পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩২ স্বীকার করিতেও আমাদের লজ্জা হয় । আমাদের Idea of ceremonial purity forni ft SIĘ, staffstrą স্পর্শেও পাপ আছে। যে সব অনাৰ্য্যবংশ আমাদের ভাষা, আমাদের ধৰ্ম্ম, আমাদের আচার ব্যবহার গ্রহণ করিয়া হিন্দুসমাজে নূতন জাতি গঠন করিয়াছে, তাহারাও আর্য্য সাজিবার জন্য ব্যস্ত। কিন্তু র্যাহারা বড়, তাহার ছোটদের দাবী গ্রাহ করিতে প্রস্তুত নন। পরস্পরের মধ্যে হিংসা বিদ্বেষ কমিবার কোন চিহ্নও পাওয়া যায় না । অধিকন্তু ব্যবসায় ভেদে নুতন নূতন প্রদেশে বাস করিয়া নূতন নুতন জাতির উৎপত্তি হইয়া জাতিসংখ্যা বৃদ্ধি হইয় যাইতেছে। আমাদের Nation হইবার পথে বিঘ্নই উপস্থিত হইতেছে—আমরা এক হইতে পারিতেছি না। আমি আর দুষ্টট উদাহরণ দিয়া আমার এই বিষয়ে যাহা বক্তব্য আছে, তাহার শেষ করিব । wit”fatal of Census Report 'if; ovsa, Stel হইলে বাঙ্গালী দেশের বাহিরে ( আমি শ্রীহট্টকে বাঙ্গালার ভিতর ধরিতেছি ) বৈদ্যজাতি দেখিতে পাইবেন না । তাহা হইলে বৈদ্যজাতির এই বাঙ্গালা দেশেই উৎপত্তি । ইহাদের জাতিগত ব্যবসায় চিকিৎসা করা। আমাদের দেশে এই শাস্ত্রের সহিত তন্ত্রের কিরূপ নিগৃঢ় সম্পর্ক, তাহা আমার বন্ধু è πετά πέt•ifv (Dr. P. C. Ray) $tet* History of Hindu Chemistry or cowfoots= | অধিকতর আশ্চর্য্যের বিষয় যে, এই তন্ত্রশাস্ত্রের আলোচনা একপ্রকার এই বাঙ্গালী দেশেই নিবদ্ধ । বৈষ্ঠদের মধ্যে অধিকাংশই যে তান্ত্রিক, তাহাও আপনাদের অবিদিত নাই। এই সব কথাগুলি একত্র করিলে কি আমরা বুঝিতে পারি না, যে, ৰাঙ্গালাদেশে তন্ত্র ও চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়ন করিতে করিতে ও চিকিৎসা ব্যবসায় নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হইয় গেলে এই বৈদ্যজাতির উৎপত্তি হইয়াছে ? to goth functional caste. Kiwiwi cotta বাহিরে বৈদ্য বলিলে আজিও জাতি বুঝায় না—একটা ব্যবসায় বুঝায়। ব্রাহ্মণ হইতে আরম্ভ করিয়া অন্ত সব জাতিতেই এই ব্যবসায় করিতে পারে। আপনার এখন একটা কথা তুলিবেন, ইহার যখন বৈদ্য বলিয়া জাতিতে পরিণত হন নাই, তাহার পূৰ্ব্বে ইহারা কি প্রবাসী—পৌষ, ১৩১৭ [ ১০ম ভাগ, ২য় খণ্ড জাতি ছিলেন ? একটা ভিন্ন জাতি পরিবর্তিত হইয়া ত বৈদ্য জাতি হইয়াছে ? সে জাতি কি জাতি ছিল ? অতীতের কথা বলা সৰ্ব্বদাই কঠিন। তবে যদি কিছু চিহ্ন থাকে তাহা লইয়া কল্পনার সাহায্যে আমরা কিছুদূর অগ্রসর হইতে পারি। আপনার যদি চট্টগ্রাম, নোয়াখালি, ত্রিপুর, শ্ৰীহট্ট জেলা ও ময়মনসিংহ ও ঢাকা জেলার পূর্ব ংশে গমন কবেন, তাহা হইলে দেখিবেন, ঐ প্রদেশে কতকগুলি বংশ বৈদ্য ও কতকগুলি বংশ কায়স্থ বলিয়া পরিচিত । আহার ও আদান প্রদানে তাহীদের মধ্যে কোন প্রকার ভেদ নাই। এমন কি, কোন কোন বংশ কিছু দিন কায়স্থ, তাহার পর কিছুদিন বৈদ্য বলিয়া পরিচিত হইয়াছেন, ইহার অনেক প্রমাণ পাওয়া যায়। এই দুই জাতির বিবাহ হইতে সস্তৃত সন্তানেরা তাতাদের পিতা মাতার বৈধ সন্তান, তাঙ্গ High Courtএ এক মকৰ্দমায় স্থির হইয়া গিয়াছে। কেহ বলিবেন যে, যথেষ্ট লোকংখ্যা না থাকায় এই অবস্থা হইয়াছে। পূর্বে পার্থক্য ছিল, কিন্তু এখন উভয় জাতি বাধ্য হইয়া এইরূপ সম্বন্ধ করিতেছেন। সমস্ত বাঙ্গালা দেশে বৈদ্যসংখ্যা প্রায় ৮৫ কাজার। তাহার মধ্যে এই কয়েক স্থানে প্রায় ৪০ হাজার বৈদ্য । তাহাদের মধ্যে যে ছেলে মেয়ে পাওয়া না যায়, তাহা কে বলিবে । এই সব স্থানে কায়স্থ প্রায় ২ লক্ষের কম হইবে না । তাছাদের যে নিজ জাতির ভিতর বিবাহের সুবিধা হয় না, তাহা কল্পনা করাও কঠিন। আর কৈ সেখানে বৈদ্য ও ব্রাহ্মণে বা কায়স্থ ও ব্রাহ্মণে ত বিবাহ দেখা যায় না। হিন্দুসমাজে এই দুই জাতির সমান সম্মান ও উভয়ের উৎপত্তি এক মূল হইতে বলির এইরূপ ব্যবস্থা হইয়াছে। কেবল বর্তমানে এই স্থানেই কি এইরূপ হয় ? আপনার যদি বৈদ্যদের আদি কুলজিলেখক ভরতমল্লিকের “চন্দ্র প্রভা” পাঠ করেন, তাহা হইলে দেখিতে পাইবেন, তিনি অসঙ্কোচ-চিত্তে বৈদ্য-কায়স্থের বিবাহের কথা লিথিয়া গিয়াছেন । সে আজ প্রায় ৪e e॥৪৫০ বৎসরের কথা। তিনি পূৰ্ব্ব বাঙ্গালার বৈদ্যদের এইরূপ সম্বন্ধের কথা লিখিয়াছেন । পশ্চিম বাঙ্গালার বৈদ্যদের সম্বন্ধে শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বস্থ মহাশয় লিখিতেছেন, “এমন কি, সুপ্রসিদ্ধ বৈদ্য-পণ্ডিত ভরত মল্লিক কঁঠাল