পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা হরিদাসী একটু মৃত্যু হাস্ত করিল। বলিল—“সেই যা বলেছিলে, তা আজ হবে ত ? “কবে লৈ কি । সেইজন্তোঃ ত আজ আসা ।” “দেরি কত ? আমি কিন্তু বেশী রাত অবধি থাকতে পারব না ।” “দেবী কিছু নেই। তুমি এক কায করদিকিন হরিদাসী । ঐ রোয়া কটায়, বেশ কবে জল ছিটিয়ে বাট দিয়ে ফেল । ঘবে এক পানি কুশাসন আছে, সেইখানি বিছিয়ে দাও। ধুমুচিটে নিয়ে এস, আগুন দিচ্ছি। শোবার ঘরের কুলুঙ্গিতে একটা বালির টিনে ধুনো আছে। আসন খানির কাছে ধুনো দাও । আমি ততক্ষণ ভাতের ফ্যানটা গেলে ফেলি। ভাল কথা,—দরজার দোরে খিল দিয়ে এসেছ ত ? কেউ এসে না পড়ে ।” “খিল দিয়েছি ।”—বলিয়া চরিদাসী নিদিষ্ট কৰ্ম্মে গেল । ইতিমধ্যে গদাই ভাতের ইঁাড়ি নামাঈল । সমস্ত ঠিকঠাক কবিয়া হুবিদাসী আসিয়া বুলিল—“হয়েছে ।” “ঙ্গয়েছে ? আচ্ছ বেশ । তা, তুমি বেশ শুদ্ধ হয়ে, কাপড় ছেড়ে এসেছ ত হরিদাসী ?” “কাপড় ছেড়েছি ।” গদাই উঠিয়া গিয়া, কাপড় ছাড়িয়া, একখানি লাল চেলির কাপড় পাবধান করিল। পঞ্চপাত্র চাইতে একটু গঙ্গাজল লইয়া, নিজের ও হরিদাস}র গাত্রে ছিটাষ্টয়া দিল । শেষে বলিল--“চল, এইবার ঘলঘসার শিকড় একটা তুলতে হবে ।” গদাঙ্গ প্রদীপ হাতে করিল। উঠানের কোণে দুই জনে গিয়া দাড়াইল। হরিদাসা চুল খুলিয়া দিয়া মাটীতে পড়িয়া, একটা ঘলঘসের ডাটায় আঁচল জড়াইয়া, কামড় দিয়া একটা গাছ উঠাষ্টয়া ফেলিল । গদাই বলিল—“জয় মা কালী। দেখিস ম মুখ রাখিস ।” হরিদাসী তখন উঠিয় দাড়াইয়া, গাছটি হাতে করিয়া, কাপড় দিয়া নিজের মুখের ধূলা মাট ঝাড়িয়া ফেলিল । দুষ্টজনে আবার রোয়াকে ফিরিয়া আসিল । গদাই একটি কাঠের হাতবাক্স বাহির করিয়া আনিল । পিতলের তালা আনিল। সিন্ধুক খুলিয়া, টাকাভর একটি খেরোর থলি বাহির করিল। খানিকট লালস্থতাও আনিল । नयौन नब्बTांनौ ' כי "לכי তখন আসনে উপৰেশন করিয়া, ধূনাচিতে আরও কিঞ্চিৎ ধূনা নিক্ষেপ করিল। চক্ষু বুজিয়া, উদ্ধমুখ কষ্টয়া, বুকের কাছে হাত রাখিয়া মৃঢ়স্বরে কালীনাম জপ করিতে লাগিল । কিছুক্ষণ এইরূপ করিয়া, কাঠের বাক্সটি খুলিয়া সম্মুখে স্থাপন করিল। তাঙ্গাব মধ্যে গঙ্গা ও লেব ছিটা দিল । থলি হষ্টতে টাকাগুলি ঢালিয়া, কুড়িটাকাব করিয়া তিনটি থাক সাজাইল । বলিল-“দেখ হরিদাসী—একট। বিষম সমিস্তেয় পড়েছি।” “কি বল দেখি ?” “এই ত ষাটটি টাকা আছে । ভাবছি সব টাকাই কি বাক্সে দেব—ন গোটাকতক বাইরে থাকবে ?” “কেন, যত বেশ টাকা দেবে—আরও তত বেশী &বে ।" “তুমি বোঝ না করিদাসী । এসব ভূত প্রেতের কাও কারখানা কিনা । কি জানি বলাই যায় কি, যদি সব টাকাগুলি উড়িয়ে নিয়ে যায়, তখন কি বুক চাপড়ে মরব ? তার চেয়ে বরং পঞ্চাশটি টাকা বাক্সে দিষ্ট । দশটি টাকা বাইরে থাক। সন্ন্যাসী ধাবা যা বলেছেন তা যদি সত্যি হয়, তবে এই পঞ্চাশ টাকাতে আমার দুশো টাকা হবে। তখন বাকী দশ টাকা বাড়িয়ে চল্লিশ টাকা করে নিলেই হবে । কি বল, তোমার কি মত?" “আচ্ছা, তখন আবার দুশো টাকা বাড়িয়ে আটশো টাকা করা যাবে ত?” গদাষ্ট হাসিয়া বলিল—“তা কি হয় ক্ষেপি ! এ টাকা উচ্চুগগু হয়ে গেল কিনা—এতে আর হবে না। আবার নতুন টাকা দিতে হবে।” “তবে তাষ্ট কর । দশটি টাকা বাইরে রাথ ।” গদাষ্ট তখন গণিয়া পঞ্চাশটি টাকা বাক্সে ভরিল। পদ্ধ কবিতে যাইতেছে. এমন সময় হরিদাসী বুলিল— “থাম, থাম।” গদাই বিঘ্নিত কষ্টয়া, চক্ষু তুলিয়া বলিল—“কি ?” হরিদাসী আঁচলের গিরো খুলিয়া, দুইটি টাকা বাহির করিয়া বলিল—“আমাব এ দুটিও বেথে দাও । আমার আট টাকা হবে ত?”