পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা হইয়া পড়িয়াছিলেন। সে সময় ছোট জ্যোতিষ্ক পৰ্য্যবেক্ষণের সুব্যবস্থা ছিল না । কাজেই ঐ শূন্ত স্থানে বহুকাল কোন নুতন গ্রহের সন্ধান পাওয়া যায় नाहैं । ইহার পর উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিনে হঠাৎ আটাশের ঘরে একটি ছোট গ্রহ দেখা গিয়াfছল । পুৰ্ব্বোক্ত ঘটনার পর এপর্য্যন্ত প্রতি বৎসরই মঙ্গল ও বৃহস্পতির কক্ষার মধ্যে দুই চারিটি করিয়া নুতন গ্রহের আবিষ্কার হইতেছে । এখন এগুলির সংখ্যা প্রায় চারি শত। কিন্তু ইহাদের মধ্যে কোনটিই আকারে বড় নয় । যেটি সৰ্ব্বাপেক্ষা বৃহৎ তাহার ব্যাস তিনশত কুড়ি মাইল মাত্র, এবং ক্ষুদ্রতমের ব্যাসের পরিমাণ কুড়ি মাইলের অধিক নয়। সকলগুলিকে ভাঙিয়া যদি একটি মাত্র গ্রহে পরিণত করা যায়, তবে তাহার আয়তন আমাদের পৃথিবীর চল্লিশ হাজার ভাগের এক ভাগ মাত্র হয়। ক্ষুদ্র গ্রহগুলি পৃথিবীর তুলনায় যে কত ছোট, তাহা এই হিসাব হইতে বেশ বুঝা যায়। যাঙ্গ হউক হালির ধূমকেতু পৰ্য্যবেক্ষণ করিবার সময় এবৎসর ঐ গ্রহগুলির অধিকৃত স্থানের পুনঃ পুনঃ ফোটোগ্রাফ ছবি গ্রহণ করিতে হইয়াছিল । ইহাতে অনেকগুলি নুতন গ্রহের আবিষ্কার হইয়াছে । বলা বাহুল্য এগুলিকে খালি চোখে মোটেই দেখা যায় না, এবং বড় দূরবীণ দিয়া দেখিতে গেলেও গ্রহ বলিয়া চেনা কঠিন হয়। ফোটোগ্রাফের ছবি না তুলিলে ইহারা নিশ্চয়ই আরো বহুকাল আত্মগোপন করিয়া থাকিতে পারিত। এই নবাবিষ্কৃত গ্রহগুলির গতিবিধি সম্বন্ধে সকল খবর আজও জানা যায় নাই । শ্রীজগদানন্দ রায়। প্রাচীন তুলা ও মান ( পরিমাণ-পদ্ধতি) পেীভবাধ্যক্ষ নিম্নলিখিত পরিমাণ ও ওজন প্রস্তুত করিবেন। দশ মাষা ( অর্থাৎ দশটা মুগের বীজের ওজন ) = ১ সুবর্ণমাষা । ১৬ মাৰ্যায় এক সুবর্ণকর্ষ। ৪ কর্ষীয় এক পল । ংকলন ও সমালোচন—প্রাচীন তুলা ও মান > 8 ) ৮৮ শ্বেত সরিষায় এক রৌপ্যমাষা । ১৬ রৌপ্যমাষ বা ২০ শৈব্যায় ( বীজ ) এক ধরণ। ২• তণ্ডুলে হীরকের এক ধরণ। অৰ্দ্ধমাষা, একমাষা, দুইমাষা, চারিমাষা, অষ্টমাষা, এক সুবর্ণ, দুই সুবর্ণ, চারি সুবর্ণ, অষ্ট সুবর্ণ, দশ সুবর্ণ, বিশ সুবর্ণ, ত্রিশ সুবর্ণ, চল্লিশ সুবর্ণ এবং শত সুবর্ণ এই কয় প্রকার পরিমাণ ব্যবহৃত হয়। “ধরণে”ও পূৰ্ব্বোক্ত মাপ প্রস্তুত করিতে হইবে । মগধ এবং মেকল দেশে প্রাপ্ত লৌহ বা শৈলম্বারা ওজন প্রস্তুত করিতে হইবে । অভাবে, যে সকল দ্রব্য জলে সিক্ত হইলে সঙ্কুচিত হয় না বা উত্তাপে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় না এইরূপ দ্রব্য ব্যবহার করিতে হইবে । তুলাদণ্ড । ছয় অঙ্গুলি পরিমিত তুলাদণ্ড এবং একপল ওজনের ভার হইতে আরম্ভ করিয়া দশ প্রকারের তুলাদণ্ড প্রস্তুত করিতে হইবে । এই দশটা দণ্ডের দৈর্ঘ্য প্রত্যেকটা অপরট অপেক্ষ অষ্টাঙ্গুলি বেশী হইবে এবং ওজনও এক এক পল করিয়া বৃদ্ধি করিতে হুইবে । বাহাত্তর অঙ্গুলি লম্বী এবং ৫৩ পল ওজনে সমবৃত্তনামে একটা তুলাদণ্ড ੋਣ করিতে হইবে । ইহার প্রাস্তদেশে ও পল ওজনের নিক্তি দিয়া কৰ্ষমাপকালীন যে স্থলে দও সমকরণ হইবে সেই স্থলে দাগ দিতে হইবে। ঐ দাগের বামদিকে চিহ্নদ্বারা ১ পল, দ্বাদশ পল, পঞ্চদশ পল, এবং বিংশ পল স্থির করিয়া রাথিতে হইবে । তৎপর, প্রত্যেক দশমস্থলে চিহ্ন দিয়া শত পল পর্য্যন্ত চিহ্ন দিতে হইবে । অক্ষ স্থলে নান্দী চিহ্ন স্থাপন করিতে হইবে । সমবৃত্তাপেক্ষা দ্বিগুণ লৌহ দ্বারা এবং ৯৬ অঙ্গুলি পরিমিত তুলাদণ্ড নিৰ্ম্মাণ আবশুক । ইহাকে পরিমাণী বলে । ইহার দণ্ডে প্রথম ১০০ শত চিহ্ন, পরে ২৯,৫৯, ১• e এইরূপ চিহ্ন দিতে হুইবে । ৰিশ তুলায় একভাঁর | দশ ধরণে এক পল । একশত পলে এক আয়মানী (রাজকীয় আয়ের মাপ) । আয়মানীর সহিত তুলনায় ব্যবহারিকা ( সাধারণে