পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা | AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS ক্রোশ বেড়াইতাম, এখন অৰ্দ্ধক্রোশের অধিক পথ চলিতে শ্রান্তিবোধ করি ; কিছুকাল পরে ইহাও সাধ্যাতীত হইবে । এস্তলে ইহাও বক্তব্য যে বুদ্ধবয়সে এমন কতকগুলি অভ্যাস ক্রমশঃ সংগঠিত হয়, যাকার সাহায্যে মানুষ জরাজনিত দৌৰ্ব্বল্যসত্ত্বেও কলের পুত্তলির গায় দৈনিক নিতাকৰ্ম্ম কথঞ্চিৎ সমাধা করিতে সক্ষম হয় ; নতন কিছু করিতে হইলেই বিপদে পড়ে । অভ্যাস-নিৰ্ম্মিত পথ দিয়া চলা অপেক্ষাকৃত সহজ ; নূতন পথ খুলিতে গেলে অধিক সামর্থ্যের প্রয়োজন। গুটিপোকা যেমন গুটির ভিতর নিরাপদে থাকে, সেইরূপ অভ্যাসগুটির আশ্রমে বুদ্ধও কতকটা নিশ্চিন্ত হয় । এতদ্ভিন্ন চসম প্রভৃতি নানাবিধ কত্রিম উপায় অবলম্বনে চক্ষুরাদি ইন্দ্রিয়বিশেষের দৌৰ্ব্বল্য কিয়ৎপরিমাণে দূর করা যায়। আর্থিক সচ্ছলতাও বৃদ্ধের পক্ষে এক প্রকার লুপ্তযেীবনাবশেষ বলিলে বলা যায়। যৌবনে মানুষ সমধিক কষ্টসহিষ্ণু থাকে। যৌবনমদে মত্ত হইয়া মানুষ কোনও কষ্টকে কষ্ট বলিয়া বোধ করে না । কিন্তু নিস্তেজ বৃদ্ধদেহ কোনও প্রকার কষ্ট সহ করিতে একেবারে অসমর্থ। অর্থদ্বারা অশেষবিধ কষ্ট্রেব লাঘব হয় । অতএব বৃদ্ধবয়সে অর্থের বিশেষ প্রয়োজন । সুখপাচ্য অথচ পুষ্টিকর আহার, সুকোমল দুগ্ধফেনসন্নিভ শয্যা, শীতগ্রীষ্মোপযোগী পরিস্কৃত পরিচ্ছন্ন পরিচ্ছদ ও বাসগৃহ, যত্নশীল পরিচারক, রোগনাশক ও বলকারক নানাবিধ ঔষধপত্র এবং বিশুদ্ধবায়ু-সেবনাৰ্থ যানাদি-ভ্ৰমণসৌকর্য্য বৃদ্ধবয়সে স্বাক্যরক্ষার প্রধান উপায়। বলা বাহুল্য যে এই উপায়গুলি সকলেই অর্থ-সাপেক্ষ । সুতরাং আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধের শারীরিক দৌৰ্ব্বল্য প্রতিবিধানের অন্ততম মুখ্য হেতু বা উপায় । কিন্তু হায় ! বাৰ্দ্ধক্যের আনুষঙ্গিক অনিষ্ট

    • "م- سه --م. -ه-م...------------... - • • •

