পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏ ఆ* হয়—রন্ধের মুখে হামাগুড়ি দিয়া দেখে সুড়ঙ্গে বাটিতে ৎসম্বা রাখা আছে। প্রস্রবণ হষ্টতে জল লইয়া সে আপনার আহাৰ্য্য প্রস্তুত করে, আতার হইয়া গেলে পাত্রটি আবার সুড়ঙ্গের মধ্যে রাখিয়া দেয় । তাহার পর আসন করিয়া বসিয়া, জপমালা হস্তে সে উপাসনা করিতে বসে । একদিন দেথে পাত্রে চা ও মাথন আছে —তাতার পাশে কয়েকখানি জালানি কাঠের টুকরা। চারিদিকে হাতড়াইয়া চকমকি পাথর ইস্পাত এবং সোলা গঞ্জিয়া সে চা-পাত্রের নীচে অল্প একটু আগুন জালে। অগ্নিশিখার আলোকে ঘরের ভিতরটি আর একবার দেখিয়া লয় এবং ৰিগ্ৰহগুলির সম্মুথে বাতি জালিয়া পড়িতে আরম্ভ করে ; কিন্তু অগ্নি ক্রমশ: নিবিয়া আসে, আরো ছয় দিন চলিয়া গেলে তাতার আর একবার চা আসিবে দিনের পর দিন চলিয়া যায়—ক্রমশঃ হেমন্ত ঋতু তাঙ্গর মেঘভার এবং ঘনবর্ষণ লষ্টয়া উপস্থিত হইয়াছে--বুষ্টির শব্দ সে শুনিতে পাষ্টতেছে না-কিন্তু তাঙ্গার গুহাব দেয়ালগুলিকে একটু বেশী ভিজা ভিঙ্গ বোধ হইতেছে। যে দিন স্বৰ্য্য এবং আলোককে শেষবারের মত দেখিয়াছিল সে দিনকে তাঙ্কার বহুদিন পূৰ্ব্বের বলিয়া বোধ হইতেছে। বৎসরের পর বৎসর এমনি করিয়া কোথায় চলিয়া যাইতেছে—তাঙ্গার স্থতি ক্রমশঃ ক্ষীণ এবং অস্পষ্ট হইয়া আসিতেছে । যে কয়টি পুস্তক সে সঙ্গে করিয়া আনিয়াছিল, উটাইয় পাণ্টাইয় সেগুলি অনেকবার পড়া হইয়া গেছে—আর তাহাদের তাহার কোন প্রয়োজন নাই । এক কোণে আস্তে আস্তে সরিয়া গিয়া মৃদুস্বরে পুস্তকগুলির ভিতরকার পাঠ সে আবৃত্তি করিতেছে—সমস্তই তাঙ্গর বহুদিন পূৰ্ব্বে কণ্ঠশ হইয়া গেছে । ক্রমশঃ কলের মত জপের মালা তাঙ্গর অঙ্গুলির ভিতর দিয়া আসে এবং যায়—ৎসম্বাপাত্রের প্রতি এখন আর সে সজ্ঞানে তাত বাড়ায় না। কনকনে ঠাণ্ড পাথরগুলিকে হাত দিয়া অনুভব করিয়া দোলের চারি পাশ্বে আস্তে আস্তে হয়ত সে ঘুরিয়া ফিরিতেছে, যদি দৈবাৎ কোথাও একটু ফাটাল থাকে, যদি সেখান দিয়া স্বৰ্য্যেব একটু আলোককণা ভিতরে আসিয়া পড়িতে পারে ! স্বৰ্য্যালোকিত পথে বাহির যে কেমন সে সম্বন্ধে এখন আর কোনো ধারণাও হয়ত সে প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড করিতে পারে না। শুধু নিদ্রার সময়টুকু সে তাহার অস্তিত্বের স্মৃতি ভুলিয়া থাকে—তখনই সে শুধু বর্তমানের নৈরাশু কষ্টতে মুক্তি পায় । সে হয়ত মনে করে—অন্ধকারে ক্ষণস্থায়ী এই ক্ষুদ্র মর্ত্যজীবন গৌরব-উজ্জ্বল অনন্ত আলোকের তুলনায় কি, কতটুকুই বা ?—এই যে অন্ধক্ৰমে বাস, এ শুধু পথে প্রস্তুত হষ্টয়া লওয়া । দিন রাত্রি এবং বহুবৎসরের নির্জনতার ভিতর দিয়া এই ধ্যানপরায়ণ যতী জীবন এবং মৃত্যুর এই প্রচেলিকার অর্থ খুজিয়া ফিরিতেছেন, পরীক্ষার এই কাল উত্তীর্ণ হঠয়া গেলে তিনি আবার যে অস্তিত্ব লাভ করিবেন তাঙ্গ বিরাট মহিমায় পূর্ণ হইয় উঠিবে, এ বিশ্বাসকে তিনি অঁাকড়িয়া আছেন । ধারণার অতীত এই অমানুষিক স্থিরবিশ্বাস ব্যতীত আর কিসের বলে সম্ভব । সেই ঘনান্ধকার গহবরের ভিতর বৎসরের পর বৎসর সন্ন্যাসী কি পরিবর্তনের ভিতর দিয়া চলিতে থাকেন তাহা কল্পনা কবাও স্বকঠিন। তাতার দৃষ্টিশক্তি নিশ্চয়ই ক্ষীণ হইয়া আসে, হয়ত একেবারে লোপ পায়। র্তাতার মাংসপেশী শুকাইয়া আসে, ইন্দ্রিয়গ্রাম অস্পষ্ট এবং নিস্তেজ চষ্টয়া যায়। আলোকে ফিরিয়া যাইবার জন্য ব্যাকুলত নিশ্চয়ই তাঙ্কার বরাবর থাকে না---কারণ নিৰ্জ্জনবাসের এই যে পরীক্ষা, ইতার স্থায়িত্বেব সময় কমাষ্টয়া ফেলিবার অধিকার ংরুদ্ধ ব্যক্তিটির নিজের উপরেই আছে। পুস্তকের পাতায়, একটি কাঠির এক প্রাস্তে বুলি দিয়া, আপনার বক্তব্য লিখিয়া সম্বা-পাত্রে ফেলিয়া রাখিলেই তিনি আলোকে ফিরিয়া যাইতে পারেন । কিন্তু এরূপ কেহ করে না— আশ্রমের সন্ন্যাসীরা কেহই এরূপ ঘটনা ঘটিতে দেখেন নাই। —সন্ন্যাসীরা এরূপ একটি মাত্র ঘটনার কথা জানিতেন। উনসত্তর বৎসর ধরিয়া যে সন্ন্যাসী প্রাচীর-বেষ্টিত হইয়া ছিলেন, মৃত্যুর পূৰ্ব্বে তিনি, একবার স্বর্যাকে দেখিয়া মরিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিয়া লিথিয়াছিলেন–টংএ যে সকল যতী বাস করিতেন তাহীদের নিকট হইতে এ সংবাদ গুনিয়াছিলাম। যখন বাহির করিয়া আনিল তখন র্তাহাকে শিশুর মত ক্ষুদ্র দেখাষ্টতেছিল, কোমরের উপর তাহার শরীর একেবারে দুমড়াইয়া পড়িয়াছিল। ঈষৎ একটু কপিশবর্ণের পার্চমেণ্ট কাগজের মত খড়খড়ে চৰ্ম্ম