স্বফীরা ধ্যানের অবস্থা লাভের গৌণ উপায় স্বরূপ গণ্য করেন, কিন্তু “সাল আল তুস্তারি” ইহাকেই মুখ্য উপায় বলিয়া জানেন। তিনি বলেন ঈশ্বরের সহিত মিলিত হওয়ার পুৰ্ব্বে র্তাহার সেবাকার্য্যের কঠোরতা স্বীকার করা চাই । ঈশ্বরের প্রসাদজনক ভাবে তাহার সেবা স্বসম্পন্ন করার অব্যবহিত ফলই র্তাহার সহিত মিলন । যাহারা বলেন কেবলমাত্র ঈশ্বরের অনুগ্রহের বলেই তাহার সহিত মিলন সম্ভবপর হয়, তাহদের মতের প্রতিবাদ করিবার কালে ইনি পুৰ্ব্বতন ঋষিদের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করিয়াছেন। এই সকল ঋষির আত্মনিগ্রহকে অবগুকৰ্তব্য বলিয়া শিক্ষা দিয়াছেন। কুচ্ছ ব্রত পালনের দ্বারাই সমাধি লাভ যদি সংকলন ও সমালোচন—সূফীমত AASAASAASAASAASAASAASAAeeSAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA @రి مهینه نبوه همهیه ۰ - ۰ - ۰ বে সেচ ঋষিদের প্রচারিত বিধিব্যবস্থাকে ব্যর্থ বলিয়া অগ্রাহ করিতে হয়। সাধুতার বিশেষ প্রকৃতি ও তাহার বিচিত্র অবস্থা, পুরাণকথিত অতিপ্রাকৃত ঘটনার প্রামাণিকতা এবং সাধুদিগের সহিত ঋষিদিগের অলৌকিক কার্য্যের পার্থক্য লইয়া “হাকিমি” শাখা বিশেষ ভাবে আলোচনা করিয়াছে। সুফীসম্প্রদায়ের মধ্যে সাধু-শাসনচক্র নামক যে একটী বিখ্যাত মত প্রচলিত আছে “মহম্মদ বিন আলি আল হাকিম”ই সৰ্ব্বপ্রথমে তাহাকে পল্লবিত করিয়া প্রকাশ করিয়াছেন। তিনি বলেন এই সাধু-চক্র কর্তৃকই সমস্ত জগতের ব্যবস্থা রক্ষিত হইতেছে। র্তাহার মতে, ঋষিরা যেমন ঈশ্বর-কৃপায় সমস্ত পাপ হইতে মুক্ত, সাধুরা সেরূপ নছেন–র্তাহাদিগকে কেবলমাত্র সাধুধৰ্ম্মের বিদ্রোহাচরণ অর্থাৎ অবিশ্বস্তত হইতে ঈশ্বর বিশেষ ভাবে রক্ষা করেন । মহাশিবি ও জুনৈদীর এই মত। অন্তের বলেন, ঈশ্বরের আদেশ পালনই সাধুতার লক্ষণ, অতএব মহাপাপ মাত্রেই সেই আদেশ-লঙ্ঘন, এবং সেই অপরাধে সাধুপদ হইতে বিচূতি ঘটে। আর তিনটী শাখার কথা বলা বাকী আছে । তাছাদের নাম খরাজি, খফীফী, এবং সয়্যারী। খরাজীদের প্রধান মত “লয় ও স্থিতি”, খফীফীদের “অনুপস্থিত ও উপস্থিত” এবং সয়্যারীদের “মিলন ও বিচ্ছেদ”। থরাজীমতের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়া এই প্রবন্ধের উপসংহার করা যাইতেছে । আলহজবীরী বলেন আবু সৈদ আল খরাজষ্ট “লয় ও স্থিতি”-তত্বের প্রথম ব্যাখ্যা-কর্তা। যাহারা সাধু দের চরম উৎকর্ষ লাভ করিয়া “মকাম” ও “চাল” উভয়ই উৰ্ত্তীর্ণ হইয়াছেন ও পরম ধনকে লাভ করিয়াছেন তাহাদের সম্বন্ধেই লয় ও স্থিতি এই দুটী শব্দের প্রয়োগ হইতে পারে। র্তাহার মতে অস্তিত্ব ও ব্যক্তিত্বের বিলোপ অর্থে ষ্ট লয় শব্দের ব্যবহার সঙ্গত নহে—এবং স্থিতি বলিতেও পরমাত্মার সহিত জীবাত্মার অভেদ সম্বন্ধ বোঝায় না। “ফনা” এবং “বকা” অর্থাৎ “লয় ও স্থিতি” জীবেরই বিশেষ অবস্থা । “লয়” বলিতে সমস্ত প্রাকৃতিক ব্যাপার হইতে চিত্তবৃত্তির সংহরণ এবং “স্থিতি” অর্থে ঈশ্বরের চিন্তাতেই চিত্তবৃত্তিকে নিত্য নিবিষ্ট করা বুঝায়। আবু সৈদ আলখরাজ ফিন'