পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጏ ግ& করে, তার পর স্নানাহার করে নিয়ে, ঘোড়ায় চড়ে বেলা ১টার সময় মহাল দেথতে পেরুতাম । সন্ধ্যার সময় ফিরে আসতাম। সমস্ত গ্রামেষ্ট দেখলাম হুজুরের দোর্দণ্ড প্রতাপ-জমিদারের নামে বাঘে গোরুতে এক ঘাটে জল খাচ্ছে । দেখে বড় আনন্দ হল ।” গদা পালের চাটুবাক্যে গোপীকান্তবাবু অত্যন্ত খুলী হইলেন। পলিলেন—“বেশ, বেশ । তুমি যেমন পরিশ্রমী দেখছি, শীঘ্রই নিজের উন্নতি করে নিতে পারবে ।” গদাঙ্গ নতমস্তকে বলিল—“হুজুরের দয়া হলে সবই হতে পারে।” জমিদারী সংক্রান্ত আৰও কিছুক্ষণ কথাবার্তা চষ্টল। তাঙ্কার পর বাবু বলিলেন—“তার পর, সে বিষয়টা সম্বন্ধে কিছু অনুসন্ধান করলে ?” "আঙ্কে, হুজুবেব যে রকম হুকুম ছিল, কেবল নজবট মাত্র রেখেছিলাম--তাও অতি সাবধানে, কেউ সন্দেহটি না করতে পারে। কেনারামের বাড়ীর পাশ দিয়ে সৰ্ব্বদ যাতায়াত করতাম। মফস্বল পরিদর্শন শেষ হয়ে গেলে, একটু অসুবিধে হবে—কারণ বিন ওজরে সর্বদা কি করে যাব ? তাই একটা উপায় ঠাউরেছি—কিন্তু হুজুরের অম্লমতি সাপেক্ষ ।” বাবু বলিলেন—“কি উপায়, বল ।” “আজ্ঞে, ঐ কেনারামের বাড়ীর কাছেই, থানিকটে জায়গা পড়ে আছে । একঘর প্রজা ছিল, ফেীত হয়েছে, ওয়ারিশন ৭ কেউ নেই—সে জমিটুকু সরকারেই অশেছে। তাই মনে করেছি, সেইখনেট পরিষ্কার করিয়ে একটা ফলের লাগান তৈরি করতে স্বরু করি । চারিদিক বঁাশের বেড়া দিয়ে ঘিরিয়ে, আতা, নেবু , কিছু কলা, গোলাপজাম, নারকুলে কুল—এই সব লাগিয়ে দিই, সেই উপলক্ষ্য করে সর্বদাই ওদিকে যাতায়াত চাব-কেউ কিছু সন্দেহ করতে পারবে না ।" বাবু বলিলেন—“এ উত্তম প্রস্তাব। আমি মধুর করলাম। মাঝখানে একটা আটচালা গোছ তুলে দিও। মেঝেটা আধ তাত আন্দাজ উচু করে পাকা করে গাথিয়ে নিও । এমন কি মাঝে মাঝে সেখানে বসে কাছাৰিও করতে পারবে ।" . . . . প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ { ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড হ্যা–তা হলে ত খুব ভালষ্ট হয়। ফলের চারার কি করি তাই ভাবছি।” বাবু বলিলেন—“তার জঙ্গে চিন্তা কি ? বাগানবাড়ীতে ফলের অনেক চারা আছে। কতকগুলো চারা তুলিয়ে খান কুই গোরুর গাড়ী বোঝাই করে নিয়ে যেও ।” হ্যা । তাই করব । একটা কথা নিবেদন পাবার ছিল । একটা বিষয়ে একটু সন্দেহ উপস্থিত হয়েছে।” “কি f" “ঐ কেনারামের বাড়ীর পাশ দিয়ে যাতায়াত করতে, একদিন দেখলাম একজন লোক, ওর বাড়ী থেকে বেরুচ্ছে । লোকটি দেখতে নিতান্ত চাষাতৃষে দলের মত নয় । তাই আমার মনে হটাৎ কেমন একটু সন্দেহ হল । লগলে ছাতি, গায়ে একটি চাতকাটা পিরাণ, গলায় উড়ানি গুড়ান—বয়স আন্দাজ পঞ্চাশ কেনারামের বাড়ী থেকে বেরুচ্ছে । দেখে জিজ্ঞাসা করলাম—"নিবাস কোথা ?-- সে বল্লে—“আমার বাড়ী সাজিয়াড় গ্রামে ।’ ‘তোমার নাম কি ?—‘শ্রীরমণচন্দ্র ঘোষ। -- 'আপনার ?-- *আমরা গোয়ালা ।” -জিজ্ঞাস করলাম--"তোমায় কোথা যেন দেখেছি দেখেছি না ?--সে বল্লে- ‘কোথা ?-- এই দিন আষ্টেক হল--বাবুদের বাড়ী, কল্যাণপুরে ?”— কথাটা শুনে লোকটা যেন একটু থতমত থেয়ে গেল । তাই দেখে আমার আরও সন্দেহ হল । জিজ্ঞাস করলাম —‘এখানে কি মনে করে আসা হয়েছিল ?’ বলে—‘একটু বরাৎ ছিল ৷’-—বলে লোকটা চলে গেল । আজ আবার আসবার সময় পথে দেখি, সেই লোকটা দরিয়াপুরের দিকে যাচ্ছে । জিজ্ঞাসা করলাম—“কি ঘোষের পো, কোথায় যাওয়া হচ্ছে ? —বল্লে—“যাচ্চি খাজনা সাধতে হরবোলায়।’ -ফিরে গিয়ে খবর নিতে হবে দরিয়াপুরে গিয়েছিল কি না ।” এই কথা বলিয়া গদাই পাল নীরব হইল। গোপীকান্ত বাবু একটু চিন্তিত স্বরে বলিলেন—“সাজিয়াড়ার রমণ ঘোষ ?” “আজ্ঞে তাই ত বঙ্গে ।” SB BDBB D BBB MkS TBTSYS