পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

한 “একটা মিটমাট করে ফেলতে।” বাটি গর্জন করিয়া বলিয়া উঠিল--"একেবারে কাওজ্ঞানশূন্ত হয়েছ ?” “কেন ?" “কেন ? তোমার কি এতটুকু আত্মসন্মান বোধ নেই ? তুমি সেই বাড়িতে যাবে ?” “যাবে। বষ্ট কি ” “সে কী অপমান ।” ফ্র্যাঙ্ক বলিলেন—“যাই তুমি বল—আমি যাবো । আমার যে আত্মসন্মান জ্ঞান নেই, আমি যে বুঝচিন যে সেখানে যাওয়ায় আমার অপমান, তা নয় । আমি আর এ দুঃখ বহন করতে পারি না—আমি যে তাকে প্রাণের চেয়ে ভালোবাসি । আমি সে কী আনন্দে ছিলাম, আমার জীবনে সে কি মাধুর্য্যই ছিল, নিজের দোষে সব চাবালুম ! তুমি যাই বল বাটি, আমি সেখানে না গিয়ে পারবন ।” বলিতে বলিতে ফ্র্যাঙ্ক দুঃথাবেগে অধীর হইয়া বসিয়। পড়িলেন, তাতার মুখের সূক্ষ্ম শিরাগুলি পৰ্য্যন্তও উদ্বেগে স্পন্দিত হইতেছিল । তিনি বলিতে লাগিলেন—“আমার প্রাণ যে এ কী হচ্ছে তা আমি নিজেই বুঝতে পারচিনা—আমি নিতান্তই হতভাগ্য ! আমি জীবনের মধ্যে কখনো তেমন পরিপূর্ণ আনন্দ, তেমন গভীর শান্তি পাইনি—ইভার কাছে যতদিন ছিলুম সে কী মুখের দিন—সে যেন স্বপ্নরাজ্যে ছিলুম ! এখন সব শেষ—সে সুখস্বপ্ন টুটেছে, সেই সঙ্গে মনে হচ্ছে, যেন আমার জীবনের যা কিছু সব শেষ হয়ে গেছে ; তবু যে কেন আছি তা বুঝতে পারচিনা। একবার কি চেষ্টা করে দেখবন। আবার সে মুখের অতীতকে ফিরিয়ে আনতে পারি কি না ? তবে এ নিরর্থক জীবনধারণে ফল ? বুঝতে পারচনা বাটি আমি কেন সেখানে যেতে চাচ্চি—সেই খানেষ্ট ষে আমার সমস্ত জীবনটা পড়ে রয়েছে । সেখানে গিয়ে যদি বুঝি আর কিছু ফিরবেন, সব সমাপ্ত হয়ে গেছে, তাহলে জেনে বাট আমার জীবনও সেইখানে সমাপ্ত !—” বলিয়া ফ্র্যাঙ্ক চেয়ারের উপর অবসন্নভাবে গা ঢালিয়া কিন্তু কি করব ংকলন ও সমালোচন—ভাগ্যচক্র እ® ® এলাইয়া পড়িল, তন্দ্রার মতে একটা জড়ত তাহার সমস্ত শরীর আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিল । সম্মুখে বাটি দাড়াষ্টয়া, হতাশার উত্তেজনায় তাহার দেহ দৃঢ় হইয়া উঠিয়াছে, চোখ দিয়া যেন আগুন ঠিক রাষ্টতেছে ! সে ধীরে ধীরে কম্পিত হস্তে ফ্র্যাঙ্কের নির্জীবপ্রায় দেহ স্পশ করিলস্পর্শমাত্রেই মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহের আঘাতের মতো আসিয়া একটা তীক্ষু বিদ্বেষভাব তাছাকে অধিকার করিল— ফ্র্যাঙ্কের উপর একটা ঘৃণায় চিত্ত ভরিয়া গেল—ছিঃ পুরুষ হইয়া প্রেমের জন্ত পাগল । কিন্তু শীঘ্রই সে ঘৃণাকে তুচ্ছ করিয়া একটা ভয় তাহার চিত্তকে পীড়িত করিতে লাগিল—পলে পলে সে এ কোন অধঃপতনের অতলে ডুবিতেছে —লত। যেমন বৃক্ষকে আঁকড়াইয় থাকে তেমনি করিয়া সে ফ্র্যাঙ্ককে আঁকড়াইয়া ধরিল ! তারপর রুদ্ধকণ্ঠে উত্তেজনার সহিত বলিতে লাগিল— "ফ্র্যাঙ্ক ! শোনে, নিজেকে এমন করে পীড়িত কোরোনা ! এসব কী ? নিৰ্ব্বোধের মতো বলচ–ছেলেমানুষের মতো কাদচ ! এ সমস্ত দুৰ্ব্বলতা ঝেড়ে ফেল—সাহস দেখাও ! সমস্ত জীবনটাকে এমনি করে নষ্ট করে ফেল না ! যা হবার তা হয়েছে ! একটা বালিকার ভালোবাসা ছারিয়েছ বলে কি সমস্ত জগৎ সংসারটা শূন্ত হয়ে গেছে ? তুমি কি ভাবে বালিকার প্রেমের মধ্যেই জগতের যা কিছু মুখ সমস্ত নিশ্চিত ? স ভুল ! ভুল ! তাদের মতে হৃদয়চীন, স্বার্থপর কীট জগতে নেই—তারা এ জগতের মধ্যে নিরর্থক, অতিরিক্ত, জলবুদ্ধদের মতে, কেবল শুষ্ঠত নিয়ে;তারা ভেসে ওঠে । তার জন্তে তুমি জীবনটা বিসর্জন দেবে ? ধিকৃ তোমায় ! হতে পারে আমি জানি না রমণীর ভালোবাসা সে কী ! কিন্তু আমি বলচি তুমি জানো না দুঃখ কাকে বলে ! ভাবচ পৃথিবীর সমস্ত দুঃখ বুঝি তুমি আজ একলাই বহন করচ! কিন্তু তা নয়-এ সামান্ত একটু ব্যথা—তোমার আত্ম-অভিমানের উপর একটু আঘাতমাত্র—তার বেশি কিছু নয়। আমি যদি আমার জীবনে এরূপ ছোটোখাটো দুঃথে অভিভূত হয়ে পড়তুম তাহলে এতদিনে জীবনে আমায় সহস্রবার মরতে হোতো ! কিন্তু দ্যাথো বড় বড় দুঃখের ঢেউ কাটিয়ে আমি এখনো মাথ৷ SSBBBB SBBB BBBB BBt u ttt u HHkkk S kkk u Te ek eeeS