পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిఫ్చిJు পক্ষীর প্রসাধনবহন্ত কিংবা “কড়” মৎস্তের বাসস্থানের আলোচনা করিতে হইবে । কিন্তু বাঙ্গালা দেশের পশু পক্ষী কিংবা কই, মাগুর মৎস্তের কথা যেন লিখিত হইবার চেষ্টা না হয় ! তাহা হইলে যে নিজে পর্যবেক্ষণ করিতে হইবে । হায় বঙ্গভাষা ! মুখের বিষয় শ্ৰীযুত নিবারণচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য প্রমুখ মনীষিবর্গ এই দীন দেশের দীন হীন উদ্ভিদ প্রভৃতির কাহিনী লিপিবদ্ধ করিতে পরায়ুথ নহেন। যদি বঙ্গীয় সাহিত্যসেবকগণ প্রত্যেকে একটা উদ্ভিদ কি প্রাণী সম্বন্ধে পর্য্যবেক্ষণ আরম্ভ করেন তবে বোধ হয় অচিরকাল মধ্যে বাঙ্গাল। দেশে আমাদের নিজেদের প্রাণিবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান স্বল্প হইতে পারে। তারপর জাতিতত্ত্ব । আমরা আমেরিকা, নিউজিলাও প্রভৃতি স্থানের অধিবাসিবর্গের সম্বন্ধে অনেক কথাই অবগত আছি, কিংবা বঙ্গদেশের কোন জাতি পুবাণে কোন জাতি বলিয়া বর্ণিত তাঙ্গ বেশ অবগত আছি। যেহেতু সে যে ছাপার বইয়ে আছে! কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই বঙ্গদেশে কোন জাতির মধ্যে মৃত্যুসংখ্যা কিরূপ, তাহাদের ব্যবসায়ের সহিত মৃত্যু-সংখ্যার সম্বন্ধ আছে কি না, কোন জাতির সস্তান উৎপাদন কি পরিমাণে হয়—তাতার কম বেশীর সহিত তাঙ্গাদের জাতিগত কি ব্যবসায়গত কোন সম্পর্ক আছে কি না, সে সমস্ত তথ্য সংগ্ৰহ করি না । আমরা বিধবা-বিবাহ সম্বন্ধে শাস্ত্রের বচন সংগ্ৰহ করিতে পাবি। কোন দেশে কি সংখ্যায় বিধবা-বিবাহ হয় তাহা জানি, কিন্তু সেই বিধবাবিবাহ-সমস্ত মীমাংসার্থে যে পুরুষের কোন বয়সে বেশী মৃত্যু হয় সেই তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন তাঙ্গ দেখি না ও কটু করিয়া সে তথ্য সংগ্রহে মনোযোগী হই না । আমাদের দেশে জাতির মধ্যেও শ্রেণী বিভাগ অাছে তাঙ্গতে বিবাহাদি চলে না । সুতরাং বিধবা-বিবাহ সমস্তায় যে শ্রেণীগত পুরুষ ও স্ত্রীর সংখ্যা স্থির করা প্রয়োজন তাহ চিন্তা করি না এবং সে তথ্য সংগ্ৰহ করি না, যতটুকু গবর্ণমেন্টের সেন্সসে আছে তাহা লইয়াই নাড়া চাড়া ! হিন্দুজাতি ধ্বংসোন্মুখ ! এই সংবাদে আমরা ব্যতিব্যস্ত ! কিন্তু কৈ গবর্ণমেণ্টের সেন্সস ব্যতীত লোকের প্রবাসী—পৌষ, ১৩১৭ [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড হ্রাস বৃদ্ধি হইতেছে তাহার কি কোন তালিক। আমরা সংগ্ৰহ করিয়াছি ? কি ব্যবসায়ে মৃত্যু বেশী এবং সন্তান উৎপাদন কম হয়—কোন জেলায় কোন জাতিতে কি ভাবে জন্ম-মৃত্যু, তাঙ্গর কোন তথ্যই আমরা সংগ্ৰহ করি নাই । বঙ্গসাহিত্যের অন্যান্ত বিভাগও আলোচনা করিলে এইরূপ স্বাধীন অনুসন্ধানের অভাব পরিলক্ষিত হয়। আমরা আধুনিক বঙ্গসাহিত্য আলোচনা করিয়া অনেকটা এইরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছি। সে সিদ্ধান্ত প্রকৃত কি ন। তাহ চিন্তাশীল পাঠকবর্গ ও লেখকবর্গ বিবেচনা করিবেন। অম্বুবাদ করা ভাল বটে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে যে অমুবাদকের একটু স্বাধীন অনুসন্ধান করিয়া তাঙ্গদের পুস্তকস্থ বিজ্ঞানের আলোচনা কার্য্যে প্রয়োগ করিতেছেন ইহা বুঝিতে না পারিলে পাঠকের তৃপ্তি হয় না এবং লেখকের উপর শ্রদ্ধা হয় না। দুষ্টষ্ট সাহিত্যের পক্ষে অমঙ্গলজনক । আশা করি ধীমানগণ যাহাতে বঙ্গসাহিত্যক্ষেত্রে আরও অধিক পরিমাণে স্বাধীন অনুসন্ধান চলিতে পারে তাহার পন্থা অবধারণ করিবেন এবং সেই সমস্ত অনুসন্ধানের বিভাগ ও বিষয় নির্দিষ্ট করিয়া দিবেন। তাঙ্গা হক্টলে হয়ত অনেকে তদনুযায়ী কাৰ্য্য করিয়া অচিরে বঙ্গসাহিত্যকে এক স্বাধীন সাহিত্যরূপে জগতের সমক্ষে প্রচার করিতে সমর্থ হক্টবেন । অপ্রীতিকর সমালোচনার জন্ত সাহিত্যসেবিগণের নিকট বিনীতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি । আশা করি আমার এই আলোচনার উত্তরে আমার অকৰ্ম্মণ্যতার উল্লেখ করিয়া কেছ আমাকে জব্দ করিবার চেষ্টা করিবেন না । সেরূপ চেষ্টা তর্কশাস্ত্রে দুষণীয় বলিয়া উল্লিখিত আছে । - শ্ৰীমুরেশচন্দ্র দাসগুপ্ত। “বাঙ্গালা ন্যাসনালিটিস্ট (NATIONALITY) কোন এক সময়ে যে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশু, শূদ্র বলিয়া