পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা | অবস্থিত ও অবস্থাপন্ন। ৰাঙ্গালী সমিতির আশ্রয় ভাড়াটিয়া ঘর । এলাহাবাদের পাইয়োনিয়র প্রধান দৈনিক সংবাদপত্র । কিন্তু ঈহ! দেশীয় স্বার্থের বিরুদ্ধ বলিয়া কলঙ্কিত। দেশীয় লোকের দ্বারা পরিচালিত একখানি ইংরাজি দৈনিক আছে —তাকার নাম লীডর । “অত্যুদয়” হিন্দি সাপ্তাহিক ; কোনো প্রসিদ্ধ উৰ্দ্দ, সাপ্তাহিক নাই। ইংরাজি মাসিক পত্র হিন্দুস্থান রিভিয়ু অন্যতম শ্রেষ্ঠ পত্র । হিন্দি সরস্বতী ও উৰ্দ্দ, আদাব সচিত্র সুন্দর মাসিক পত্রিকা। স্ত্রীদর্পণ নামক চিন্দি মাসিক পত্রিকা মহিলা কর্তৃক সম্পাদিত ও পবিচালিত। ছাপাখানা ও পুস্তক প্রকাশকের মধ্যে ইণ্ডিয়ান প্রেসের সমকক্ষ দেশী কারখানা এলাহাবাদে তো নাক্ট-ই, বঙ্গেও বাঙালীর অতলড় ও সুব্যবস্থ ছাপাখানা নাই । এই প্রেস ভরদ্বাঞ্জ-আশ্ৰম । প্রয়াগ বা এলাহাবাদ ©@ ዓ - ه ع- ۳۰ تیم اخه عمی سری ۰یه ها স্বত্র ও পরিষ্কার ছাপার জন্ত প্রসিদ্ধ। এখানে ইংরাজি, বাংলা, হিন্দি ও সংস্কৃত, উর্দু, ও পার্সী এই চারি প্রকার হরপে ছাপা হয় । রঙিন লিথে ছবিও এখানে সুন্দর ছাপা হইতেছে । এলাহাবাদের প্রাচীন ও তীর্থযাত্রীর পরিচিত নাম প্রয়াগ । ব্রহ্মা এথানে যাগ করিয়াছিলেন ললিয়া এ স্থানের ঐ নাম হইয়াছিল । প্রয়াগ তীর্থরাজ ; পুরাকালে সকল তীর্থ এক দিকে রাথিয়াও তুলদাড়ি প্রয়াগের দিকেষ্ট ঝুকিয়া পড়িয়াছিল । দুই নদীর সঙ্গমক্ষেত্রকে প্রয়াগ বলে । এখানে যমুনা আসিয়া গঙ্গায় মিলিত হইয়াছে । কিম্বদন্তী যে সরস্বতী নদীও এখানে মিলিত হইয়াfছল, তাত সঙ্গমক্ষেত্রের নাম ত্রিবেণী । কিন্তু এখন সবস্ব তার কোনো অস্তিত্বষ্ট নাই—ভক্তগণেব বিশ্বাস সব স্বতী অন্তঃসলিল । আর্য্য জাতির প্রাচীনতম গ্রন্থ ঋগ্বেদে এই গঙ্গা যমুনার সঙ্গমের উল্লেখ আছে। তারপর রামায়ণ মহাভারতেও উল্লেখ পাওয়া যায় । শ্রীরামচন্দ্র বনগমন-পথে এখানে ভরদ্বাজ মুনির আশ্রমে আতিথ্য গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। তখন ভরদ্বাজ মুনিব আশ্রম গঙ্গাতীরে ছিল । এখন যে স্থান ভরদ্বাজ-আশ্রম বলিয়া পরিচি ও তাঙ্গা গঙ্গা হক্টতে অনেক দূরে । পদ্মপুরাণে প্রয়াগে তীর্থয এার মাঙ্গাত্ম্য বর্ণিত চন্তয়াছে। মৎস্তপুরাণে ও প্রয়াগ-মাহাত্মা দেখা যায়। এই প্রয়াগমাঙ্গাত্ম্য প্রক্ষিপ্ত রচনা, অথপা উক্ত পুরাণদ্বয়ষ্ট আধুনিক । প্রয়াগের ঐশ্বর্য্যের বর্ণনাটি প্রয়াগ-মাচাত্ম্যে তাঁথবtঞ্জ Cኅሣ---- সিভাসিতে বত্র তরঙ্গ চামরে নদ্যে বিভাতে মুনি-ভাকু কস্তকে । নীলাতপত্রং বট এব সাক্ষাৎ স তীর্থরাজে৷ জয়তি প্রয়াগঃ ॥ তীর্থরাজ প্রয়াগের জয়জয়কার—তাহার দুই পাশে জহ্ন মুনি-কঙ্কা গঙ্গা ও ভানুহত যমুনা শুত্র ও কৃষ্ণ তরঙ্গ আন্দোলন করিয়া চামর ৰাজন করিতেছেন ; সাক্ষাৎ অক্ষয়বট নীল ছত্র। গঙ্গার গুল সাদা এৱং যমুনার জল কালো, বেশ স্পষ্ট বুঝা যায়। এবং শীতকালে সঙ্গমস্থানে কালো ও সাদাজলের মেশামিশির ঠেলাঠেলি থেলা দেখিবার মতন জিনিষ। রঘু ংশের ত্রয়োদশ সর্গে কালিদাস ইহার বর্ণনা করিয়াছেন