পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ԳԵ আমার সঙ্গে বাবুর একবারে হরিহর এক আত্মা—এমন কি একত্র বসে ( গদাক্ত কাল্পনিক গেলাস হাতে ধরিয়া পান করিবার ইসার করিল )--এও হয়েছে। নইলে এত লোক থাকতে আমাকেই দরিয়াপুরের নায়েব করে পাঠাবেন কেন ? শুদ্ধ কেনারাম ঘোষকে শাসনে রাখবার জন্ত। এ সব কায, ধর, বিশ্বাসী লোক ভিন্ন আর ত কারু ফাতে দিতে পারেন না । আমলাদের মধ্যে এক আমার উপর, আর চাকর বাকরের মধ্যে তোমার উপর,-— এই দুজনের উপর তার বিশ্বাস। নৈলে দেখ, আমি কদিনই বা বাবুর চাকরি নিয়েছি। এখনও তিন মাস পুরো হয় নি। পনেরো টাকা মাইনেয় ঢুকেছিলাম — ছু মাস পরে ত্রিশ টাকা মাইনেতে নায়েৰী পদে বাহাল হলাম। কে বিশ্বাসী কে অবিশ্বাসী তা বাবু বিলক্ষণ জানেন ।” মালী দুঃখিতস্বরে বলিল--"বিশ্বাসী চাকর বলে আপনার ত ভাল হল বাবু—আমার কি হল ?”

  • হবে-—হবে-মালী - তোমারও হবে সবুর কর আমি বাবুকে বলে তোমার মাইনে নিশ্চয়ই বাড়িয়ে দেব। বেশ মন দিয়ে কাৰ্যকৰ্ম্ম করে যাও—আর ও বিষয়ে খুব হসিয়ার থাকবে—-বুঝেছ ?”

“আজ্ঞে তা আমায় বলতে হবে না ।” *আচ্ছা এখনও কি গঙ্গামণি র্কাদাকাটি করে ?” *করে বৈকি।” "একটু ফাক পেলেই তা হলে পালাবে বল ?” “পালাবে বৈ কি ৷” “চাবিটে খুব সাবধান। সে বুড়ী তোমার খাগুড়ী হয় বুঝি ?” “আঞ্জে হ্যা।” “বাবু তাঈ বলছিলেন। তাকে বেশ করে বলে দিও য়ে নদীতে যখন জল আনতে যাবে, পেছনের দরজাটায় চাৰিট বন্ধ করে তবে যেন যায়।’ এ রকম যেন মনে না করে, এই ত কাছেই নদী, চট করে আসব এখনি, তাল না—ই বন্ধ করলাম।” "তাই ত করা হয়, বাবুর হুকুমই তাই।” প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড বলে সাবধানের বিনাশ নেই। চাবিটে তোমারই কাছে রাখ ত? যথন বুড়ীর দরকার হবে, তখন সে যেন চেয়ে নেয়। আবার কায হয়ে গেলেই তোমায় ফিরে দেবে। নইলে বুড়ো মানুষ, অসাবধান, কোথায় ফেলে দেবে বলা যায় কি ?” “চাবি আমিই রাখি।” * “কোথায় স্নাথ ? ঘরে অমনি এক জায়গায় ফেলে রেথ না যেন। নিজের কোমরের ঘুঙ্গীতে বেশ শক্ত করে বেঁধে রাখবে।” “আজ্ঞে হঁ্য। -- তাই ত বেঁধে রাখি।”-—বলিয়া মালী কোমর হইতে চাবিটি বাহির করিয়া দেখাইল । গদাই বলিল—“চাবিটি ত তেমন মজবুদ বোধ হচ্ছে দেখি ?” মালী চাবিটি খুলিয়া দিল। গদাই সেটি ভাল করিয়া পরীক্ষা করিয়া বলিল—“না, নিতান্ত খেলো নয় । এষ্টতেই এখন কাষ চলুক। পরে, বাবুকে বলে একটা বিলিতী তালা পাঠিয়ে দেব এথন – আর যদি এর মধ্যে পোষ মানে, তা হলে আর তালা চাবির দরকারও হবে না ।” মালী বলিল—“পোষ মানবার লক্ষণ নয়। একদিন বাবুকে বলেছিল, তুমি যদি আমায় বিরক্ত করবে—আমি ছাত থেকে লাফিয়ে পড়ে মরব।” গদাই শিহরিয়া বলিল—“ইস্— কি সৰ্ব্বনাশ —আচ্ছ, বাবুর নামটাম সে জানে ?” মালী হাসিয়া বলিল—“ন। প্রথম থেকেই বাৰু বুড়ীকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন যে যদি জিজ্ঞাসা করে এ কোন গী—ত বলিস বকুলগঞ্জ—আর আমি কে যদি জিজ্ঞাসা করে ত বলিস বকুলগঞ্জের মেজ বাবু।” শুনিয়া গদাধর হাসিতে লাগিল । বলিল--"বাৰু ফলি করেছেন ভাল। বকুলগঞ্জের মেজ বাবু! কী হা হাঃ– কোথায় বকুলগঞ্জ কোথায় কল্যাণপুর —রোদ রও পড়ে এল। চল কতকগুলো চারা দেখিয়ে দিই।” উভয়ে তখন উঠিয়া বাগানের মধ্যে প্রবেশ করিল। নানা ফলের বহুসংখ্যক চার গাছ গদাই মালীকে দেখাইয়া দিল। অবশেষে বলিল—“কাল গরুর গাড়ী পাঠিয়ে ?ರು , זלץ न !