পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা | বলেন যে রাজ্যের অৰ্দ্ধেক লোক সম্রাটের বেতনভোগী । রাজ্যের অগণিত রাজপুরুষ ও সৈনিক ব্যতীত, কৃষকেরা যাচারা সম্রাটের নিয়োজিত হইয়া কৃষিকার্য্যে ব্যাপুত থাকিত তাহারা ও রাজবেতনভোগী। এতদ্ব্যতীত প্রধান প্রধান সঙ্গরের শ্রমজীবী শিল্পীকুলও সমাটেৰ পরিবারের কাৰ্য্যে নিয়োজিত বলিয়া সম্রাটের বেতনভূক্ত প্রজ বলিয়া পরিগণিত হইত। মেনুষী বলেন যে তদানীন্তন ভারতের প্রজাসাধারণ কতটা ও কিরূপে সমাটের অনুগ্রহের উপর নির্ভর করিত উল্লিখিত ঘটনায় সে কথা সহজেই অনুমিত হইবে । শ্ৰীবীরেশ্বর গোস্বামী । আয়ুৰ্বেদ ও আধুনিক রসায়ন পঞ্চম ভাগ । রসকপর । রসকপূরের ইংরাজি নাম কেলমেল ( calome1 ), বৈজ্ঞানিক নাম মারকিউরস ক্লোরাইড (mercurous chloride)। ইউরোপে এই দ্রব্য ষোড়শ শতাব্দীতে ঔষধরূপে বাপঙ্গত হইয়াছে* কিন্তু ভারতে তাঙ্গর বহুপূৰ্ব্বে রসেন্দ্রচিন্তামণিকার চুণ,কনাথ এই বসকপূরকে “সৰ্ব্বরোগহর” বলিয়া বাপস্থা দিয়াছেন । রসেন্দ্রসারসংগ্ৰহকার গোপালকৃষ্ণ এই রসকপূর বা সুধানিধিবসের গুণ বর্ণনকালে লিথিয়াছেন “ইচা দ্বারা উদ্ধরেচন তয়, সুতরাং দুষ্ট প্রহরান্তে পুনঃপুন শীতল জল পান করিবে। ইঙ্গ এক বৎসর সেবন দ্বারা সৰ্ব্ববিধ বিষদোষ, ছয় মাস সেদন দ্বারা গরলবিষ এবং একমাস সেবন দ্বারা সিংহদংশনজনিত বিষ বিনষ্ট হয় ।" + রসেন্দ্রচিন্তামণি এবং রসেন্দ্রসার

  • “It appears to have been used in the sixtecnth century as a medicine, known loy the name of draco mitigatus, manua metallorum, aquila :nlb:i, or mercurius dulcis—Roscoc and Schorlemmer's Treatise on Chemistry, Vol. II, p. 1., Mercurous salts. Js + "উর্দ্ধং রেদয়তি দ্বিষামমসকুৎ পেয়ং জলং শীতলং ।

এতদ্বন্তি চ বৎসরাবধি ৰিষং ষান্মাসিকং মাসিকং । শৈলেশ্বং গরলং মৃগেন্দ্রকুটিলোদ্ভুতঞ্চ তৎকালিকং" আয়ুৰ্বেদ ও অাধুনিক রসায়ন ') లను ংগ্ৰহ এই উভয় গ্রন্থষ্ট চতুর্দশ শতাব্দীতে রচিত বলিয়া অধ্যাপক রায় মহাশয় নিৰ্দ্ধারণ করিয়াছেন। শাঙ্গ ধরও তাঙ্গর সংগ্রহ-গ্রন্থে এই রসকপূর ব্যবস্থা করিয়া গিয়া: ছেন। র্তাঙ্গর আবির্ভাবকাল সম্বন্ধে কোনও সন্দেহ নাই—তিনি চতুর্দশ খ্ৰীষ্টাব্দে তাঙ্গৰ সংগ্ৰহ-গ্ৰন্থ লিখেন। অতএব দেখা যাইতেছে যে ইউরোপে রসকপুরের ঔষধরূপে প্রচলনের প্রায় দুইশত বৎসর পুৰ্ব্বে ভারতে উহ্য ঔষধরূপে ব্যবহৃত হৃষ্টত। বাস্তবিক রসায়ন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রাচীন ভারত তাৎকালিক ইউরোপ হইতে অনেক বিষয়ে উন্নতজ্ঞানসম্পন্ন ছিল । এই রসকপরপ্রস্তুত- প্রণালী ৪ তাঙ্গর রাসায়নিক ব্যাখ্যা অধ্যাপক রায় মহাশয়ের হিন্দুরসায়নের ইতিহাসে ( পৃ: ১৩৭—১৪৩ ) বিশদভাবে লিখিত হইয়াছে । আলোচনা করিব । রসেন্দ্রচিন্তামণি নিম্নলিখিত উপায়ে রসকপূর প্রস্তুত করিয়াছেন। ‘একটি সুদৃঢ় স্থালীর চতুর্থাংশ লবণ দ্বারা পূর্ণ করিবে, তদুপরি পারদেব চতুর্থাংশ সৈন্ধব এবং তদুপরি সৈন্ধবের সমান ফটকিরি ফটকিরি, সৈন্ধব, ও শোধিত পারদ, সমান পরিমাণে লষ্টয়া ঘৃতকুমাবীব রসে মৰ্দ্দন করিয়া পপ্লটি করিলে । সেই পপ্পটি ভাণ্ডস্থ ফটকিরিব উপর প্রদানপূর্বক তাঙ্গৰ উপর পুনৰ্ব্বার ফটকিরি ও সৈন্ধবচুর্ণ প্রদান করিয়া তাঙ্গর উপর কতকগুলি থাপরা দিয়৷ তদুপরি একটি দৃঢ় স্থালী আচ্ছাদন করিয়া রুদ্ধ করিলে। পরে তিন দিবস অগ্নিতে পাক করিলে |’ ভাল প্রকাশ শোধিত পারদ, গিরিমাটি, ইষ্টক, খড়ি, ফটকিরি, সৈন্ধব লবণ, উঠয়ের মাটি, ক্ষার লবণ, ভাওরঞ্জক মৃত্তিকা, প্রত্যেক দ্রব্য সমান পরিমাণে গ্রহণ করিয়া চারি দিবস জাল দিয়া উদ্ধপাতনের দ্বারা রসকপূর প্রস্তুত করিয়াছেন। উপরোক্ত দুইটি উপায়ে রসকপূর প্রস্তুত কালে যে রাসায়নিক ক্রিয় সম্পাদিত হয় তাতা নিম্নে প্রদত্ত চষ্টল। পাবদ, ফটুঝুিরি এবং লবণ এই তিনটি দ্রব্যের মধ্যে রাসায়নিক ক্রিয়া সম্পাদিত হইয়া রসকপুর প্রস্তুত এখানে এই বিষয়ের সামান্ত প্রদান করিলে । 嵌 ಇಆfಣ್ಯ ( উমেশচন্দ্র সেন গুপ্ত কবিরত্বের সংস্করণ )— পুঃ ৮। + ভাবপ্রকাশ–পূঃ ৬৪ • ।