কেবল দৈহিক দৌৰ্ব্বল্যে পর্যবসিত হয় না। মৃত্যুমুখে পতিত হইবার পূৰ্ব্বেষ্ট বৃদ্ধকে কত মৃতু্যযন্ত্রণা ভোগ করিতে হয় । যখনই দেখে যে – “ভূতরূপ সিন্ধুজলে গড়ায়ে পড়িল বৎসর, কালের ঢেউ,—” তখনই তাহার মনে কত মৃত আত্মীয় বন্ধুর জন্ত শোকসিন্ধু উদ্বেলিত হয়! জীবনের সেই হাস্যময়, মধুময় প্রভাত স্বতিপথে উদয় হয়, যখন সে সংসারের সকল বস্তুষ্ট । खोबम-टेबध्छिा SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SS ව8ණු - ---۔ م۔ عے .--- সোনার চক্ষে দেখিত, যখন তাহার মস্তকের উপর স্নেহের অজস্র পুষ্পবৃষ্টি চষ্টত। যাচাদিগকে সৰ্ব্বপ্রথমে ভাল বাসিতে শিখিয়াছিল, তাহাদিগকেই সৰ্ব্বপ্রথমে তারাইয়াছে । কোথায় সেই পরমারাধ্য পিতৃদেব ? মমতা ও করুণার অনন্ত প্রস্রবণ সেই জননীই বা কোথায় ? কোথায় সেই সরলপ্রাণ, প্রাণপ্রতিম শৈশব-সহচরগণ ? যৌবনের উল্লাসের সঙ্গে সঙ্গে যৌবন-স্বঙ্গদগণও প্রায় সকলেই একে একে অস্তষ্ঠিত চষ্টয়াছে। বৃদ্ধের সুবিচারের জন্স তাঙ্গার সমসাময়িক “জুরি” মিল ভার। যাহারা তাঙ্গকে চিনিত ও সমাদর করিত তাঙ্গর প্রায় সকলেষ্ট কাল-কবলিত । বৃদ্ধ যেখানে যায় সেইখানেই দেখে সে এক নূতন রাজ্যে আসিয়া পহুছিয়াছে । বিশেষ অনুসন্ধান করিয়াও কোনও পরিচিত মুখ দেখিতে পায় না। সংসার তাঙ্গর চক্ষে এক মঙ্গশ্বশান বলিয়া প্রতীয়মান হয়। যে সকল বাটীতে সে এককালে বন্ধুসহবাসে কত আমোদ উপভোগ করিয়াছে, সে সকল বাটী এখন তাহার পক্ষে এক প্রকার “হানা বাড়ী”--কেবল পুৰ্ব্বস্মৃতির সমাধি-মন্দির। এপন বৃদ্ধের শীর্ণ কণ্ঠে যশের মন্দার-মালা দোলাইলেই বা তাহার কি লাভ ? যাহার। তাহার স্বথে মুখী হইত, তাঙ্গর দুঃখে দুঃখ বোধ করিত, তাহারা ত চলিয়া গিয়াছে। মশালের অালোকে ভগ্নপ্রাসাদের সৌন্দর্য্যাবশেষ দেখিলে মনে যেমন যুগপৎ শোক ও হর্ষের আবির্ভাব হয় সেইরূপ অতীত সুপস্কৃতি বৃদ্ধের মনে এক কালে চর্ষ ও বিষাদ আনিয়া দেয় । তাহার মনে হয় সে যেন এক নিৰ্ব্বাণ দীপ নিৰ্বত্তোৎসব বিশাল নাট্যমন্দিরে একাকী দাড়াইয়া আছে। কালের খরস্রোতে বর্ষে বর্ষে তাহাকে কত আত্মীয়ের পর আত্মীয় ও বন্ধুর পর বন্ধু বিসর্জন করিতে হইয়াছে। যাহাদিগকে সে প্রাণের সহিত ভালবাসিত তাহীদের প্রত্যেকের বিয়োগে পদয়ের এক একটি তন্তু ছিড়িয়া গিয়াছে । কিন্তু ছিন্ন তত্ত্বর সহিত বিজড়িত ভালবাসা ত যাইবার নহে । কৃপণের ধনের দ্যায় বৃদ্ধ এখন অহরহ সেক্ট ভালবাসা অতি সন্তপণের সচিত নাড়াচাড়া করিয়া দিনপাত করে । মৃত্যুর সহিত তাচার ঘনিষ্ঠতা দিন দিন বাড়িতেছে। মৃত্যুর স্মরণে হৃৎকম্প উপস্থিত হওয়া দূরে থাকুক, সংসার-গারদের এই দীর্ঘ