পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sb-8. “ত আমি কি করে বলব ? আমার হয়, তোমারও হবে। আর, আমার টাকাগুলি যদি উড়ে যায়, তোমারও যাবে। তখন আমায় দোষ দিতে পাবে ন— বলে বাখছি কিন্তু ।” “না, দোষ দেব না ।”—বলিয়া হরিদাসী টাকা দুইটি लिड । সে দুষ্টটি টাকাও বাক্সে রাগিয়া গদাই তালা বন্ধ করিতে যাইতেছিল । হরিদাসী বলিল—“আমি একটা ভাল তাল৷ এনেছি—খুব মজবুদ ! এইটিষ্ট লাগাও।” মুহূর্তের জন্য গদাধরের মুখ বিপন্নের মত দেখাইল । তৎক্ষণাৎ সে আত্মসম্বরণ করিয়া বলিল—“তা বেশ তোমার তালাক্ট দাও ।” তালা বন্ধ হইলে হরিদাসী চাবিটি লষ্টয় আপনার আঁচলে বাধিয়া রাখিল । তখন লাল স্থতা দিয়া, শিকড়টি বাক্সের গায়ে বাধিয়া গদাষ্ট বলিল—“জয় মা কালী, মুখ ○ I তুলে চাস মা ।” হরিদাসী বলিল—“রাত চল । छेठेि ।” “এস। রাত দুপুরে বাক্সের উপর একশো আট বার মন্তর জপ করতে হবে। একমাস পরে, চতুর্দশার রাত্রে আবার আসব। খুলে দেখতে হবে মা কালী কি করেছেন। তুমি আসতে ভুলো না যেন ।” “ন ভুলব না।”—বলিয়া হরিদাসী চলিল । অবধি তাহার সঙ্গে আসিয়া গদষ্ট বলিল—“আজ ভূতচতুর্দশীর রাত্রি । ভূত, প্রেত, ডাকিনী, যোগিনী আজ রাতে বেরুবে । সাবধানে যেও ।” হরিদাসী চলিয়া গেলে, সদর দরজ্ঞায় থিল দিয়া গদাই আসিয়া বসিল । বোতলটি খুলিয়া কিঞ্চিৎ পান করিল। মনে মনে বলিতে লাগিল—“মাগী কি সেয়ান ! নিজের তালাটি এনেছে। আমি যেন আর এ বাক্স খুলতে পারব না। অামার কাছে একশো চাবি আছে,—একটা না একটা কি লাগবে না ?” আরও দুই এক পাত্র পান করিতে করিতে রাত্রি দশটা বাজিল । গদাই তখন ভাত বাড়িয়া আহার করিল। একছিলিম তামাক খাইতে খাইতে, গদাই নানাপ্রকার এথন তবে আমি দ্বার প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩১৭ { ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড চিন্তা করিতে লাগিল । ক্রমে রাত্রি গভীর হইল। গদাই তখন উঠিয়া, লাল চেলিখানি শাড়ীর মত করিয়া পরিল। সিন্ধুক হক্টতে একটা লম্বা লম্বা জটাওয়াল পরচুল বাহির করিয়া মাথায় দিল। একটা ত্ৰিশূল বাহির করিয়া, তাঙ্গার অগ্রভাগে সিন্দুর লেপিয়া দিল। তাঙ্গর পর দর্পণের সম্মুখে দাড়াইয় নিজ ছদ্মবেশ উত্তমরূপে পরীক্ষা করিয়া লইল । আর একপাত্র মদ্য পান করিয়া, একশত চাবির গুচ্ছটি নিজের কোমরে বাধিয়া, গুহ হইতে নিস্ক্রান্ত হইল । সদর দরজায় তালা বন্ধ করিতে করিতে মনে মনে হাসিয়া বলিল—“হরিদাসীকে বলছিলাম--আজ রাতে অনেক ভূত প্রেত ডাকিনী যোগিনা বেরুবে । অনেক ন বেরুক, একজন ডাকিনী ত বেরুল । মালী বেট সপরিবারে এতক্ষণ নেশায় ভো হয়ে পড়ে আছে । যাই নদীর ধারে গিয়ে দেখি আমার থাবার উপযুক্ত মড়াটড়। এক আধটা মেলে কি না ”—বলিয়া সে ক্ষিপ্রগতিতে অন্ধকারের মধ্যে মিশাইয় গেল । ক্রমশঃ শ্রীপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। চিত্র-কলাবিদ্যা ও মিঃ উইলিয়াম রদেনষ্টাইনের চিত্রাবলী The History of Modern Painting ain's of assis গ্রন্থের প্রণয়নকর্তা, জৰ্ম্মন পণ্ডিত Richard Muther গ্রন্থের প্রারম্ভেই এক স্থলে বলিয়াছেন যে “Commerce and Navigation discovered new worlds, painting discovered life.” <rotot কেমন মুন্দর । এক কথায় চিত্র-কলার এমন ব্যাপক ও মঙ্গত্বব্যঞ্জক ব্যাখ্যা বোধ হয় আর কেহষ্ট প্রদান করেন নাই। এই অত্যাশ্চর্য্য জগতে মুখদুঃখপূর্ণ নানা ঘটনার স্রোতে মানব যখন ভাসিতে থাকে, তখন কে তাহাকে এই আশার বাণী শুনাইয়া দেয় ‘না—এই শেষ নয়,—চল—আগে চল — তোমার গম্যস্থান সম্মুখে ; তাহ প্রেমমণ্ডিত, স্থশোভন ;