পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ᏹ© ; পৌরুষ তোমার নেই। ইভার ব্যবচারে কি তুমি স্পষ্ট বুঝচন যে সে তোমায় চায় না—সে তোমার সঙ্গে কোনো সম্বন্ধ রাখলে না। তবুও তুমি তারই জষ্ঠে কেঁদে কেঁদে বেড়াবে।--তারই উদ্দেশে ছুটবে ! কোন মুখে তার সঙ্গে দেখা করতে চাও—সে যদি তোমায় বাড়ী থেকে দূর করে দেয়! তখন ? সে অপমান কোন প্রাণে বহন করবে ? সত্যই যদি তুমি সেখানে যাও--তার সঙ্গে দেখা কর— তা হলে বুঝল তুমি নিতান্তই অধঃপাতে গেছ. তোমার মতো দুর্বল, ভীরু, কাপুরুষ, মুর্থ জগতে দুটি নেই— তার চেয়ে তোমার মরণ ভালো !” ফ্র্যাঙ্ক কোনো কথা কক্তিতে পারিলেন না—দ্বিধার মধো পড়িয়া তাঙ্গার মন উৎক্ষিপ্ত হইয়া উঠিল —বার্টির যুক্তি তর্কের মধ্যে সার আছে, তাহাকে একেবারে উড়াইয়া দেওয়া চলে না—ঠ ভার সহিত দেখা করিবার ইচ্ছাও প্রবল, তাহাও দমন করা যাইতেছে না । বাটির বক্তৃতার মধ্যে যে একটা প্রচ্ছন্ন প্রতারণা রক্রিয়াছে এমন একটা সন্দেহ ফ্র্যাঙ্কের মনে উঠিতেছিল বটে কিন্তু তিনি স্পষ্টভাবে কিছু ধরিতে ছুইতে পাবিতেছিলেন না বলিয়া বার্টির কথাগুলাকে মন থেকে ঠেলিয়া দেওয়া সহজ হইতেছিল না, সে কথাগুলা সদপে গৰ্জ্জিয়া উঠিয় বার বার র্তাঙ্গকে আক্রমণ কবিতেছিল । সে আক্রমণে তিনি নিস্তেজ হষ্টয়া পড়িলেন পটে কিন্তু তবুও নিজের গে বজায় রাখিয়া সজোরে বলিয়া উঠিলেন—“ আমি কিছু গ্রাহ করি ন—তুমি যাই ৰল—আমি যাবো ।” বার্টি এবার নরম হৃষ্টয়া গেল । মাটির উপর বসিয়া চেয়ারে মাথা নত কfয়া দিয়া ধীরে ধীরে মৃঢ়ভাবে বলিতে লাগিল—“ফ্র্যাঙ্ক ! স্থির হও, ভালো করে বোঝ ! সেখানে যাবার কথা মন থেকে দূর কবে দাও! এখনো তুমি এতটা কাগুজ্ঞানশূন্ত হওনি, এইটা আত্মসন্মান ছারাওনি যে সত্যই তুমি ইভার কাছে আবার যেতে পারবে ! সে সব কথা কি ভুলে গেলে ? ইভ কি তোমায় স্পষ্টষ্ট বলেনি যে সে তোমায় বিশ্বাস করে না, তুমি তাকে প্রতারণা করেছ, তুমি তাকে ভালোবাসন, সেই অভিনেত্রীকে ভালোবাস ? তবে কেন আবার তার পায়ে ধরে সাধা ? সত্য বলতে কি 7ಾಗಿ ষ্টভ মেয়েটি ভালে৷ “ਂ וסףrיזא", يG: প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ { ১০ম ভাগ, ২য় নয়, তার মতো সংশয়চিত্ত, দুর্বল, চঞ্চলহৃদয় বালিকা বড়ঘরের উপযুক্ত নয় । থিয়েটার থেকে ফেরবার সময় সে রাত্রে এমনইল কি ঘটনা ঘটেছিল যার জন্তে তার এত সন্দেহ । তার উপর তার কাছে মন খুলে সব কথা নিবেদন করলে, তাতেও তার প্রত্যয় হল না, তোমাকে সে বিশ্বাস করলে ন; -এ কি ভয়ঙ্কর নীচতা ! এ সব অপমান স্বীকার করে তুমি তার কাছে কি বলে যেতে চাচ্চ ! তোমার যা খুর্থী করতে পারে।--আমার তাতে কি বল না, কিন্তু আমি চলে তো পারতুম না, প্রাণ গেলেও না ! এ অপমান— ভয়ঙ্কর অপমান ।” ফ্র্যাঙ্ক নিৰ্ব্বাক হইয়া বসিয়া রচিলেন, র্তাঙ্গার সমস্ত মাথার ভিতরট ওলটপালট করিতে লাগিল । বাটি আবার বলিতে লাগিল—“ফ্র্যাঙ্ক, ভেবে দেখ আমি যা বল্লম তা ঠিক কি না –স্তির হয়ে ভেবে দেখ ” ফ্র্যাঙ্ক বির সবদনে বলিলেন-—“আচ্ছা, ভেবে দেখবো ।” বার্টি উৎসাহিত হুইয়া তখন সহস্ৰকণ্ঠে ফ্র্যাঙ্কের হৃদয়বলের প্রশংসাগান করিতে লাগিল—কী তাঙ্গর পৌরুষ । কী তাঙ্গর সাহস । সে গান সংস্র ধরে ঝঙ্কত হইয়৷ ফ্র্যাঙ্কের কানে যেন অমৃতধারা বর্ষণ করিতে লাগিল-কী পৌরুষ ! কী সাহস ! কী পৌরুষ ! কী সাহস! কোথায় গেল তখন ই ভার ভালোবাসা—তাহার প্ৰেম ! এখন সমস্ত জগত জুড়িয়া বাজিতেছে শুধু পৌরুষ! সাতস! পৌরুষ! সাহস ! বাটি তখন স্নেহের সহিত ফ্র্যাঙ্কের দিকে বাহু দুটি প্রসারিত করিয়া তাহার কাছে ঘেঁসিয়া আসিল, এবং তাহার পাতুখানি সবলে তাকড়াইয়া বাঘ যেমন করিয়া বসিয়া শীকার ধরে তেমনি করিয়া বসিয়া ফ্র্যাঙ্কের মুখের পানে চাহিয়া রচিল—সে তীক্ষ দৃষ্টি বাঘের দৃষ্টিরই মতো অন্ধকারে জলিতে লাগিল । বাটি বলিতে লাগিল—“ফ্র্যাঙ্ক! ফ্র্যাঙ্ক! কথা কও— অমন করে চুপ করে থেকোন, ওভাবে তোমায় দেখলে আমার প্রাণ ফেটে যায়! আমি তোমায় কত স্নেহ করে তা তুমি জানো না, আমিও জানন কেমন করে জানাতে হয়! তুমি ভাবে অকৃতজ্ঞ - কিন্তু আমায় তমি বঝতে পার_না। --আমি_rভীমrর-এক জট আমি