পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা -- - -یs* AASAASAASAASAASAASAASAAAS ভাষার ও বিহারী ভাষার পরম্পরের মধ্যে কি সম্বন্ধ আছে জানিতে চান, তাঙ্গার সাহেব *** **tfore Linguistic Survey of India পুস্তক পাঠ করিলে সবিশেষ অবগত হইবেন । বিচারীদের বিশ্বাস, তাহার। হিন্দি ভাষায় কথা কয় ও তাহাদের নিকট সম্পর্ক উত্তরপশ্চিমের লোকদের সহিত। যাচার লেখাপড়া শিখিতেছে, তাহারা হিন্দি ভাষার চর্চা করিতেছে সত্য, কিন্তু সঙ্গরের বাতিরে গ্রামে সাধারণতঃ যে ভাষায় কথা কয়, তাঙ্গকে তাহারা গাওয়ারী (Ganwari) ভাষা বলেন । এই গাওয়ারী ভাষার সঠিত আমাদের বাঙ্গালী ভাষার সহিত নিকট সম্পর্ক । মিথিলাতে ব্ৰাহ্মণের ষে অক্ষর এখনও ব্যবহার করিয়া থাকেন, তাহার • א' Grierson HIRİ Grierson Hfzstās Linguistic Survey of India পুস্তকে দেখিতে পাওয়া যায়। তাতা বাঙ্গালা অক্ষর হক্টতে অভিন্ন। এই অক্ষর সম্বন্ধে পণ্ডিত রামগতি দ্যায়রত্ন মহাশয় তাহার বাঙ্গালা ভাষার ইতিহাসে লিখিয়াছেন যে, “এখনকার পুস্তকে মুদ্রিত যে বাঙ্গাল অক্ষর দেখা যায়, তাহাই যে প্রাচীনকালের বাঙ্গালা অক্ষর নহে, তদ্বিষয়ে স্পষ্টষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। এতদেশীয় ব্রাহ্মণ পণ্ডিত মহাশয়দিগের গৃক্ষে ৩৪ শত বৎসরের হস্তলিখিত যে সকল সংস্কৃত পুস্তক দেখিতে পাওয়া যায়, তাঙ্গর অক্ষর সকল এখনকার অক্ষর অপেক্ষ অনেকাংশে বিভিন্ন। সচরাচর ঐ সকল অক্ষরকে “তিরুটে ( বোধ হয় ত্ৰিহটে) অক্ষর বলে। ঐ অক্ষরে দেবনাগরের কিঞ্চিৎ সাদৃশু আছে ” শ্ৰীকাৰ্ত্তিকেয়চন্দ্র রায় মহাশয় লিখিত “ক্ষিতীশবংশাবলি-চরিত” পাঠ করিলে আমরা জানিতে পারি, এদেশে নবদ্বীপেই প্রথম ন্যায় ও স্মৃতির চর্চা হয় এবং মিথিলী দেশ হইতে লাঙ্গালী পণ্ডিতেরা সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা করিয়া নবদ্বীপে সংস্কৃত চর্চার স্বত্রপাত করেন। তাতার পূৰ্ব্বে মিথিলা প্রদেশের বাচস্পতি মিশ্র, বিবেকার শূলপাণি, ধৰ্ম্মরত্ব সংগ্রাহক জীমূতবাহন প্রভৃতি স্মৃতিসংগ্ৰহকারগণের ব্যবস্থানুসারে বঙ্গদেশে কৰ্ম্মকাণ্ড ইত্যাদি চলিয়া আসিত। লেখা পড়ার সব মিথিলা হষ্টতে আসিয়াছিল বলিয়া আমরা বিদ্যাপতিকে প্রথমে বাঙ্গালী কবি বলিয়া স্থির করিয়াছিলাম। এখন আমরা বুঝিতে পারিতেছি যে, এই গঙ্গা

  • বাঙ্গালা স্বাসনালিটি

○○Q SS SSAS SSAS SSAAAASAASAASAASAASAASSAAAAAAS AAASASAAASAAA S ভাগীরথীর তীরই প্রথমে বাঙ্গালা দেশের আর্য্যদের বাসস্থান ও সভ্যতার কেন্দ্র ছিল । আমরা স্থানান্তরে দেখাইব যে এক সময় ভাগীরথী দিয়াই গঙ্গার প্রধান প্রবাহ বচিত। তথন পদ্মার কোন অস্তিত্ব ছিল না । গৌড় বা নবদ্বীপ এই নদীর তীরেই অবস্থিত ছিল। এস্তান হইতেই বাঙ্গালা দেশের চারিদিকে সভ্যতার আলোক বিকীর্ণ তষ্টয়াছে। এই নদীর একদিকে রাঢ় দেশ ও অপর দিকে বারেন্দ্র ভূমি । যখন এষ্ট নদীর উভয় তীরে উত্তরপশ্চিম কষ্টতে আগত ব্ৰাহ্মণদের সংখ্যা বাড়িতে লাগিল, তখন ক্রমেই এই বৃহৎ নদী পার হইয়া পরস্পরের মধ্যে আহারাদি ও বিবাহ সম্বন্ধ কমিয়া যাইতে লাগিল । কিছুদিনের মধ্যে দুষ্টস্থানে বাসজনিত আচার ব্যবহারেরও কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ পরিবর্তন হইতে লাগিল। একটী কারণে এই প্রভেদ ক্রমে বদ্ধমূল হইল। সেট বংশ নামের উপাধি। আপনার যদি বম্বে প্রদেশে যান, সেখানে ব্রাহ্মণের নামে র্তাহীদের গ্রামের নাম দেখিতে পাইবেন । যেমন রামকৃষ্ণ গোপাল ভাণ্ডারকার । এখানে রামকৃষ্ণ নামটা তাঙ্গার নিজের, গোপাল তাহার পিতার নাম, ভাণ্ডারকার গ্রামের নাম। অর্থাৎ ভাওারকার-নিবাসী গোপালের পুকু রামকৃষ্ণ। মাজাজেওব্রাহ্মণদের নামে ঐরূপ স্থানের নাম দেখিতে পাওয়া যায়। সুপ্রসিদ্ধ Sir T. Madhav Rao নামে যে স্থানের নাম আছে, তাহা কেহ সন্দেহ করেন না। কিন্তু ঐ T-টী Tanjore অর্থাৎ তাঞ্জোরের মাধব রাও । বাঙ্গালোরের এক সুপ্রসিদ্ধ ধনীর নাম ধৰ্ম্মরত্নাকর আর্কট নারায়ণ স্বামী মুদালিয়। ইহার মধ্যে আর্কট কথাটা জ্ঞাপন করিতেছে যে তিনি ঐ সহরবাসী ছিলেন । এদেশেও রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণদের সেরূপ ঘটিয়াছে । রামচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়,—রামচন্দ্র “বন্দঘাট” স্থানের "উপাধ্যায়”, হরেকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় অর্থাৎ হরেকৃষ্ণ “চট্ট" গ্রামের "উপাধ্যায়।” পণ্ডিত শ্রযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু মহাশয় রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণদের ৫৬টা “গাই” অর্থাৎ “গ্রামিন’ বা গ্রামের অধিকাংশ রাঢ় দেশের মধ্যে খুজিয়া বাহির করিয়া উাছার বাঙ্গাল দেশের জাতীয় ইতিহাসের ব্রাহ্মণখণ্ডে প্রকাশ করিয়াছেন। যখন হইতে এই নামের পশ্চাতে প্রথম “বন্দ্যোপাধ্যায়" বা “চট্টোপাধ্যায়” লিখিত । _–------