পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ..م۔-جی...م. • করিয়াছে। সান্ধবায়ুসেবনের জন্য অনেকেই তথায় গিয়া থাকে। বসিবার জন্ত এক এক স্থানে কাষ্ঠাসন পাতা আছে। শিখরদেশ হইতে হংকং দ্বীপ অতি সুদৃশু এবং মনোরম দেখায়। অদূরে জাহাজগুলি ছোট ছোট 'জালিবোট বলিয়া মনে হয়। সন্ধ্যা সমাগমে যখন হংকংনগরী আলোকমালায় সজ্জিত হয় জাহাজ হইতে ঐ দৃশু বর্ণনাতীত সুন্দর দেখায়। অগণিত নক্ষত্রপুঞ্জ যেন পৰ্ব্বতগাত্রে ফুটিয়া রহিয়াছে । এই দ্বীপের উত্তর দিকে পৰ্ব্বতমালা । কতকগুলি পাহাড় খাড়াভাবে উপসাগর হইতে উঠিয়াছে। দ্বীপের মধ্যভাগ ও দক্ষিণাংশে সহর অবস্থিত । হংকংএ যথেষ্ট লোক নৌকায় বাস করে । ইহার উত্তরপূৰ্ব্ব সীমার অপর পারে “কউলুন”। এখানে কেল্লা এবং সেনানিবাস আছে । এই স্থানও পৰ্ব্বতময়। "ফেরি ষ্টিমার’ যাতায়াত করে। কালে যে এই স্থানও সমৃদ্ধিসম্পন্ন হুইবে তাঙ্গর বেশ আভাস পাওয়া যায় । ১৮৪০ খ্ৰীঃ অঃ আফিম লষ্টয়া ইংরাজের সহিত চীনের যে যুদ্ধ হয় তাতার ফলে হংকং দ্বীপ ব্রিটিস-সিংহের করকবলগত হয়। হংকং হইতে ক্যাণ্টন সহর প্রায় একশত মাইল দূরে । প্রত্যঙ্গ দুষ্টখানি ষ্টিমার এবং অনেক নৌকা যাতায়াত করে । দক্ষিণ প্রদেশের মধ্যে ক্যাণ্টন একটী বিখ্যাত প্রধান ব্যবসায়ের স্থান এবং সন্ধিবন্দর । স্বনামখ্যাত নদীতীরে অবস্থিত । এখানে অসংখ্য লোক নৌকার উপর বাস করিয়া থাকে। অনেকের অম্বুমান, স্থলে ইহাদের স্থান সঙ্কুলান হয় না বলিয়া ইহার নৌকায় বাস করে। আমার বোধ হয় নৌকায় বাপ তাহাদের সাতিশয় প্রীতি প্রদ বলিয়াই ইহারা নদীর উপর আজন্ম অতিবাহিত করে। এই নৌকাচর মানবের সংখ্যা বড় কম নহে, প্রায় পাচলক্ষ হইবে। ক্যাণ্টনের লোকসংখ্যা ত্রিশলক্ষের কম নয়, কলিকাতার কিন্তু লোকসংখ্যা দশলক্ষের অধিক নয়। এখান হইতেষ্ট চীন সম্রাটের একাধিপত্য আরম্ভ। বিদেশীদিগের কোন কথা এখানে থাটে না । সকলকেই চীনেদেশের আইন মানিয়া চলিতে হয় । ইংলণ্ডের যেমন “ইউনিয়ান জ্যাক”-অঙ্কিত পতাকা, চীনের তেমনি “ড্রাগন"-জাক নিশান । এই “ড্রাগন” পক্ষযুক্ত কল্পিত একপ্রকার সরীসৃপ। মুখ ব্যাদান করিয়া যেন গিলিতে আসিতেছে। - - ûw, আমার চীন-প্রবাস AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAASحامی هیده هاه ○8> এই অদ্ভুত জীব সম্বন্ধে বারাস্তরে কিছু বলিবার ইচ্ছ। রহিল । প্রধান বাণিজ্যস্তান হইলেও ক্যাণ্টনের রাস্ত ঘাটের আদেী পারিপাট্য নাই। হংকংএর কাছে উচ্চা ঘেঁসিতেই পারে না । বড় বড় চীনে সওদাগরের এথানে কারবার। কতিপয় মসজিদ দেখিলাম। ২১টা মুসলমানের সহিত পরিচয় হইল, তাঙ্গাদিগকে দেখিয়া মুসলমান বলিয়া চিনিবার উপায় নাই। দোভাষার নিকট শুনিলাম তাঙ্গর মুসলমান, কিন্তু পোষাক পরিচ্ছদ এবং লম্বা বেণী সকলই এক রকমের, কিছু মাত্র প্রভেদ নাই । ২৪টা পার্সী ‘বয়াতের’ আবৃত্তি শুনিলাম। সে এক নূতন ভাবের মুর, বেশ মিষ্ট লাগিল। দোকানদারের দোকানের সম্মুখে এক এক থানি লম্বা কাষ্ঠথও ঝুলান, লম্বাভাবে লেখা । তাঙ্গতে দোকানের তালিকা এবং দোকানদারের সততা এবং সত্যনিষ্ঠ মটো দ্বারা বিশেষভাবে বর্ণিত । ক্যাণ্টনের অপর নাম কুয়াংটুন । চীন-রাজ প্রতিনিধি চাং-চি-টুং এই স্থানে সৰ্ব্ব প্রথম টাকশাল প্রস্তুত করেন । প্রচণ্ড টাইফুন ঝড়ের জন্য চীন সমুদ্রের ভারি ছুনাম। টাইফুন, চীন শব্দ ‘টাক্টফেং, প্রবল ঝটিকার নাম। এই ঝড়ের প্রকোপে আমাদের জাহাজ দুই দিন হংকং বন্দর হইতে বাহির হইতে পারে নাই । ঝড়ের লক্ষণ বুঝিয়া বন্দর হইতে টাইফুন নিশান’ উড়াইয়া জাহাজগুলিকে সাবধান করিয়া দেওয়া হয় । দুর্ভাগ্যবশতঃ যাহার এই ঝড়ের মধ্যে পতিত হয় তাহাদের দুর্দশার একশেষ এবং কখন কখন প্রাণসংশয় হইয়া থাকে । হংকং ছাড়িয়া পীতসাগর দিয়া ‘সাংঘাই’ যাইতে হয় । এই স্থানে আগমন-কালে আমাদের জাহাজ তীরে লাগে নাই, চীন হইতে ফিরিবার সময় দেখিবার সুযোগ পাইয়াছিলাম। এমন সুন্দর স্থান না দেখিলে চীন দেশ দেখা অসম্পূর্ণ থাকিয়া যাইত । সুতরাং এস্থলে ইকার বর্ণনা দেওয়া বোধ হয় অপ্রাসঙ্গিক চক্টবে না । এষ্ট স্থান একটা স্বপ্রসিদ্ধ বাণিজ্যস্থান ৭ প্রাচ্য দেশের মধ্যে এই স্থান (জাপান ছাড়া ) সুন্দরতম বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। এই স্থানের মনোহারিত্বে ইহা ‘ক্ষুদ্র লওন’ আখ্যায় পরিচিত। ইয়াংসেকিয়াং নামক স্বনাম প্রসিদ্ধ নদীতীরে