পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> Abo -. -۔ • --*م ---*میمه، همه ی ۳۰۰ مه ۰۰۰ سه ভাঙ্গিয়া দিতেছিল ; এমন সোনার স্নিগ্ধ প্রভাতে জেবুন্নেসার অমৃতবর্ষিণ কোকিল-কুজনসদৃশ কোরান-পাঠের স্বরমাধুরী উঠিয়া পড়িয়া উষ্ঠানকে স্বৰ্গীয় নন্দনকানন করিয়া তুলিয়াছিল। এমন মধুর রমণীয় চিত্তবিনোদন প্রভাতকালে সম্রাটু আলমগীরও নামাজ শেষে বাগানে ভ্রমণ করিতে আসিয়া জেবুন্নেসার স্বললিত কোরান পাঠ হৰ্ষাপ্লত প্রাণে অনন্তমনে শ্রবণ করিতে লাগিলেন। জেবুন্নেসা কোরাণ-শরীফের যে অংশ আবৃত্তি করিতেছিলেন, উহার অর্থ অতি মহৎ ও হৃদয়োম্মাদকর ছিল, পাদশাহ কোরানের অর্থসৌন্দর্য্যে ও পাঠমিষ্টতায় আত্মহারা হইলেন। এইরূপে জেবুন্নেসা দৈনিক নির্দিষ্ট পাঠ অৰ্দ্ধঘণ্টাকাল পড়িয়া নীরব হইলে, ধৰ্ম্ম-পিপাসু বাদশাহ উন্মাদপ্রায় ছুটির গিয়া জেবুন্নেসাকে কোলে লইয়া তাহার কপোলদেশে অপরিমিত আহলাদে চুম্বন করিতে করিতে দুই হাত উৰ্দ্ধে তুলিয়া তাহার কল্যাণ কামনা করিরলেন। অতঃপর সম্রাটু জেবুন্নেসাকে আরবী শিক্ষা দিতে লাগিলেন। চারি বৎসর মধ্যে আরবী সাহিত্যেও তিনি সম্পূর্ণ দক্ষতা লাভ করিলেন। এই সময় জেবুন্নেসা পারস ভাষাও অধ্যয়ন করেন । সময় সময় জেবুন্নেসাকে সম্রাটু কঠিন প্রশ্ন করিতেন, আর জেবুন্নেসা অবলীলাক্রমে তাহার অতি সুন্দর উত্তর প্রদান করিতেন । সম্রাটু সস্তুষ্ট হইয় তখন তদীয় শিক্ষকের বেতন বৃদ্ধি করিয়া দিতেন । অতঃপর সম্রাটু, দর্শন বিজ্ঞান প্রভৃতি পড়াইতে ইচ্ছ। করিলে, জেবুন্নেসা স্বীয় ধৰ্ম্মগ্রন্থাবলী ব্যতীত অন্ত কোন বিষয় পাঠ করিতে অমত প্রকাশ করেন, তখন হইতে কেবল তিনি কোরান, হাদিস ও ফেকাগ্রন্থ পাঠে মনোনিবেশ করেন। জেবুন্নেসা কোরান-শরীফের শুধু নীরস পাঠিক ছিলেন না, তিনি একজন কোরান-মৰ্ম্মজ্ঞ ও তত্ত্বজ্ঞ অসাধারণ পণ্ডিত ছিলেন। কোরান-শরীফ ও হাদিস প্রভৃতি পাঠ শেষ করিয়া তিনি উহা বস্তায় বাধিয়া রাখিয়া দেন নাই, সৰ্ব্বদাই এই সকল গ্রন্থ পাঠ করিতেন, এবং আজিফার (ঈশ-স্তোত্রপাঠ) জন্ত বহু সময় নির্দিষ্ট রাখিয়াছিলেন। জেবুন্নেসা বিস্তাগুণে পণ্ডিতসমাজের মনোহারিণী এবং জ্ঞানের গুণে রাজভবনে সন্ন্যাসিনী ছিলেন। সম্রাটু আলমগীর এক জন প্রকৃত ধাৰ্ম্মিক এবং আদর্শ প্রবাসী—পৌষ, ১৩১৭ ১• ম ভাগ, ২য় খ৯ - - SAAAAAAAS AAAASS AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS AAASASASS রাজনীতিজ্ঞ নরপতি ছিলেন, তিনি এ হেন পুতমন স্বপণ্ডিত কন্যারত্ন লাভ করিয়া বড়ই সস্তুষ্ট হইয়াছিলেন । বিশাল ভারতবর্ষের একচ্ছত্র সম্রাটের অতি আদরের দুহিত, নিষ্কাম জীবন কাটাইয়া, নিষ্কলঙ্ক চরিত্রের অপূৰ্ব্ব নিদর্শন রাখিয়া, ২৩ বৎসর কুমারীব্রত পালন করিয়া, সোনার দেবপ্রতিমা, ঐশ্বৰ্য্যশালিনী ব্রহ্মচারিণী জেবুন্নেসা হিজরী ১০৭৯ অব্দে প্রাণত্যাগ করিয়া স্বর্গে গিয়াছেন । পুতশীল জেবুন্নেসা বিপুল ঐশ্বৰ্য্য ও সুখ স্বচ্ছনতার মধ্যে লালিত পালিত হইলেও তিনি খোদার প্রদত্ত শক্তির অপচয় করেন নাই, বিলাস ব্যসনে বা আমোদ প্রমোদে কখনো তিনি যোগদান করেন নাই। জেবুন্নেসা শুধু বিদ্যামুরাগী ছিলেন, এমন নহে ; গুণবান ও শিক্ষিত লোকদিগকে তিনি প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও উৎসাহ প্রদান করিতেন। তদীয় অর্থে প্রতিপালিত হইয়া বহু ধাৰ্ম্মিক, কবি, লেখক স্বীয় স্বীয় কার্য্যে দেহুমন ঢালিয়া দিতে পারিয়া যশস্বী ও সম্মানী হইয়া গিয়াছেন। জেবুন্নেসার অর্থ সাহায্যে মোল্লা সাফিউদ্দিন অরজবেগ কাশ্মীরে বসিয়া কোরানের ভাষ্য তফসিরি কবিরীর অনুবাদ প্রকাশ করিয়াছিলেন। শিক্ষিত সমাজে জেবুন্নেসার গভাব এজন্ত অনেক অধিক । আবাল্য সন্ন্যাসিনী জেবুন্নেসার অসাধারণ প্রতিভার দুইটি নিদর্শনের উল্লেখ করিতেছি।– শাহী মহলে ও বহিৰ্ব্বাটিতে অধিকাংশ লোক মুন্নি ও কেহ কেহ শিয়া সম্প্রদায় ভুক্ত ছিলেন। তাহাদের উভয় সম্প্রদায় মধ্যে পরস্পর বাগবিতও চলিত। সম্রাটু আলমগীর স্বয়ং মুন্নি ছিলেন, কিন্তু তাহার মধ্যম পুত্র বাহাদুর শাহু শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। এইরূপে স্থল্লিদের প্রতি শিয়াদের আস্তরিক বিদ্বেষভাব বৰ্দ্ধিত হইতেছিল। এই বিবাদ মীমাংসা করণার্থে সকলে এক মত হইয়া জেবুন্নেসাকে মধ্যস্থ স্বরূপ নিৰ্ব্বাচিত করিলেন। জেবুন্নেসা ইহার মীমাংসার্থে মুন্নি মতের পোষকতায় বহুবিধ উদাহরণ ও সারগর্ড উপদেশ ও শাস্ত্রোক্ত বচনাবলীর দ্বারা অকাট্য প্রমাণ প্রয়োগ করত এরূপ একটি অখণ্ডণীয় ব্যবস্থা প্রণয়ন করিয়াছিলেন যে, শিয়াগণ তদুত্তরে বানিস্পত্তি করিতে অসমর্থ হইয়া নিস্তব্ধতা অবলম্বন করিলেন ; তখন সৰ্ব্বতোভাবে সুন্নিমতের প্রাধান্তই বলবৎ কষ্টল। শিমালাৰ মালা