পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্য’ ] একটা মস্ত লম্বা বাড়ীর সার চলে গেছে। সেই একচালে ঘর বেঁধে মহারাষ্ট্রী, মান্দ্রাজী, বাঙ্গালী ও পাশি নানা দেশের নানা জাতির লোক নিতাস্ত ঘনিষ্ঠভাবে বসবাস করছে । “নানা পক্ষী একবৃক্ষে, নিশীথে বিহরে সুখে, প্রভাত হঠলে দশদিকেতে গমন।”—আমাদের ও অবস্থা অনেকটা সেই রকম। —যাহোকৃ দশদিকে যখন যেতে হয় তখনকার কথা আলাদা, এখন বেশ মুথেই আছি। দুপুরবেলা খাওয়া দাওয়া শেষ হয়ে গেলে আমাদের বাংলার বারাণ্ডায় মেয়েদের মজলিস বসত, তাতে ঘরসংসার মুখদুঃখের কথার আলোচনা হ’ত। আমার মা অনেক সময়ই পূজা ও মালাজপ এই সব নিয়ে থাকৃতেন,- কিন্তু এসব যেমন তার নিত্য কাজ, পাড়াপড় সীব বিপদে আপদে দেখা শুনা খোঁজখবর নেওয়া সেটাও ঠিক যেন পূজার মতই নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে উঠেছিল। তেীতের মার যত কিছু সুখ দুঃখের কথা সমস্তই আমার মার সঙ্গে। মহারাষ্ট্রদেশে অবরোধ প্রথা নাই, স্রেীতেরও কোন বিষয়ে সঙ্কোচ ছিল না, যখন তখন আমাদের বাড়ীর ভিতর এসে মায়ের কাছে খাবার চেয়ে খেতে র্তার কোন আপত্তি দেখা যেত না । গবাই ছেলেটও ঠিক বাপের মত সকল বিষয়েই সঙ্কোচহীন। ছুতার মিস্ত্রী দুয়ার মেরামত করতে আরম্ভ করেছে। গবাই কিছুক্ষণ বসে বসে একমনে তার কাজ দেখৃছে, তারপর তার সঙ্গেই এমন ভাবে কাজে লেগে গেল যেন সে ছুডারেরই ছেলে, চিরকাল মিস্ত্রীর কাজই করে এসেছে। এই রকম গুপারিকাটা পানসাজ থেকে আরম্ভ করে তাতাক্ষার (ঠাকুমার) মাথুর পাকাচুল তোলা পর্য্যন্ত কোন কাজই তার বাদ যায় না। সকল কাজে সকল স্থানেই তার অবাধগতি । ছেলেটর বয়স নয় বৎসর, চেহারাট তেমন মুকুমার না হলেও তামার ভারি ভাল লাগত। সুকুমার চেহারা না হ’লেও বিশেষ দোষ দেওয়া যায় না। আমাদের বাঙ্গালীর ঘরের ছেলেরা কত যত্নে কেশবিদ্যাসের জন্ত সম্মুখের চুলগুলি পারিপাট করে রাখে, কিন্তু সৌন্দৰ্য্যসম্বন্ধে মহারাষ্ট্র রুচি সম্পূর্ণ আর একরকম । সেই রুচি অনুসারে মরুভূমির মাঝখানের ওয়েসিসের মত গবাইয়ের মাথার ঠিক মাঝখানে গোলাকার একগোছা চুল আর মাথার চারিপাশ বেশ পরিষ্কার করে মহারাষ্ট্রীয় নিমন্ত্রণ >○ এই জন্তে গবাঈয়ের চওড়া কপাল আরও বড় ল’লে বোধ হ’ত । কানে দুটা মোট মোট সোনার মাকড়ি,—পরনে লালপেড়ে কাপড়। গবাইয়ের নাকট বেশ আৗর্য্যাচিত, কিন্তু চোপ দুটা ছোট। আমি স্রেীতেকে বার পার আশ্বাস দি তাম তার ছেলে কালে একজন বড়লোক কপে, কেননা অঙ্কেব ঘণ্টায় প্রতিদিনই ক্ল্যাসে সে প্রথম থাকে। শ্ৰেীতেব বাড়ীর উঠানটা খুব বড়। ঘরগুলি ঘেঁসাঘেঁসি হলেও বাড়ীর সম্মুথে অনেকটা করে জায়গা আছে । চারিধারে বাশের খুটি পুতে আজ সমস্ত উঠানট ঘেরা হয়েছে । উঠানের একপাশে একটা মাটির লেদা । তার উপর মুণ্ডিতমস্তক গবা একপানি আসনে পূৰ্ব্বমুখ হয়ে বসে আছে । পুৰোচিত সেই বেদীব একপাশেই হোমকুণ্ড জেলেছেন । এষ্ঠথানে হোম গুচ্ছে । আমাদের দেশে যেমন ব্ৰহ্মচারীকে অস্থর্যাম্পশু) হয়ে ঠিন দিন ঘরের ভিতর 受びイ ক্ষুর দিয়ে কামানে । একখানা চওড়া বন্ধ থাকতে হয় এখানে সে রকম নিয়ম নাই । মস্তক মুগুন, কাষায়বস্ত্র পরিধান, ভিক্ষাগ্রহণ এ সমস্ত নিয়ম বাংলা দেশেরই মত। --মুঞ্জিবন্ধনে এ দেশে আরও কয়েকটা অনুষ্ঠান আছে, সেগুলি অনেকটা বিবাহের স্ত্রী আচারের মত । - বাড়ীর ਚਿੰਤੜ খুব জোরে বাজনা বেজে উঠল, সেখানে স্ত্রী-আচার আরম্ভ হয়েছে । আত্মা বাম ও তার সহধৰ্ম্মিণী চন্দ্রভাগ বাঙ্গ পাশাপাশি পানি চিত্রকরা জলচৌকীতে বসেছেন । চন্দ্রভাগা একথানি বাসস্তী রংএর কাপড় ও ওড় না পরেছেন, ওড়নার আঁচলের সঙ্গে আব শ্ৰেীতের উত্তরীয়ের সঙ্গে গিরা দিয়ে বাধা, ( যেমন আমাদের দেশে বরকস্তার গাঠছড়া বাধে ) । ডোলে মহারাজের স্ত্রী (ডোলে একজন অধ্যাপক, মঙ্গরাষ্ট্র ব্রাহ্মণ) হলুদ নিয়ে গায়ে-হলুদের দিনে বরকে হলুদ মাখাপার মত স্রেীতেকে হলুদ মাখাচ্ছেন, আর স্রেীতের ছোট বোন কৃষ্ণা বাঈ চন্দ্রভাগাকে কলুদ মাথাচ্ছেন —ত্রেীতে আমাকে দেখে ভারী খুলী, ছাসতে গসতে ঈষৎ গৰ্ব্বিতভাবে বললেন “Well Sir, you are acquainting yourself with the customs of our country.” xfool of offo সহধৰ্ম্মিণীর দিকে চাইলেন ।