পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৪ সহস্র তারার চোখে নীল নভঃ স্ততে তুমি যেন দেখিতেছ মোর অন্তঃস্থল, সুখ দুঃখ আশা ভয় যাঙ্গ জীবনেতে ঘনিয়াছে চিরদিন—প্রকাশি’ সকল ! মুক্ত করি দিলে লাজ, লুকানো দীনতা প্রেমের গৌরবালোকে করিলে মগন ; . লয়ে জীবনের সব ক্রট সফলতা যেমন জানিমু তোমা”—জানিনি কথন । অগুরু-চন্দন-বাসে শান্ত সন্ধ্যাক্ষণে তোমারে লভিমু আজি সম্পূর্ণ মিলনে ! শ্ৰীমুধীরচন্দ্র মজুমদার মহাত্মা কেশবচন্দের কৰ্ম্মযোগ কেশবচন্দ্রের ধৰ্ম্মসাধন সম্বন্ধে মোটামুটি এক রকম বর্ণনা করা গেছে । এখন তাহার কৰ্ম্মযোগের বিষয় বর্ণনা করিব। তিনি দলবল লইয়া মহা উৎসাঙ্গের সহিত কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। স্বদেশী আন্দোলনের পূৰ্ব্বে এরূপ কৰ্ম্মোদ্যম এদেশে কোথাও দেখা গিয়াছে বলিয়া মনে হয় না। তদ্ভিন্ন তাহার এই কৰ্ম্মের মধ্যে কিছু বিশেষত্ব ছিল । সেই জন্যই তাহার কৰ্ম্মকে কৰ্ম্মযোগ বলিয়। উল্লেখ করিয়াছি। সংসারে বিস্তর কৰ্ম্মী পুরুষ রহিয়াছেন ; তাহাদের মধ্যে কেহ বা স্বার্থের জন্ত, কেইবা কীৰ্ত্তি স্থাপনের জষ্ঠ, কেহবা প্রভুর আজ্ঞার অধীন হইয়া, কেহব। আপনার হৃদয়ের করুণায় আপনি আর্দ্র হইয়া, নানা প্রকার কৰ্ম্ম সম্পন্ন করিতেছেন । এ সকল কৰ্ম্মের দ্বারা জগতের কল্যাণ হইতেছে। কিন্তু তথাপি ইহাকে কৰ্ম্মযোগ বলা যায় না। গীতায় কৰ্ম্মযোগের উল্লেখ আছে। উহার অর্থই হইতেছে এই যে, ঈশ্বরের সঙ্গে ভক্তিযোগে যুক্ত হইয়া, তাহার আদেশে কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইতে হষ্টবে ; তবেই সেই কৰ্ম্মকে কৰ্ম্মযোগ বলা যাইবে । কেশবচন্দ্র ঈশ্বরের ভক্ত ; ঈশ্বরের আদেশেই তিনি কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন : স্বয়ং ঈশ্বরই র্তাহাকে ভারতের সেবার জন্ত আহবান DBBuS BB BBD DuH i iS প্রবাসী—পৌষ, ১৩১৭ ! >०अ छांग, २ग्न थ७ আর আপনার জন্তা রাখিলেন না ; আপনার দেহ মন ঈশ্বরের চরণে সমর্পণ করিলেন ; ঈশ্বরের ইচ্ছার মধ্যে প্তাহার “আমিত্ব” বিলীন হষ্টয়া গেল। তিনি আত্মশক্তিতে নয়, কিন্তু ঐশীশক্তিতে শক্তিশালী হইয়া ভারতের মহৎ কার্য্যে প্রবৃত্ত হইলেন। এই কাৰ্য্য সম্বন্ধে কেশবচন্দ্র স্বয়ংই একটি বক্তৃতায় বলিয়াছেন— “আমি বলিয়া কোন বস্তু আমাতে নাই। অনেক দিন হইল সেই ক্ষুদ্র পাখী উড়িয়া গিয়াছে। আর সে ফিরিয়া আসিবে না। * * ভারতের সেবা ভিন্ন অন্ত কোন কাৰ্য্য আমি জানি না। আমাকে কি তোমরা অবিশ্বাসী ঈশ্বরভ্রষ্ট করিয়া তোমাদের আজ্ঞাধীন করিতে চাও? কেশবচন্দ্র সেন তাহ পারেন না । * * আমি ঈশ্বরৰিশ্বাসী হইয়া তাহারই সেৰ করিব।” কেশবচন্দ্র দেশের প্রায় সৰ্ব্বপ্রকার কার্য্যে হস্তাপণ করিয়াছিলেন । তিনি মহাত্মা রামমোহন রায়ের দ্যায় রাজনৈতিক আন্দোলন করেন নাই বটে ; কিন্তু রাজনৈতিক উন্নতির জন্ত যে কোন চেষ্টা কবেন নাই, তাহা নহে । তিনি বিলাতে গমন করিয়া “ভারতের প্রতি ইংলণ্ডের কৰ্ত্তব্য” বিষয়ে দুইটি বক্তৃতা করেন। ঐ দুই বক্তৃতায় নিৰ্ভীক চিত্তে ভারতের রাজনৈতিক উন্নতি বিষয়ে আলোচনা করিয়াছেন। র্তাহার উৎসাহেই ত “ইণ্ডিয়ান মিরার” পত্রিকা বাহির হয় এবং কিছুদিন পরে উঠা দৈনিক হইয়া প্রকাশিত হয়। “সুলভ সমাচার” পত্রও তিনিই প্রকাশ করেন। সে কথা যা’ক । আমরা একটি প্রবন্ধে তাহার সকল কার্য্যের যে উল্লেখ করিতে পারিব, এরূপ আশা নাই। এজন্য ছোট বড় কতকগুলি কাৰ্য্য সম্বন্ধে আলোচনা করিব । কেশবচন্দ্র ব্রাহ্মসমাজের সভ্য হইবার পর অভিভাবকদিগের মনোরঞ্জনের জন্ত বিষয়কৰ্ম্মে লিপ্ত হইয়াছিলেন। কিন্তু তখন দেশের যুবকদিগের উচ্ছঙ্খল ভাব ও নৈতিক দুৰ্গতি দেখিয় তাহার প্রাণ কাদিয়া উঠিল । এই সময় কলিকাতা সহরের ইংরাজী-শিক্ষিত যুবকদিগের মধ্যে অনেকেই মদ্য পান করিতেন ; অনেকের ধৰ্ম্মবিশ্বাস শিথিল হষ্টয়া পড়িয়াছিল ; অনেকের মধ্যে উচ্ছৃঙ্খল ভাব প্রবেশ করিয়াছিল। কেশবচন্দ্র যুবকদিগকে স্বপথে ফিরাষ্টয়া wifaats fafng “Young Bengal, this is for you” مهمتری»