পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ও ভগিনী বলিয়া গ্ৰহণ করিবেন এবং যাহার প্রচারিত ধৰ্ম্ম পৃথিবীতে সাম্য ও উদার ভ্রাতৃভাব প্রতিষ্ঠিত করিবে,— তিনি কিরূপে জাতিভেদ মানিবেন ? কিরূপে নারীজাতির উচ্চ-অধিকার অস্বীকার করিবেন ? তাহার ধৰ্ম্ম কিরূপে হিন্দুকে আলিঙ্গন করিয়া খ্ৰীষ্টান ও মুসলমানদিগকে দূরে সরাইয়া দিবে ? কিরূপে পুরুষ জাতিকে উন্নত করিয়া নারীর জন্য নিকৃষ্ট ব্যবস্থা প্রচার করিলে ? শুধু কেশবচন্দ্র কেন, ইতিহাস-প্রসিদ্ধ কোন ধৰ্ম্মপ্রবর্তক জাতিভেদ কিম্বা কোন প্রকার অদ্যায় ভেদনীতি স্বীকার করিতে পারেন নাই । ভারতবর্ষের মহাত্ম বুদ্ধ, মহাত্মা নানক, ভক্ত শ্রীচৈতন্ত অথবা ইদানীন্তন কালের মহাত্ম রামমোহন, মহাত্মা দয়ানন্দ, স্বামী বিবেকানন্দ কি জাতিভেদ স্বীকার করিতে পারিয়াছেন ? তাহারা জাতিভেদ স্বীকার করেন নাই। এবং নারীজাতির জ্ঞানোন্নতি ও ধৰ্ম্মোন্নতি যে অনাবশুক, এরূপ অনুদার মতও প্রচার করেন নাই । কেশবচন্দ্র ও র্তাহার সহচরগণ জাতিভেদের লৌহপ্রাচীর ভাঙ্গিয়া এবং সমাজে উদার প্রেমের পথ পরিষ্কার করিয়া, দেশ বিদেশে ধৰ্ম্ম প্রচার করিতে লাগিলেন । এই কাৰ্য্যের জন্ত কত উৎপীড়ন সহ করিলেন, লোকের নিকট লাস্থিত হইলেন ; ঘরের লোক পর হইয়া গেল ; তবুও র্তাহারা পশ্চাতে ফিরিতে পারিলেন না, জাতিভেদও মানিতে পারিলেন না। র্তাহারা বিশ্বজনীন ধৰ্ম্মের স্বরঞ্জিত পতাকা হস্তে লইয়া নরনারীদিগকে বলিতে লাগিলেন—“এস ভাই হিন্দু, এস ভাই খৃষ্টান, এস ভাই মুসলমান, আমরা সকলেই এক পিতার সন্তান, কেহই কাহারও অবজ্ঞার পাত্র নই ; আমরা সকলেই প্রেমে মিলিত হইয়া পিতার মহৎ কার্য্য সম্পন্ন করিব।” অনেকে ত স্বদেশী আন্দোলনে প্রবৃত্ত হইয়াই দেখিতেছেন, জাতিভেদ মানিলে আর চলে না । জাতিভেদ মানিলে কেমন করিয়া মুসলমানকে এক মায়ের সন্তান বলিবেন ? কেমন করিয়া সকল জাতি একত্র হইয়া দেশের কল্যাণ সাধন করিবেন ? সেই জন্ত বাঙ্গালাদেশে জাতিভেদের প্রাচীর খসিয়া পড়িতেছে ; হিন্দু, মুসলমান ও সাহেব বাঙ্গালীর মধ্যে ভোজ চলিতেছে। স্বতরাং কেশবচন্দ্র छांङिएखरमग्न दकून हिग्न कब्रिब्र ७वर नांद्रौनिशएक निच्क বিদায়ু లిస్చిరి ও কিঞ্চিৎ স্বাধীনতা প্রদান করিয়া, দেশের কল্যাণ ভিন্ন কিছুই অকল্যাণ করেন নাই । শ্ৰীঅমৃতলাল গুপ্ত। বিদায় এবার তবে বিদায় দেহ অধীনে ; সকল কাজ সারা তে ভাই সহজ নয় ছুদিনে । যতটুকুন সময় হাতে পেয়েছিলাম ভাগ্যক্রমে, অধিকাংশ গিয়াছে তার বাধা বিপদ অতিক্রমে ; এখন বাকি আছে কেবল ফেরার মত সময় টুকু, তাই বলি গে। বিদায় দেহ • ফুরায়ে যাক সকল চুক ॥ এখন তবে বিদায় দেহ এ দীনে বিরস কেহ থেকোন ভাই ফিরে যাবার সুদিনে । এক যখন এসেছিলাম ছিলে না কেউ সার্থী বটে— আছাড় খেয়ে পড়েছিলাম অনাদি এই নদীতটে ; পরে তো ভাই কাজের ফেরে মিলন হল অনেকক্ষণ, এখন মোরে বিদায় দেহ— এষে আমার শুভ লগন ; শ্ৰীঅমরেন্দ্রনাথ মিত্র