পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা । “আজ্ঞে আমি ত দুদিন উপরি উপরি এখানে তাকে দেখেছি । হয়ত দেওয়ানজির কাছে কোনও কাজে এসেছিল।” বাবু দেওয়ানকে ডাকাইয় পাঠাইলেন । আসিয়া বলিল—রমণ ঘোষ দুইদিন আসিয়াছিল বটে, কিন্তু কাছারিতে আসে নাই। ছোট বাবু মহাশয়ের বৈঠকখানায় গিয়াছিল । বলিয়া দেওয়ান চলিয়া গেল । বাবু বলিলেন—“দেথ গদাই—তুমি গিয়ে গোপনে খবর নিও, রমণ ঘোষের সঙ্গে কেনারামের কোন রকম আত্মীয়তা আছে কি না । আর, আজকালই যাতায়াত আরম্ভ করেছে না পূৰ্ব্বে থেকে যাতায়াত ছিল।” “আজ্ঞে হ্যা, আমি গিয়েই অনুসন্ধান করব । কয় আপনাকে জানাৰ।” -বলিয়া গদাই বাবুর নিকট বিদায় গ্রহণ করিল। কাছারিবাড়ীর প্রাপ্ত ন পার হইয়া, ছোট বাবুর বৈঠকখানার সম্মুখ দিয়া যাইতে যাইতে গদাই দেখিল, বারান্দার নিয়ে সিঁড়ির পাশ্বে কতকগুল ঝাড়, দেওয়া ময়লা জমা রহিয়াছে—তাহার সঙ্গে একখানা পোষ্টকার্ড। কৌতুহলবশতঃ গদাই সেখানা উঠাইয়া লইল । দেখিল একখানা পুরাতন চিঠি, মোহিতলাল বাবুর নামে ঠিকানা রহিয়াছে। আশে পাশে কেছ কোথাও নাই দেখিয়া গদাই সেখানি নিজের পকেটে রাখিয়া দিল । বাসায় গিয়া, আতারাদি করিয়া, কিঞ্চিৎ বিশ্রামের পর বৈকালে উঠিয়া গদাই অশ্বারোহণে বাগানবাড়ীতে গিয়া দর্শন দিল। ফটক পার হইয়া, বরাবর মালীর কুটীরের নিকট গিয়া অশ্ব হইতে অবতরণ করিল। নিকটে একটা পেয়ারাগাছ ছিল, মালী তাঁহাতেই অশ্বকে বাধিয়া দিল । গদাই বলিল—“কি মালী, ভাল আছ ত ?” “আজ্ঞে আপনার আশীৰ্ব্বাদে ।” “বাৰু কিছু হুকুম পাঠিয়েছেন ?” *ই্যা—একজন দরোয়ান এসে বলে গেছে যে দরিয়াপুরের কাছারিতে কিছু ফলের চারা পাঠাতে হবে।” “ষ্ঠা—তাই আমি এসেছি। চল বাগানে, কতক ASA SSASAS SS SAAAAA S দেওয়ান যে রকম SAASAASSAAAASSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS নবীন সন্ন্যাসী > oዓ রোদর হে! ততক্ষণ বরং এক ছিলিম তামাক সাজ– রোঙ্ক রটা পড়,ক।” মালী তামাক সাজিতে গেল। ইতিমধ্যে তাঙ্কার পুত্র রামদাসোয়া নৃত্য করিতে করিতে কোথা হইতে আসিয়া উপস্থিত হইল। গদাই পালের গোফ নাই দেখিয়া প্রথমটা সে চিনিতে পারে নাই। গদাই তাহার নাম বিস্তুত কষ্টয়া গিয়াছিল - বলিল—“কি রে বদমাসোয় ।" । তখন বালক আসিয়া গদাধরের সঠিত আত্মীয়তা স্থাপন করিল এবং দুইটি পয়সা আদায় করিয়া মনের আনন্দে ঘুরপাক দিতে দিতে তথা কষ্টতে অদৃগু হইয়া গেল । তামাক সাজিয়া আসিয়া মালী বলিল—“আমার মাইনে বাড়াবার কথা বাবুর কাছে কিছু বলেছিলেন ?” “না মালী -এখনও কথা পাড়বার সুযোগ পাইনি। এই যে দরিয়াপুরেব বাগানখানা করছি -এই সুযোগে বাবুকে বলব। একটা কোনও স্বত্র না পেলে বলি কি করে ? দেখ, দরিয়াপুরের এষ্ট বাগানের জন্তে একজন ভাল মালী আবখ্যক । বাবুকে যদি বলি, তবে তিনি কি তোমায় ছেড়ে দেবেন মনে কর । তাহলে দরিয়াপুবে নিয়ে গিয়ে তোমার মোটা মাইনে করে দিতে পারি। সে ত আমারই হাতে কি না । • কিন্তু বাবু যে তোমায় ছাড়েন এমন ত বোধ হয় না ।” মালী বলিল—“কি জানি বাবু!” গদাই মাথাটি নাড়িয়া বলিল - “উস্থ তোমায় ছাড়বেন না। তুমি গেলে গঙ্গামণির খবরদারী করবে কে ? তোমার মতন আর একটি বিশ্বাসী লোক কোথায় পাবেন ?” মালী সন্দিগ্ধভাবে গদাধবের পানে চাহিয়া বলিল “গঙ্গামণি কে বাবু ?” গদাই মৃদু মৃদু হাসিয়া বলিল “বেশ, বেশ । এষ্ট রকম সাবধান হয়ে থাকুষ্টি ত চাই! গঙ্গামণি কে এখনও জানতে পারনি ? দরিয়াপুরের কেনারাম গয়লার ভাই-বে —তোমরা যাকে ভোঁজি বল ।” মালী অপ্রতিভ হইয়া বলিল—“আপনাকে কে বলে ?” “আর কে বলবে –খোদ বাবুই বলেছেন। তুমি